হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি, সুস্থ আছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম হঠাৎ বড়ই খাওয়ার ইচ্ছা সম্পর্কে বিস্তারিত।

আজ সকালে হঠাৎ বড় ভাই ফোন করে বাসায় ডাকলো বড়ই খেতে। তার বাসায় অনেকগুলো বড়ই গাছ রয়েছে মিষ্টি টক দুই রকমের বড়ই গাছ রয়েছে।

আমার মিষ্টি বড় খেতে খুবই ভালো লাগে।তাই ভাবলাম দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর বড়ই খেতে যাব শরীরটা বেশি ভালো না তিন-চার দিন থেকে জ্বরে আক্রান্ত রয়েছি। বাড়ি থেকে বের হওয়া হয় না তাই ভাবলাম যে একটু ঘুরেও আসব বড়ই খেয়ে আসব।

দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর বাইরে বাইরে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পিছন ফিরিয়ে দেখি আমার বাড়ির ছোট বিড়ালটি আমার পিছন পিছন আসতেছে।
ভাবলাম যে, ও কিছুদূর গিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে যাবে। কিন্তু না আমার ভাবনাটা মিথ্যা ছিল।

সে দেখি আমার পিছন পিছন চলে আসতেছে। আমি বিড়ালটি কে আবার আমার বাড়িতে রেখে আসলাম। ওকে নিয়ে গেলে যদি ও হারায় যায় সেই ভয়ে। কিন্তু ও দেখি আমার পিছন পিছন আসে।

ও একাই ঘরের মধ্যে থাকতে চাইতেছে না। তাই ওকে নিয়ে গেলাম। অবশেষে আমরা দুজনেই ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।

বড়ই গাছটি বেশ বড় হওয়ার কারণে বড়ই পারার জন্য আমি একটা কোটা নিলাম।

এবং ২-৩ জন ছোট ছেলেকে ডেকে আনলাম। জাল ধরার জন্য। কারণ বড়ই গুলো মাটিতে পড়লে সব ফেটে যাবে। বড়ই গুলোতে ময়লা ভরতে পারে সেই জন্য। জাল ধরিয়ে বড়ই পাড়ার ব্যবস্থা করলাম।

আমি ওদেরকে জাল ধরতে দিয়ে বড়ই পারা শুরু করলাম। বড়ই গাছে কোটা দিয়ে গাঙ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো বড়ই গাছ থেকে পড়ে যায়। কারণ বড়ই গুলো সব পেকে গেছে সেজন্য।

এভাবে আমি বেশ কিছু বড়ই পারলাম। এবং যাদেরকে জাল ধরার জন্য নিয়ে আসলাম। তাদেরকে কিছু বড়ই খেতে দিলাম।

বাকিটা আমি আমার সঙ্গে নিয়ে আসলাম। বড়ই গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার।

আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা,

আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে ।অন্য কোনদিন,অন্য কোন প্রসঙ্গ নিয়ে আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।