ফুল ও মানুষ।
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক লিখা শুরু করলাম:
সৃষ্টির শুরু থেকেই বলা হচ্ছে যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এ কথার সত্যতা এবং যৈক্তিকতা দুটোই বিদ্যমান। কিন্তু বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ কতটুকু?
প্রকৃতপক্ষে মানুষ বলা হয় কাকে। যার মান এবং হুষ আছে তিনি হলেন মানুষ। কিন্তু বাস্তবতা কি? নামমাত্রই আমরা মানুষ। আমাদের মাঝে নাই কোন মান এমনকি নাই কোন হুষ। অনেকেই হয়তো আমার কথা শুনে রাগ করতে পারেন।
রাগ করবেন না দয়া করে। আগে পুরো কথাটা শুনুন। উদাহরণ দেয়া যাক: আমরা তো সবাই ফুল চিনি তাইনা।
প্রকৃতিতে অনেক রকমের ফুল পাওয়া যায়। ভাই ফুল আমাদের কি কাজে লাগে। অনেকেই বলবেন হয়তো সুগন্ধ ছড়াতে ফুল ব্যবহৃত হয়, কেউ বলবেন ঘর সাজাতে ফুল ব্যবহার হয়,
কেউ বলবেন নব বধুর সাজ সজ্জাতে ফুল ব্যবহৃত হয়, কেউ বলবেন ভালবাসার প্রকাশ স্বরুপ কাউকে ফুল প্রদান করা হয়,কেউ বলবেন কোন মিনার বা সৌধতে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল ব্যবহৃত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি৷
আচ্ছা ফুল যে এত কাজে ব্যবহৃত হয় এখানে ফুলের লাভ কী? অন্যদিকে দেখেন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে কত কত কাজ করে। কোন কাজটা সঠিক কোন কাজটা বেঠিক এটা কি কোন মানুষ তার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে? মানুষ মূলত স্বার্থের জন্য সব কাজ করে। আচ্ছা স্বার্থ কাকে বলে?
স্বার্থ হলে এমম একটা জিনিস যা নিজ প্রয়জনে ব্যবহার হয়। ধরেন একটা ভাড়াটিয়া সে যেখানে থাকে সেই বাড়ীর দারওয়ান কে বল্লো ভাই আমাকে ২টাকা দিয়ে একটা ছোট শেম্পু এনে দেন তো।
দারোয়ান স্বভাবতই প্রথমে বলবে না স্যার বা ম্যডাম আমি গেলে গেট পাহারা দিবে কে। আবার সেই দারোয়ান কে যখন আপনি ১০ টাকা দিবেন এবং বলবেন এই নাও ১০টাকা। কিছু খেয়ে নিও আর আমাক ২ টাকার ছোট শেম্পু এনে দাও। তখন কিন্তু সে আর কোনদিক ভাব্বে না।
সে বলবে দাড়ান স্যার বা ম্যডাম আমি ৫ মিনিটের মধ্যেই এনে দিচ্ছি আপনাকে। ২টাকার শেম্পুর জন্য ১০টা দিতে হলো। এটাই হলো স্বার্থপরতা। এখানে দারোয়ানের টাকার সাথে স্বার্থ জরিয়ে আছে।
আর যদি সেই ১০টাকা তাকে দেয়া না হতো সে হয়তো যেতে অপারগতা প্রকাশ করতো। অন্যদিকে দেখেন ফুল এত এত কাজে ব্যবহৃত হয় কিন্তু কখনো নিজের স্বার্থ দেখে না। ফুল শুধু নিজেকে বিলিয়ে দিতেই জানে। তাই ফুল থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। ফুল শুধু গন্ধ বিলায়। বিনিময়ে কারো কাছে কিছু নেয় না।
মানুষ হিসেবে আমরা কতটা স্বার্থপর দেখেন একজন বাবা অথবা মা তার যে সন্তানটাকে লালন পালন করে সেটাও কিন্তু স্বার্থের জন্যে।
তারা ভাবে এই ছেলে বা মে একদিন অনেক বড় হবে, অনেক টাকা পয়সা রোজগার করবে, আমাদের বংশের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু পৃথিবীতে খুব কম বাবা মাই আছে যারা তাদের সন্তানকে এই সমাজ, এই দেশ বা এই পৃথিবীর জন্য বিলিয়ে দেয়।
যারা দিতে জানে বা দেয়ার চেষ্টা করে তারাই কিন্তু প্রকৃত মানুষ। তাদের মান এবং হুষ দুটোই আছে। তারা এই সমাজ এই দেশ তথা এই পৃথিবীর জন্য কিছু করতে চায়। এমন মানুষকে আমি সাদুবাদ জানাই। তাই আসুন স্বার্থের পিছনে না ছুটে একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। তাতে দেশ জাতি ও সমাজ উপকৃত হবে।
ধ্যন্যবাদ সবাইকে। আসসালামু আলাইকুম ও শুভেচ্ছা।
আসলে আপনার কথার মধ্যে যুক্তি আছে। আপনি বেশ কয়েকটা যুক্তিসহকারে আমাদেরকে ফুল এবং মানুষের মধ্যে স্বার্থের, যে বিষয়টা সেটা তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানার আছে। আসলে আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমি ফুল এবং মানুষের মধ্যে পার্থক্যটা খুঁজে পেলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু
হুম ভাই অনেক সুন্দর লিখেছেন ৷ ফুল এবং মানুষের মধ্যে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন সেটা আমার খুবই ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ৷ ভালো থাকবেন ৷