হাসনাহেনা অথবা হরিনী ||Incredible India monthly contest October| My memorable day through the diary game. || 12 October 2023
পাতা ঝরার জন্য আজীবন বসন্তরে দোষী সাব্যস্ত করিয়া থাকি আমরা। অথচ কি অশান্ত প্রানই না তাহার রহিয়াছে, জাহা বুকের মাঝে চাপিয়া রাখিয়া আজীবন স্নিগ্ধতার ছোয়ায় ক্লান্ত প্রকৃতি সতেজ হওয়ার অনুপ্রেরণার জোগান দিয়া চলিতেছে, তাহা কেও উপলব্ধি করিবার কিঞ্চিৎ চেষ্টাও কষ্মিন কালে করিয়াছে বলিয়া আমি অন্তত ভাবিয়া পাই নাই৷ বসন্ত এক অনাবিল সতঃস্ফুর্ত স্নিগ্ধতার নাম। বসন্ত হইতেছে ক্লান্ত প্রকৃতির স্নিগ্ধতার ছোয়া পাইবার অনাবিল আকাঙ্ক্ষার দূতের নাম৷ বসন্ত মনুষ্য হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া ভালো লাগার এক অশান্ত প্রয়াসের নাম।
আজিকে ডায়েরির পাতা হইতে আমার হৃদয়ের রক্ত ক্ষরনের কিঞ্চিৎ ফুটিয়া তুলিবার যেই প্রয়াস চালাইতেছি, তাহাও বসন্তেরই কুনু এক বিকালের কোকিলের আগমনী নুপুর এর ধ্বনির প্রতিধ্বনি মাত্র ।
বিকেলের সোনালী রোদ্দুরে ভেষে আসা নূপুর এর ধ্বনিতে মুগ্ধ হইয়া দেখিলাম কোকিলা হাটিয়া আসিতেছে আমার পানে। হরিনি চোখের লাজুক চাহুনি হয়তো আমায় দেখিবার সাহস সঞ্চারিয়া কুলাইয়া উঠিতে সামরর্থ্য হয় নাই। তাহাতে আমার কি বা যায় আসে। আমি দেখিয়াছি কালোকেশির কেশ কতোটা কৃষ্ন বর্ন হইলে তাহারে কালোকেশি বলিয়া উপস্থাপন করিয়া তোলা যায়। মাধবীলতার ন্যায় বেকে চলা পরগাছা জেনো তাহার বক্ষ জুগল ভেদ করিয়া চলিতে চাইতেছে। বসন্তের মাতাল বাতাসের অনবরত তাহার কেশ ছুয়ে চলার মাতাল নেশা অধিক ক্ষন কেশ গুচ্ছ স্থির রহিতে দিতেছে না।
বাতাসের কি নিদারুণ খেলা, নারীর কেশ ছুইতে না পারা বাতাস জেনো আজীবন এর ক্ষুধা আজি পুরিবার প্রয়াশে মত্ত।
কাজল চোখের লাজুক চাহুনি দেখিলে মনপুরার চিত্রাও বোধ করি হিংসে আর লজ্জায় নিজেকে গুটাইয়া লইতে উদ্ধত হইবে৷
তাহার, পাপড়ির অনবর্ত ঢেও যেনো বারংবার সমাজের সীমা লংঘন করিবার প্রয়াসে মত্ত৷ ধবল শরীরের পাশ দিয়ে যেনো শশের পাখনার ন্যায় বিস্তৃত বাহু ডানা ঝাপ্টানোর অকৃত্তিম শব্দে উথাল পাতাল করিয়া তুলিয়াছে প্রকৃতি। বসন্তের কি সাধ্য, ইহার চাইতে দ্রুত উড়িবার৷
তৎক্ষনাৎ আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরনের সূচিপত্র রচিত হইয়া গিয়াছিল। আমার কল্পনাকাতুর মন এ যেন এক খানা ধবল শশ্ নীলাম্বরী তে আচ্ছন্ন হইয়া তুমুল বেগে বসন্তের আগে আমার পানে ছুটিয়া আসিতেছে বলিয়া বোধ হইতেছিলো সে ক্ষনে।
নীল হয়তো ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট রঙ।নতুবা ইয়াতে কেনোই বা এতো মাতালতার উপস্থিতি রহিতে হইবে।
নীল হইতেছে মনুষ্য কল্পনার রঙ, নতুবা মেঘমুক্ত অম্বর কক্ষোনই নীল বোধ করার পয়াশ হইবার কথা নয়। অথবা,যদিওবা পানির কুনু রঙ নাই বলিয়া সমাজে প্রচলিত রহিয়াছে, সাগরের বিশালতায় মনুষ্য নেত্র অবশ্যই নীল এর কল্পনায় মত্ত হইয়া ওঠে। হয়তোবা, নীল মানুষের কল্পনার রঙ বোধ করেই এ কথা মনুষ্য সমাজে দরিয়া নীল বলিয়া বহুল প্রচলিত।
সফেদ, তীব্র ঘ্রানে মাতাল করিয়া তোলা হাসনাহেনা আজিকে যেনো নীল খোসায় ধরিত্রীপুরে উপস্থিত হইয়াছে৷ আজিকেও আমার অনন্তকালের ডায়েরির শেষ পাতায় সেই হাসনাহেনা শোভা বর্ধন করিয়া চলিতেছে। আজিকেও সে পাতা তেমনই উচ্ছল প্রানবন্ত হইয়া আমার হৃদয়ে প্রষ্ফুটিত।
সেই যে, হাসনাহেনার সুঘ্রান এখন অবধি, নিবিড় তিমির অথবা গগন বিদারি একাকিত্ব এর মাঝে তীব্র ঘ্রান লইয়া আমায় সুভাষিত করিয়া চলিতেছে। আমি বারংবার, এই ধরিত্রীপুরে আসিতে চাই, ভিন্ন রুপে, ভিন্ন মাধুর্যতায়, তোমারেই দেখিবার তরে।
ধরনীর সকল ডায়েরির পাতা শেষ হইয়া চলা অবধি তোমারে লইয়া এ লেখা চলবে.....
অনন্তকাল........ …..............
আসাধারণ লিখিনি আপনার। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বিষয়টি। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সবসময়।
ধন্যবাদ, সাথেই থাকুন। আশা করি আরো ভালো কিছু লিখা উপহার দিতে পারবো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সবসময়। আপনার পরবর্তী লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।