পেয়ারার জেলি
সর্বপ্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি steemit এর সকল সদস্যকে। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পেয়ারা দিয়ে জেলি বানানো শেয়ার করবো। পেয়ারা খেতে পছন্দ করেনা এমন কাউকে হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। পেয়ার খুবই সহজলভ্য একটি দেশীয় ফল। যা সারা বছরই কম বেশি পাওয়া যায়।
পেয়ারা হল বহু জন প্রচলিত এবং খুব সহজলভ্য একটি ফল। ভারত বর্ষ এবং বাংলাদেশের খুব বেশিরভাগ গ্রামের বাড়িতেই এই ফলের গাছ দেখা যায়। এই ফলটি এতটাই সহজলভ্য যে তার যোগ্য সম্মান টুকু পায় না। বাজারে যে সব বিদেশি দামী ফল পাওয়া যায় তার থেকে পুষ্টি কোন অংশে কম নয় বরং কয়েক গুন বেশি আছে বলা যায়।
আমার ঘরে গতকাল আনা হয়েছে পাকা পেয়ারা। পাকা পেয়ারা ঘ্রাণে ম-ম করছে ঘরের চারদিক। তখনই কেটে খাওয়া হলো।এখ ভাবলাম কিছুটা দিয়ে জেলি তৈরি করে রাখি। আমি আজকে পাকা পেয়ারা দিয়ে জেলি তৈরি করবো কাচা পেয়ারা দিয়েও এই জেলি তৈরি করা যায়। খুবই ভালো হয় খেতে। আর উপকরণ খুবই কম, চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
রেসিপি তৈরির উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পেয়ারা | ১ কেজি |
চিনি | ২-৩ কাপ |
লেবুর রস | ২-৩ টেবিল চামচ |
সংরক্ষণের জন্য একটি পরিষ্কার কাচের পাত্র।
প্রণালী:
প্রথমে পেয়ারা গুলো ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।একটি পাত্রে নিয়ে পেয়ারার দিগুণ পানি দিয়ে চুলায় দিতে হবে। চুলার আঁচ থাকবে মিডিয়াম।
পেয়ারা গুলো সিদ্ধ হয়ে এলে এবং পেয়ারার পানি কমে অর্ধেক হয়ে ঘন হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপরে একটা চালুনিতে ঢেলে পেয়ারার ছেকে নিতে হবে। এখানে আমাদের ছেকে নেয়া এই রস টুকুই লাগবে। এবার রস গুলো কাপ দিয়ে মেপে নিতে হবে।কারন। এক কাপ রসের জন্য ৩/৪ কাপ চিনি নিতে হবে।
আমার এখানে ২ কাপ রস হয়েছে।তাই আমি যে কাপ দিয়ে রস মেপে নিয়েছি সেই কাপ দিয়ে দুইবার ৩/৪ কাপ চিনি মেপে নিয়েছি।
এরপরে চুলার আঁচ মিডিয়াম রেখে অনবরত নাড়তে হবে। প্রায় ১০- ১৫ মিনিট পরে কালার কিছুটা পরিবর্তন হবে আর রসটা ঘন হয়ে যাবে। প্রায় ১০- ১৫ মিনিট পরে কালার কিছুটা পরিবর্তন হবে আর রসটা ঘন হয়ে যাবে। রস একটু ঘন হয়ে এলে পুরো একটি লেবুর রস ছেঁকে কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। খুব ভালো করে নাড়তে হবে। লেবুর রস দিলে একটা টক মিষ্টি স্বাদ যোগ হবে। আর নষ্টও হবেনা।
জেলি হয়ে গেছে কিনা তা দেখার জন্য একটি প্লেটে এক ফোঁটা দিয়ে দেখতে হবে জমে যায় কিনা। যদি পানির মতো থেকে যায় তাহলে আরও জ্বাল দিতে হবে।
তারপর নামিয়ে হালকা ঠান্ডা হয়ে এলে কাচের পাত্রে ঢেলে সংরক্ষণ করতে হবে।
এইভাবে বানিয়ে সংরক্ষণ করে রেখে দেয়া যাবে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত।
পরিবেশন করুন রুটি, পাউরুটির সাথে সকাল ও বিকেলের নাস্তায় এই মজাদার পেয়ারার জেলি। ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করে।
আপনার পেয়ারার জেলি দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হয়। আমি কখনো পেয়ারা জেলি খাইনি আর জানিনা যে পেয়ারা দিয়ে জেলি বানানো যায়। আপনার পোস্টি পড়ে জানতে পারলাম পেয়ারার জেলি কিভাবে তৈরি করতে হয়। আমিও বাসার চেষ্টা করব।
যাইহোক আপনার পোস্টি পরে আমার খুব ভালো লাগলো নতুন একটা রেসিপি জানতে পারলাম। থ্যাঙ্ক ইউ
ধন্যবাদ আপু।
Amiga la guayaba es un fruta muy rica a mí me encanta, la mermelada que hiciste se que está deliciosa cada detalle de esta receta fueron comprendido. Saludos y bendiciones.🤗
সুন্দর এই কমেন্ট এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল অনেক শুভকামনা।
বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ফল পাওয়ার কারণে, পেয়ারা ফল মানুষ তেমন খেতে চায় না, কিন্তু অন্যান্য ফল থেকে পেয়ারা মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে।
আপনি পেয়ারা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে জেলি তৈরি করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন, পেয়ারা দিয়ে কিভাবে জেলি তৈরি করতে হয় খুব সহজে।
জেলি তৈরি করার সকল কার্যক্রম, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামত দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন আর আপনার জন্য রইল অনেক শুভকামনা।
আপনার তৈরি পেয়ারার জেলি দেখতে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। আর এইটা কিভাবে তৈরি করতে হয় সে উপকরণ আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছেন। আমি এটা খুব শীঘ্রই বাসায় তৈরি করার জন্য চেষ্টা করব।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য। খুব সহজেই এটা তৈরী করা যায়
আর খেতে খুব সুস্বাদু হয়।
জি আপু আমি বাসায় চেষ্টা করবো এটা। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু।
পেয়ারার জেলির কথা আগে কখনো শুনিনি। এই ইউনিক রেসিপিটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। দেখে খুব মজাদার মনে হচ্ছে। আমি অবশ্যই এইটা বানানোর চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ আপু। অনেক সুস্বাদু হয় বানানো সহজ।
আপু পোস্টটি যখন আমি পড়ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল আমার চারপাশে পাকা পেয়ারার ঘ্রাণ ম-ম করছে!
সত্যি কথা বলতে এর আগে কখনোই আমি পেয়ারা দিয়ে জেলি রেসিপি তৈরি করা দেখিনি।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলেই এই ফলটি খুবই সহজলভ্য হওয়ায় আমরা এই ফলটিকে তেমন একটা গুরুত্ব সহকারে দেখিনা! অথচ আমরা বাজার থেকে খুব দামি দামি ফলমূল কিনে থাকি! কিন্তু ওইসব ফলের তুলনায় পেয়ারার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।
তা জানা সত্ত্বেও আমরা বেশিরভাগ মানুষই পেয়ারা ফলটাকে গুরুত্বসহকারে দেখিনা।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আরো একটি স্পেশাল ধন্যবাদ আমাকে নতুন কিছু শেখানোর জন্য।
আমি প্রতিনিয়তই নতুন কিছু শিখতে চাই যার একটি শেখার অংশ আপনার এই পোস্টটি।
আমার খুব ভালো লাগছে আপনারা সবাই খুব পছন্দ করেছেন এই রেসিপিটা। আর খেতেও খুব সুস্বাদু।
আপনাকেও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
পেয়ারার জেলি বানানো যে এত সহজ আগে জানতাম না। পেয়ারা জেলি বানানোর শিখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। তো আপনার পেয়ারার জেলি বানানোর সব উপকরণ সহ খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপু বানিয়ে দেখবেন বড়, ছোট সবাই খুব পছন্দ করবে। ঘরে তৈরি করে তাই স্বাস্থ্য সম্মত।
সাধারণত আমারা তো বাজার থেকে কিনে জেলি খেয়ে থাকি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমি জানতাম না যে পেয়ারা দিয়ে জেলি তৈরি করা যায়।এমন কি কোন ও দিন ভাবি নি এটা নিয়ে যে আমরা পেয়ারার জেলি দেখতে পাবো এবং কি ভাবে তৈরি করা হয় তাও জানতে পারবো । আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার মনের কিছু ভুল ভাবনা দূর হলো।আপনি সত্যিই খুব ভালো ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এই জেলি টি আমার মনে হয় ছোট ও বড় সবার অনেক পছন্দের একটি জেলি হবে।আমি ও একবার হলেও খাওয়ার চেষ্টা করবো।আমি বানাতে পারবো না কিন্তু আমার মা কে বলে বানিয়ে হলেও একবার খাবো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।