Incredible India monthly contest April #02|My town in 10 pictures.
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “দশটি ছবিতে আমার শহর” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
গতকাল আমি ও আমার বন্ধু কাওছার বিকেলের দিক আমার নিজের চিরচেনা শহরটা আরেকবার উপভোগ করার জন্য বেড়িয়েছিলাম। ঈদের ছুটি চলছে। তাই শহর আজ নিস্তব্দ।
আমি দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম দেশ, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলা থেকে লিখছি। আমার শহর কুড়িগ্রাম। আমি এই শহরের একজন বাসিন্দা। সুখে দুখে বিপদে আপদে আমাকে এই শহরেই থাকতে হয়। অনেক মায়া আর ভালোবাসা জড়িয়ে আছে আমার এই শহরের সাথে।
প্রথমে যে ফটোটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো আমাদের শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শহীদ মিনার সম্পর্কে বাংলা ভাষার সকল মানুষ আমরা সকলেই জানি। অন্যান্য জাতি বা গোষ্ঠী তারাও কম বেশি আমাদের এই শহীদ মিনার সম্পর্কে অবগত।
আমাদের বাংলা ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে এই শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসের একুশ তারিখ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় এই শহীদ মিনারে।
দ্বিতীয় ফটোটি হলো আমাদের শহরের জেলা পরিষদ মসজিদ। ফটোগ্রাফিতে যে গম্বুজটি দেখা যাচ্ছে এটি আমাদের শহরের সবথেকে উঁচু গম্বুজ। এরকম উঁচু গম্বুজ আর আমাদের শহরে আর কোথাও নেই। প্রতিদিন অনেক লোক আসে এই মসজিদে নামাজ পরার জন্য ও গম্বুজটি দেখার জন্য।
আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে আমি তুলে ধরবো আমাদের শহরের সবথেকে ভালো মার্কেট এর সাথে। আমাদের কুড়িগ্রাম শহরে এটি সবথেকে বড় ও উন্নত মার্কেট।
জেলা পরিষদের পাশে অবস্থিত বলে এই মার্কেটটির নাম দেয়া হয়েছে জেলা পরিষদ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ এসে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে নিয়ে যায়। দামে সস্ত্বা ও পণ্যের গুণাগুণ অনেক ভালো জন্য এই মার্কেটটির অনেক সুনাম রয়েছে আমাদের শহরে।
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে যে ফটোটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সংক্ষেপে টি টি সি। আমাদের শহরের হাজারো বেকার যুবকের একমাত্র আশ্রয়স্থল হলো এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এখানে বিভিন্ন বয়সি যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে কর্মের সু-ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এটি দুই হাজার দশ সালে আমাদের শহরে স্থাপিত হয়।
পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে যে ফটোটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো আমাদের শহরের একমাত্র জেলা পরিষদ। এটি আমাদের শহরে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই পর্যন্ত এখানে সাত জন চেয়ারম্যান নিষ্ঠা ও সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
আমাদের কুড়িগ্রাম জেলার যত উন্নয়নমূলক কাজ সব এই জেলা পরিষদ থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে। সম্মানিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সব কিছুর নজরদারি করে থাকেন।
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে যে ফটোটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো পুলিশ সুপারের কার্যালয়। পুলিশ হল জনগনের সেবক ও পরম বন্ধু। সমাজে চলতে গেলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা হবেই। এসব বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের দেশে প্রতিটা শহরে একজন করে পুলিশ প্রধান স্যার থাকেন। তাদেরকে পুলিশ সুপার বলা হয়। ঠিক আমাদের শহরেও একজন পুলিশ সুপার আছেন এবং তার একটি কার্যালয় আছে।
বর্তমান পুলিশ সুপার হলেন, জনাব আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম। আমাদের শহরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় স্থাপিত হয়েছিলো স্বাধীনতার পর। এটি আবার পুনঃ নির্মান করা হয় দুই হাজার আট সালে।
সপ্তম ফটোগ্রাফিতে আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো আমাদের শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সাথে। এটি ঊনিশশত চুয়াত্তর সালে আমাদের শহরে স্থাপিত হয়। বর্তমান জেলা প্রশাসক এর নাম হলো মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
আমাদের শহরে এটি আবার পুনঃনির্মিত হয় দুই হাজার সাত সালে। শুরু থেকে আজ অবদি চুয়াল্লিশ জন জেলা প্রশাসক তাদের দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে।
আমার অষ্টম ফটোগ্রাফিতে আমি আজ আপনাদের দেখাতে চলেছি আমাদের কুড়িগ্রাম শহরের কারিগরি সরকারি প্রশাসনিক ভবন। এই ভবন থেকে আমাদের শহরের অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
কেউ নিজ উদ্যোগে ব্যবসা করতে চাইলে তাদের বিভিন্ন ভাবে অর্থ, বুদ্ধি, পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা হয়। এই ভবনটি আমাদের শহরে দুই হাজার বারো সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে জনাব মোঃ আশিকুর রহমান তালুকদার ইনস্ট্রাকটর হিসেবে এই ভবনটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।
আমার নবম ফটোগ্রাফিতে আমি দেখাতে চলেছি আমাদের শহরের চমৎকার একটি ভবন। ভবনটি অনেক সুন্দর রং করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রিক্সা করে বাড়ী ফেরার সময় ভবনটি আমার চোখে পড়লো তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আমার দশম ও শেষ ফটোগ্রাফিতে আমি দেখাতে যাচ্ছি কুড়িগ্রাম জেলার একমাত্র সরোবর সুলতানা সরোবর। অর্থ্যাৎ এটি একটি বিশাল পুকুর। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে এর পানি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এটির সুন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
তবুও প্রকৃতি প্রেমি সকল মানুষ প্রতিদিন এখানে হাওয়া খেতে আসছে। এর চারপাশে অনেক ছোট ছোট ফুল গাছ আছে। মানুষজন সন্ধ্যায় বা সকালে এখানে প্রতিদিন এসে শরীরচর্চা করে। কেউ হাটাহাটি করে কেউ দৌড়াদৌড়ি করে।
কেউ বিভিন্ন প্রকার শারীরিক কশরত করে। বিকেলে অনেকে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এখানে বেড়াতে আসে।
আমাদের কমিউনিটির এই প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুসারে আমি তিনজন বন্ধুকে বলছি ও আমন্ত্রন করছি তারা যেন তাদের শহরের কিছু ছবি ও কিছু তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। তারা হলেন, @jakariaEmoji @shofiulislam @Mamun123456
Device | Name |
---|---|
Android | Xiaomi Poco M2 |
Camera | 13 MP, f/2.2, 28mm (wide), 1/3.1", 1.12µm |
Location | Bangladesh 🇧🇩 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩 |
Short by | @rakibal |
আজ আর নয় বন্ধুরা। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহহাফেজ।
আপনার শহরের সব ধরনের ফটোগ্রাফি অসাধারন লাগলো ৷ আপনি বেশ সুন্দর ভাবে আপনার তোলার ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা করেছেন যা থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ৷
#miwcc
আপনার পোস্টে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি বর্ণনা করেছেন। এর মাঝে আমার দুইটি ফটোগ্রাফি বেশি পছন্দ হয়েছে সেটি হল আপনাদের এলাকার মসজিদের ফটোগ্রাফি এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনাদের এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি আসলে আপনাদের এলাকায় মসজিদ অনেক বড়। তাই আপনি বলেছেন এই মসজিদে অনেকে আসে নামাজ আদায় করার জন্য। এবং আপনি আরেকটি শহীদ মিনার কথা বলেছেন আপনার এলাকার শহীদ মিনারটি অনেক সুন্দর লাগছে। প্রত্যেক এলাকায় একটা করে শহীদ মিনার থাকা উচিত। কারণ যারা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করার জন্য প্রত্যেকে এলাকায় একটা করে শহীদ মিনার থাকা উচিত। তাই আপনাদের এলাকায় শহীদ মিনার রয়েছে তা দেখে খুব ভালো লাগলো। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে অনেকগুলো ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করার জন্য ।ভালো থাকবেন
#miwcc