আজ দুপুরে রান্না করেছি আলু আর শালগম দিয়ে চারাপোনা মাছের ঝোল
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশা করি আপনার সুস্থ আছেন। আর আজকের দিনটা আপনাদের খুব ভালো কেটেছে।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার হাতে রান্না চারাপোনা মাছের ঝোল। মাছের ঝোল আলু আর শালগম দিয়ে করেছি। তারপর আবার ধনেপাতা আছেই।
আমাদের বাড়িতে আমার মেয়ে শালগম খুব ভালো খায়।কাল সকালে আমি যখন বাজারে যাচ্ছিলাম তখনই ও আমাকে বলে দিয়েছিল শালগম নিয়ে আসার জন্য।
যাইহোক আসুন আপনাদের বলি কি কি উপকরন দিয়ে এবং কি পদ্বতিতে রান্নাটা করলাম।
-:উপকরণ:- |
---|
১. চারাপোনা মাছ- ৭00গ্ৰাম।
২.শালগম- ২টো।
৩.আদা- একটা ছোটো টুকরো।
৪. কাঁচা জিরা- এক চা চামচ।(বেটে নেবো)
৫. আলু- ১টা।
৬. চিনি- পরিমাণ মতো।
৭. লবন ও হলুদ- পরিমাণ মতো।
৮. সাদা তেল- পরিমাণ মতো।
৯. গোটা গরম মশলা- ৩গ্ৰাম(বেটে নেবো)
১১. টমেটো- ১টা
১২. ধনেপাতা- প্রয়োজন অনুসারে।
১৩. কাঁচা জিরা- (অল্প পরিমাণ ফোড়নের জন্য।)
-:রন্ধনপদ্বতি:- |
---|
- প্রথমে বাজার থেকে আনা মাছ গুলো কেটে নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিলাম।
- আলু আর শালগম প্রয়োজন মতো নিয়ে নিলাম।
- তারপর শালগম আর আলু কেটে নিলাম।
- **একটা বাটিতে জল দিয়ে তাতে নুন দিয়ে শালগম হালকা করে সেদ্ধ করে নিয়েছি।
- তারপর শালগম সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে একটা বাটিতে রেখে দিলাম।
- এরপর একটা প্লেটে যা যা মশলা আমি রান্নায় ব্যবহার করবো, সেগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
- এরপর মিক্সিতে মশলাটা নিয়ে নিলাম।
- তারপর বাটা হয়ে গেছে মশলাটা।
- কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে মাছ গুলো ভেজার দিয়ে দিলাম।
- মাছ গুলো লাল করে ভেজে তুলে নেবো।
- মাছ ভাজার তেলের মধ্যে দিয়ে কাঁচা জিরা ফোড়ন দিলাম।
- ফোড়ন ভাজা হয়ে গেলে, তাতে কেটে রাখা আলু আর শালগম ভাজার জন্য দিয়ে দিলাম।
- আলু আর শালগম ভাজা হয়ে গেলে তাতে বেটে রাখা মশলাটা দিয়ে দিলাম।
- মশলাটা হালকা নাড়াচাড়া করে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, চিনি দিয়ে দিলাম।
- এরপর সব সবজি মশলার সাথে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
- এরপর সব কিছু কষিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিলাম।
- ঝোল ফুটে উঠলে মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
এরপর কাটা ধনেপাতা ঝোলের উপর ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে গেল আমার হাতের আলু আর শালগম দিয়ে চারাপোনা মাছের ঝোল।
-:চারাপোনা মাছের উপকারিতা:- |
---|
এই মাছে অনেক জরুরি উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।প্রতিদিন মাছ খেলে আরথারাইটিস ও ডায়বেটিসের মতো রোগ শরীরে থাবা বসাতে পারে না। নিয়মিত মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কমে।
আজকের আমার রান্না আপনাদের কেমন লাগলো, অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভ রাএি।
বাহ্ ম্যাম আপনি সত্যিই খুব ভালো রান্না করেন। মাছের ঝোলটি খুবই লোভনীয় লাগছে।
আপনার রান্না দেখে আমার মায়ের হাতের রান্নার কথা খুব মনে পড়ে গেলো।আমার মা ও একই ভাবে রান্না করে শালগম।খুব টেস্টি হয় খেতে।
আমি এখনও পর্যন্ত শালগম দিয়ে মাছের ঝোল তো দুরস্ত শালগম খাইনি, কাজেই অনেক ধন্যবাদ আপনার রান্নার পদ্ধতিটি এখানে ভাগ করে নেবার জন্য।