"Incredible India Meeting Carnival with Steemians."
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “কার্নিভালে অংশগ্রহণ” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
আমি @rakibal. স্টিমিট প্লাটফর্মে ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটিতে কাজ করছি। আমি এই কমিউনিটির একজন সদস্য। এখানে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমাদের কমিউনিটি একটি কার্নিভাল আয়োজন করেছে। এটি অবশ্যই অনেক প্রশংসার।
কেননা এই কার্নিভালের মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারবো। আমরা নিজেকে সত্যিকার অর্থে প্রমান করতে পারবো। তাই আমি দেরি না করে এই কার্নিভালে অংশগ্রহন করলাম।
আমরা কম বেশি সকলেই একে অন্যের খবর নিয়ে থাকি। কে কেমন আছি? কোথায় থাকি? কী করি? বাড়ির অন্যরা কেমন আছে? ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমরা মানুষ হিসেবে আমাদের এক প্রকার দায়িত্বের মধ্যেই পরে এই খোঁজ খবর নেয়া। তাই আমিও এর ব্যতিক্রম নই।
প্রতি শুক্রবার একজন মুসলিম হিসেবে আমি আশেপাশের বিভিন্ন মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যাই। এতে করে আমার অনেক পরিচিতজনের সাথে দেখা স্বাক্ষাত হয় এবং আমি তাদের খোঁজ খবর নেই।
আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দুপুর সাড়ে এগারোটায় গোসল সেড়ে, হালকা কিছু খাবার খেয়ে কুড়িগ্রাম মডেল মসজিদের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরি। রাস্তায় অপেক্ষারত ছিলো আমার ভাতিজা। ভাতিজার সাথে দেখা হতেই একটা সেলফি তুলে ফেললাম।
আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে মডেল মসজিদের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। পায়ে হেঁটে গেলে অনেক সময় লাগবে। তাই দেড়ি না করে একটি রিক্সা ডেকে নিলাম। রিক্সায় উঠে আল্লাহর নাম করে রহনা দিলাম মসজিদের উদ্দেশ্যে।
ঠিক যখন বারোটা ত্রিশ মিনিট তখন আমরা মসজিদে এসে পৌঁছালাম। রিক্সা ওয়ালা মামাকে ভাড়া দিয়ে বিদায় করলাম। মাথা ঘুরাতেই সম্পুর্ণ মসজিদটি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বাইরে থেকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিলো মসজিদটি। সুন্দর কারুকাজের মাধ্যমে মসজিদটিকে বাইরে থেকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
মসজিদের শিড়ি বেয়ে উঠার সময় ভাতিজাকে দিয়ে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার কয়েকটি ছবি উঠালাম। সেই সাথে ভাতিজারও কয়েকটি ছবি আমি তুলে দিলাম। আশে পাশে আরো লোকজন দেখলাম। তারাও কেউ কেউ ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।
এবার মসজিদের উঁচু মিনার এর কাছে গিয়ে আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকালাম। অনেক উঁচু ও অনেক সুন্দর ছিলো মিনারটি। যাই হোক এখন সময় দুপুর একটা। মাথার উপরে সূর্য কীরণ দিচ্ছিলো। তাই বেশিক্ষণ আর রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না।
মসজিদের ভিতর এ ঢুকে পড়লাম। তারপর সুন্নত নামাজ আদায় করে ইমাম সাহেবের খুতবা শোনার জন্য চুপ করে বসে পড়লাম। ইমাম সাহেব খুতবা শেষ করে নামাজের জন্য সবাইকে দাড়াতে বললেন। তারপর আমরা ইমাম সাহেবের পিছনে নামাজ আদায় করলাম।
ফরজ নামাজ শেষ করার পর বাকি সুন্নত নামাজ আদায় করে মসজিদের ভিতরে কয়েকটি ফটো তুললাম আমি আর ভাতিজা মিলে। তখনও অনেক মানুষ নামাজ আদায় করছিলো। যাই হোক এবার মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে দোতালায় উঠলাম।
মসজিদের দোতালার মধ্যে এখনো অনেকে নামাজ আদায় করতেছিলো। তাই আমি আর ভাতিজা মিলে একটু দূর থেকে সব কিছু দেখতেছিলাম। দোতালার সবথেকে আকর্ষণীয় ছিলো ঝাড়বাতি। রাতে যখন ঝাড়বাতি গুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখন সবকিছু মিলে মসজিদের পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়ে যায়।
এবার আমি মসজিদ থেকে বের হলাম। বের হওয়ার সময় ভাতিজা আমার একটি ভিডিও ধারণ করে। সংক্ষিপ্ত ভিডিওটি আমি এখানে শেয়ার করলাম।
link
পরিশেষে বলবো আজকে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পেরে আমি খুব খুশি। সবমিলিয়ে আমাদের জেলা শহরের মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করা আমার কাছে নতুন এক অভিজ্ঞতা। আমি এখান থেকে আজ অনেক কিছু শিখেছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
কার্নিভালের নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার দুজন বন্ধুকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। তারা হলেন @razibul @RubinaAkther
পরিশেষে কার্নিভালের নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার পরিচয় সম্পর্কিত একটি ছোট্ট ভিডিও প্রকাশ করছি।
Device | Name |
---|---|
Android | Samsung Galaxy A12 |
Camera | 48 MP, f/2.0, 26mm (wide), AF |
Location | Bangladesh 🇧🇩 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩 |
Short by | @rakibal |
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছেন।
পাশাপাশি আপনি আপনার শহরের মসজিদের বেশ কিছু তথ্য আমাদের মাঝে উল্লেখ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাই আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
কার্নিভাল প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি আপনার শহরের খুবই সুন্দর একটা মসজিদের ফটোগ্রাফি, এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত,, আজকে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন।
এবং ভিডিওর মাধ্যমে আপনি আপনার পরিচয়টা আবারো,,, আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেটা দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো,,, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সৃষ্টিকর্তা সবসময় আপনাকে ভালো রাখুক,, এই কামনাটাই করছি ভালো থাকবেন।
জ্বি আপু, আপনাকেও সৃষ্টিকর্তা অনেক অনেক ভালো রাখুক এই কামনা করি। অনেক ভালো থাকবেন।
বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে আপনাকে। শুক্রবারের দিন যেহেতু জুমার নামাজ তাই সাড়ে এগারোটার দিকে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছেন এবং মসজিদে গিয়েছেন জুমার নামাজ আদায় করার লক্ষ্যে।
আসলে মসজিদের যে কারুকার্য তার সত্যিই অতুলনীয় মডেল মসজিদ। ধন্যবাদ জানাই এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং সুন্দর একটি ভিডিও আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যার মধ্যে আপনার পরিচয় বহন করে।