Incredible India monthly contest of May#1| My preferred profession.
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি মহান আল্লাহ্ তা’লার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত মে মাসের প্রথম প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে চলছি।
শ্রদ্ধেয় @sduttaskitchen এ্যডমিন ম্যামকে অনেক ধন্যবাদ কমিউনিটির পক্ষ থেকে এমন প্রতিযোগীতা আয়োজনের জন্য।
এমন প্রতিযোগীতা সত্যি আমাদের লিখার মানকে উন্নত করতে সহায়তা করে। পেশাকে কেন্দ্র করে এবারের বিষয়বস্তু নির্ধারিত হয়েছে। দেরি না করে তাহলে শুরু করা যাকঃ-
পৃথিবীতে যারা সৎ ভাবে অর্থ উপার্জন করে তাদের আমি শ্রদ্ধা করি। আমি কখনই কোন পেশাকে ছোট মনে করি না। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের কর্মের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।
জীবনধারনে এবং আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে অনেকেই অনেক কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছে। যাইহোক আমার পছন্দের পেশা হলো শিক্ষকতা করা।
এটি একদিক থেকে যেমন আমার আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ঠিক তেমনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও আমাকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া একজন শিক্ষকের সম্মান সমাজের সর্বস্তরে বিরাজমান।
শিক্ষকতা পেশাকে পছন্দের অন্যতম কারণ হলো এর দ্বারা সমাজের উপকার হয়। কিছু মানুষকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়াস চালানো যায়। শিক্ষকতা করা একটি সেবামুলক কাজ।
সমাজে বাবা মায়ের পরেই শিক্ষকের স্থান। একটি শিশু বাবা মায়ের কাছ থেকে শুধু সামাজিক শিক্ষা লাভ করে কিন্তু শিক্ষকের কাছ থেকে সামগ্রিক শিক্ষা লাভ করে। সব মিলিয়ে শিক্ষকতা করা আমার পছন্দের একটি পেশা।
আমি সম্প্রতি যে পেশায় যুক্ত আছি সেই পেশায় আমি শতভাগ সন্তুষ্ট নই। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। সবথেকে বড় কারণ হলো লম্বা সময় ধরে গ্রাহকদের সেবা দেয়া।
আমি মূলত একটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় কর্মরত আছি। এটি যেহেতু প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান তাই আমাকে প্রতিটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে অফিসে উপস্থিত হতে হয়।
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আগের দিনের হিসাব ঠিক আছে কীনা তা আবারো দেখে নিতে হয়। এরপর শুরু হয় আমার সকল কার্যক্রম। গ্রাহকদের সব ধরনের সেবা দিতে হয়।
একাউন্ট ওপেন, ট্রানজেকশন, লোন প্রসেসিং, লোনের টাকা উত্তোলন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ইত্যাদি আমাকে করতে হয়। মূল কথা আমার উপরে অনেক দায়িত্ব। দুপুর দুইটার দিক দেড় ঘন্টার জন্য ছুটি পাই।
এই সময়টায় বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া ও বাকি কাজগুলো সেড়ে নিয়ে তিনটা ত্রিশ মিনিটে আবারো অফিসে উপস্থিত হতে হয়। এরপর সন্ধ্যায় ত্রিশ মিনিটের বিরতি দিয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত অফিসে থাকতে হয়।
সব মিলিয়ে বেশ ক্লান্ত এবং পরিশ্রান্ত মন নিয়ে বাসায় যেতে হয়। যাইহোক তবুও আমি খুশি এই কারণে, অনেক মানুষকে সেবা দিতে পাচ্ছি। অনেকের সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছি।
অনেক মুরুব্বি আমাকে দোয়া দিয়ে যায়। আমার আচরণে সকলেই মোটামুটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এটি মূলত আমার স্বার্থকতা।
হ্যাঁ আমি মনে করি কাজে সন্তুষ্টি অর্জন উপার্জনের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত। কেননা আপনি যে পেশায় নিয়োজিত থাকুন না কেন সেখানে যদি আপনার উপার্জন না হয় তাহলে আপনাআপনি সেই কাজের প্রতি অনিহা চলে আসবে।
আর যে কাজে অনিহা আসে সেই কাজ করে কখনোই সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা যে পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি সেই পেশা থেকে যে আয় আসে সেই আয় দিয়ে নিশ্চই আমার পরিবার পরিচালিত হয়। সবার আর্থিক চাহিদা পূরন হয়।
যদি এমনটা হয় তাহলে মন থেকেই সেই কাজের প্রতি আমার একটি ভালোলাগা কাজ করবে। কেননা আমার উপার্জন ভালো।
উপার্জিত অর্থ দিয়ে আমি সব পরিচালনা করতে পারছি। তাই বলাই যায় কর্মে সন্তুষ্টি অর্জন সাথে সাথে অর্থ উপার্জন, দুটোই জরুরি। আর উপার্জনের দ্বারাই পেশায় সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব।
আমার স্বপ্নের পেশা হলো শিক্ষকতা করা। পেশাটি গ্রহনে আমি বদ্ধ পরিকর। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় হয়তো এখনো এই পেশায় প্রবেশ করার কোন রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।
এবছর প্রাইমারীতে পরীক্ষা দিলাম, বলতে গেলে পরীক্ষা ভালোই হয়েছে কিন্তু রেজাল্ট আসলো না। সব মিলিয়ে আমি হতাশ। সদর কোটায় খুব কম সংখ্যক ছেলেকে নিয়োগ প্রদান করা হয় বিধায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।
যাইহোক তবুও আমি হাল ছাড়িনি। এর পরের বছর আবারো পরীক্ষা দেবো। সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করছি। পুনরায় পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছি। শিক্ষকতা পেশা সেই ছোট্ট বেলা থেকেই আমার পছন্দ।
কেননা আমরা যখন প্রাইমারীতে ছিলাম তখন নতুন স্যার ম্যাডামরা আমাদের চকলেট উপহার দিতো। আমি ভাবতাম স্যারদের মনে হয় অনেক চকলেট আছে তাই আমাদের দেয়।
আমিও যদি বড় হয়ে শিক্ষক হতে পারি তাহলে আমারো অনেক চকলেট হবে। আসলে এই ধারনা থেকেই আমার শিক্ষকতা পেশার প্রতি ভালোলাগার শুরু।
কিন্তু যত বড় হতে থাকলাম এই পেশা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বর্তমানে আমার পছন্দের তালিকায় শ্রেষ্ঠ পেশা হিসেবে শিক্ষকতা পেশার অবস্থান।
যাইহোক বন্ধুরা, এই ছিলো আমার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন। এখন এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের জন্য আমি @mou.sumi @isha.ish @rubina203 @sairazerin বন্ধুদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
আজ আর নয় বন্ধুরা, ভালো থাকবেন সবাই।
@installation your article is well-presented. You said you are not 100% satisfied with your present job and that your dream job is teaching. I hope that you will one day find your self in the teaching profession where you work with satisfaction. Goodluck.
মে মাসের কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কনটেস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার পছন্দের পেশা হলো শিক্ষকতা।
একজন শিক্ষকই পারে একজন শিক্ষার্থীর জীবন বদলে দিতে।
আর সব থেকে বড় কথা হলো শিক্ষকতা হচ্ছে অনেক সম্মানের একটি পেশা।
আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পছন্দের পেশার সাথে আপনার পেশার মিল রয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমি যদিও চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি, তবে আপনাকে অনুরোধ করব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ সঠিক ভাবে পরিশ্রম করা মানুষদের ঈশ্বর নিশ্চয়ই সুযোগ দেবেন।
আপনি যেহেতু প্রস্তুতি নেওয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছেন, তাই আশাকরি আগামী পরীক্ষা আপনার ভালো হবে এবং তার রেজাল্ট বেরোবে, আমার তরফ থেকে শুভকামনা রইলো, যাতে আপনার এই স্বপ্নটা অবশ্যই পূরণ হয়। আপনি আপনার ছোটবেলার ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, সমাজের সবথেকে শ্রদ্ধার চাকরি হলো শিক্ষকতা। কারণ এই শিক্ষাকতার মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে প্রকৃত মানবিকতার শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। পুঁথিগত বিদ্যা তো আমাদের সকলে জন্য অবশ্যই জরুরী, তার পাশাপাশি মানবিকতার শিক্ষাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনার সম্পূর্ণ লেখাটা ভালো ছিল কিন্তু আমি শুধুমাত্র এই অংশটুকু তুলে নিয়েছি। কারণ আপনার এই চিন্তাধারার সাথে আমার চিন্তাধারার সাদৃশ্যতা আছে। আমিও সন্তুষ্টির পাশাপাশি উপার্জনকে প্রাধান্য দিতে পছন্দ করি।
কারণ যে কোনো পেশায় সাথে যোগদান করা অর্থাৎ পরিশ্রম করা যেটার উদ্দেশ্য রয়েছে। কারণ অর্থ ছাড়া আমরা আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারি না। তাই অতিরিক্ত না হলেও প্রয়োজন মত অর্থ উপার্জন যে কোনো পেশার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।