Contest of March#2 by @sduttaskitcen| My three favorite smartphones.
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে @sduttaskitcen ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত মার্চ মাসের দ্বিতীয় প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে চলছি।
ম্যামকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিবার আমাদের জন্য এমন সব প্রতিযোগীতা আয়োজন করার জন্য। তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাকঃ-
আমরা সকলেই জানি বর্তমান যুগ স্মার্টফোনের যুগ। সবার হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা কম বেশি সকলেই স্মার্টফোন ব্যবহার করছি।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার বেশ লক্ষনীয়। বলতে গেলে স্মার্টফোন ছাড়া আমরা এখন অনেকটাই অক্ষম।
আমার পছন্দের তালিকায় থাকা তিনটি স্মার্টফোনের নাম হলো স্যামসাং গ্যলাক্সি এ১২, রিয়ালমি সি৫৩, রেডমি নোট ১২। এই ফোনগুলো পছন্দ করার পেছনে অন্যতম কারণ হলো, মোটামুটি দাম সাধ্যের ভেতরে এবং ফিচারও অন্যান্য ফোনগুলোর থেকে কম নয়। সব মিলিয়ে সাধ্যের মধ্যে দারুণ প্যকেজ।
স্যামসাং গ্যলাক্সি এ১২ স্মার্টফোনটির মূল্য পনেরো হাজার টাকার আশেপাশে। এর র্যাম ৪ জিবি ও ৬ জিবি এবং রোম ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আর স্যামনাং যেহেতু বিশ্বের মধ্যে বেশ পরিচিত একটি কোম্পানী এবং বহু বছর ধরে সততার সহিত বিভিন্ন প্রোডাক্ট বাজারে সেল দিয়ে আসছে। এই ফোনটি চালাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়।
কেননা র্যম ও রোম মোটামুটি ভালো হওয়ার কারনে বেশ দ্রুত যেকোন কাজ করা যায়। এছাড়াও প্রসেসর অকটা কোর ২.৩৫ জি এইচ জেড পর্যন্ত হওয়ায় অনেকগুলো কাজ একসাথে দ্রুত করা যায়।
আর স্যামসাং ব্রান্ডের ফোনগুলোর ক্যমেরার মান সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি।
রিয়ালমি সি৫৩ স্মার্টফোনটিও ঠিক কাছাকাছি। সাধ্যের মধ্যেই বেশ ভালো ফিচার পাওয়া যায়। সবথেকে ভালো লাগার বিষয় হলো এই ফোনের গেটয়াপ অনেক সুন্দর। হাতে নিলে বেশ অন্যরকম একটা ভাব চলে আসে।
এর র্যাম ৬ জিবি ও রোম ১২৮ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ফোনটির প্রসেসর অকটা কোর ১.৮ জি এইচ জেড পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূল্য খুব বেশি নয়। পনেরো হাজারের আশেপাশেই।
বর্তমান সময়ে রেডমি নোট ১২ স্মার্টফোনটি বেশ জনপ্রিয়। কদিন আগেও এই ফোনটি চাহিদার তুঙ্গে অবস্থান করছিলো। কম মূল্যে এর মধ্যে অনেক ফিচার বিদ্যমান। এর সর্বোচ্চ র্যাম ৮ জিবি এবং সর্বোচ্চ রোম ২৫৬ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
র্যাম ও রোমের দিক থেকে অন্যান্য ব্রান্ডের ফোনগুলোর সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে সাধ্যের মধ্যেই একটি প্যকেজ সকল গ্রাহকদের উপহার দিচ্ছে বলে এই ফোনটিও আমার বেশ পছন্দের।
এর অপারেটিং সিস্টেম সবথেকে লেটেষ্ট। প্রসেসর অকটা কোর ২.৮ জি এইচ জেড পর্যন্ত বিদ্যমান।
স্মার্টফোন ক্রয় করার সময় সবসময় আমি সাধ্যের মধ্যে সেরা ফোনটা নেয়ার চেষ্টা করি।
যেহেতু প্রতিযোগীতামূলক বাজারে বিভিন্ন স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে এবং নামমাত্র মূল্যে বিভিন্ন ফিচার সম্বলিত আপডেট ফোন বাজারে প্রতিনিয়তি আসছে তাই আমার মতো সাধারণ ও মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের কাছে সাধ্যের মধ্যে সেরা ফোন প্রাপ্তির আকাঙ্খা বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে আমিও এর ব্যতিক্রম নই। এছাড়াও স্মার্টফোনের র্যাম, রোম, প্রসেসর, ব্যটারি ব্যাক আপ, ক্যামেরার কোয়ালিটি সবকিছু যাচাই বাছাই করেই আমি ফোন ক্রয় করে থাকি।
অনেক সময় কালারও কিছুটা প্রভাব ফেলে। কেননা আমার বেশি চকমকে রং পছন্দ না। ফোনের কালার হিসেবে আমি ব্লু অথবা গোল্ডেন কালারকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
আমি এখন পর্যন্ত দুটি কোম্পানির তিনটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেছি। প্রথম স্মার্টফোনটি ছিলো স্যামসাং কোম্পানির জে টু সিরিজের একটি স্মার্টফোন। আজ থেকে সাত বছর আগে আমি এটি ব্যবহার করেছিলাম।
এরপর শাওমি ব্রান্ডের একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেছিলাম প্রায় এক বছর। কিন্তু এই মহুর্তে নামটি কোনভাবেই মনে করতে পারছি না। এরপর আবারো স্যামসাং কোম্পানির এ সিরিজের এ ১২ স্মার্টফোনটি ক্রয় করি এবং অদ্যাবদি তা ব্যবহার করছি।
এই তিনটি স্মার্টফোনের মধ্যে আমার বর্তমান যে ফোনটি ব্যবহার করছি সেটি আমার কাছে সবথেকে বেশি পছন্দের। কেননা এটি ব্যবহার করে আমি আনন্দ পাই। তাছাড়া আমি যা চাই তাই এই স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারি।
অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজ, গেমিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিও উপভোগ করা ইত্যাদি সব কিছুই আমি আমার পছন্দের স্যামসাং এ ১২ স্মার্টফোনটি দিয়ে করতে পারি। তাই এটি আমার সবথেকে পছন্দের স্মার্টফোন।
আমি স্মার্টফোনের ব্যবহার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্তই করতে থাকি। ঘুম একমাত্র আমাকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়।
কেননা অফিসিয়ালি অনেক কাজ, তারপর অনলাইন মিটিং সব ফোন দিয়েই করতে হয়। আবার ভিডিও কল, অডিও কল, চ্যটিং এগুলোও করতে হয়। কমিউনিটির বন্ধুদের পোষ্টে কমেন্ট করতে আমাকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয়। তাই বলা যায় শুধু ঘুমানোর সময়টুকু আমি স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকি।
আমি স্মার্টফোনে সবথেকে বেশি বাংলা নাটক উপভোগ করতে ভালোবাসি। ইউটিউবে বিভিন্ন জনপ্রিয় বাংলা নাটক আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করে উপভোগ করি। এছাড়াও ফেসবুকের বিভিন্ন রিলস ভিডিও বেশ উপভোগ করে থাকি।
এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে আমি @glorious1 @cive40 @hasnahena বন্ধুদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
আজ আর নয় বন্ধুরা, ভালো থাকবেন সবাই।
I like Redmi and Samsung Galaxy , their camera production is top notch.
I use my smartphone also till I go to sleep because of the kind of work I do.i can't stay without smartphone.
You've said it all @installation.
Bravo!
আপনার পছন্দের স্মার্টফোনের ভিতরে রেডমি ফোনও রয়েছে। রেডমির ফোন আমিও পছন্দ করি এবং নিজেও ব্যবহার করি। স্মার্টফোন আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে।প্রতিটি কাজ করতে গেলেই এর ব্যবহার করে থাকি। আপনিও আপনার দৈনন্দিন অনেক কাজেই স্মার্টফোনের ব্যবহার করে থাকেন।
ভালো থাকবেন।।
স্মার্টফোন সম্পর্কে দেখলাম আপনার ভালোই অভিজ্ঞতা রয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির যুগে এই স্মার্টফোন জনপ্রিয়তার শীর্ষে এবং সর্বোচ্চ ব্যবহৃত ভিভাইসের মধ্যে ও অন্যতম।
তাই, আমি আপনার এই অভিজ্ঞতার প্রশংসা করছি। কারণ এইটুকু অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির শিকার হতে হবে।
পাশাপাশি, আপনার অনলাইনে পছন্দের প্রোগ্রাম নাটক - এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
প্রথমে আমি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য, এবং আপনার পছন্দের ফোনের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার জন্য।।
আপনি এই সম্পর্কে অনেক বড় ধারণা রাখেন যেটা পরের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি, ধন্যবাদ আপনার প্রতিযোগিতার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অসাধারণ একটি প্রতিবেদন! স্মার্টফোনের প্রচলিত প্রস্তুতি এবং আপনার পছন্দের ফোনগুলির উল্লেখ অত্যন্ত মজার। স্মার্টফোন ব্যবহারের সম্পর্কে আপনার উত্তর অত্যন্ত স্পষ্ট এবং সংবেদনশীল। ধন্যবাদ যে আপনি এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন!
Hello @rakibal
Good to discover through this contest how important smartphones are to you. Your choices for different companies are nice; Samsung Galaxy A12, Realme C53, Redmi Note 12.
Great entry brother!
I wish you good luck in the contest!
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য। এই প্রতিযোগিতার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল স্মার্টফোন। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন একদম অচল।
আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমান যুগ স্মার্টফোনের যুগ। এখন স্মার্টফোন ছাড়া আমরা এক মহুর্ত চলতে পারি না। আপনার কমেন্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ভাই।