Contest of June #2 by @sduttaskitchen| My preference planned or surprise!
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে @sduttaskitchen ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত জুন মাসের দ্বিতীয় প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে চলছি। ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতি মাসেই এমন প্রতিযোগীতা আয়োজনের জন্য। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
আমরা মানুষ, সৃষ্টির সেরা জীব। সুখ দুঃখের অনুভূতি আমাদের রয়েছে। সেইসাথে রয়েছে বিবেক ও বুদ্ধি। জীবনে চলার পথে আমাদের অনেক কিছুর মোকাবেলা করতে হয়।
আমরা যেমন সারপ্রাইজ পেতে বা দিতে পছন্দ করি ঠিক তেমনি পরিকল্পনা মাফিক জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। একজন নিম্ন আয়ের মানুষও প্রতিদিন সকালে বের হয় নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা নিয়ে।
সারাদিন সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবার জন্যে। দিনশেষে মানুষটি যখন বাড়ি ফেরে এবং পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয় তখন তিনিও কিন্তু বিস্মিত হয়।
এত অভাবের সংসারেও সকলের মুখে হাসি দেখতে পাওয়া সত্যি কিন্তু বিস্ময়কর একটি ব্যপার। যাইহোক আমি জীবনে পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে পছন্দ করি।
যদিও সারপ্রাইজ পেতে ভালো লাগে তবুও এখন প্রত্যাশার জায়গা অনেকখানি ছোট হয়ে গেছে। কেননা এখন আমি নিজেই অন্যকে সারপ্রাইজ দিয়ে থাকি। দিনশেষে আমার পরিবার আমার সারপ্রাইজের অপেক্ষায় থাকে।
আমরা যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত তাদের প্রত্যেককেই প্রতিদিন আলাদা আলাদা পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে বের হতে হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে হয়। কোথাও ব্যার্থ হলে আবার নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হয়।
সবমিলিয়ে পরিকল্পনার উপরেই আমাদের থাকতে হয়। আর আমি নিজেও পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করতে পছন্দ করি।
প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং মন্দ বিদ্যমান। ঠিক সারপ্রাইজ এবং পরিকল্পনা এর বাইরে নয়। অতিরিক্ত কোন কিছুই আসলে ভালো নয়। এতে করে বিপরীত কিছু ঘটারও সম্ভাবনা থাকে। সবসময় লিমিটেশন এর মধ্যে থাকতে হয়।
যেমন আপনি সবসময় অন্যকে সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করেন। কোন একজন থাকতে পারে যার সারপ্রাইজ ভালো লাগে কিন্তু প্রতিনিয়ত সারপ্রাইজ ভালো লাগে না। এতে করে তিনি কিন্তু আপনার উপর বিরক্ত হতে পারেন।
আপনাকে কটু কথাও শোনাতে পারেন। এছাড়া সারপ্রাইজ যে সবসময় ভালো কিছু বয়ে আনে তাও কিন্তু নয়। সব কিছুর মধ্যে সামজস্য রেখে আমাদের চলা উচিত। পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।
অনেক সময় পরিকল্পনা করেও অনেক কাজ সফল হয় না। কিন্তু হুট করে কোন কিছু করলে তাতেই সফলতা পাওয়া যায়। পরিকল্পনা অবশ্যই একটি ভালো কাজ।
কিন্তু পরিকল্পনা ছাড়াও যেগুলি আমাদের সাথে ঘটে সেগুলিও কিন্তু অনেকক্ষেত্রে ভালো কিছু বয়ে আনে। তাই যেগুলি ভালো সেগুলি গ্রহন করা আর যেগুলি খারাপ সেগুলি বর্জন করা জরুরি।
আমার জীবনে এমন একটি সারপ্রাইজময় ঘটনা রয়েছে যেটি আপনাদের সাথে ভাগ করছি। ঘটনাটি আমার বিয়ে কেন্দ্রিক। প্রতিদিনের মত সকালে ঘুম থেকে উঠে বাকি কাজগুলো সেড়ে আমি অফিসে গিয়েছিলাম।
দুপুর বারোটা নাগাদ হঠ্যাৎ আমার ফুফাতো বোনের স্বামী মানে আমার দুলাভাই ফোনকলে আমাকে বাড়িতে দ্রুত আসতে বলে। আমি কিছু বলার আগেই তিনি ফোন কেটে দেয়।
কিছুক্ষণ বসে চিন্তা করছিলাম যে কী এমনটা হলো যে আমাকে বাড়িতে ডাকছে। কোন বিপদ হলো নাকি আবার। তাই তাড়াহুরো করে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম।
বাড়িতে গিয়ে দেখি ফুফাতো বোনেরা আর তাদের সব জামাই উপস্থিত। আমি অবাক। হঠ্যাৎ বাসায় এত মেহমান। বড় দুলাভাই বলে চল মার্কেটে যাই। যা মন চায় কিনবো দুই সালা দুলাভাই মিলে।
আমি যেতে রাজি হচ্ছিলাম না। কারণ আমার মনে হচ্ছিলো এখানে নিশ্চই কোন কিন্তু আছে।
এরপর আমার ছোট্ট ভাগনি দৌঁড়ে এসে বলে মামা আজ তোমার বিয়ে। কী মজা। আমি একদম হকচকিয়ে উঠলাম।
বিয়ে নিয়ে আমার কত পরিকল্পনা ছিলো। কত আনন্দ করে বিয়ে করবো আর এরা সকলে বলে কী! মেয়েকে দেখলাম না জানলাম না আর আমার বিয়ে। সব পরিকল্পনা কী ধুলিস্বাত হবে আমার।
দুলাভাই একটু পরেই জানালো যে আমার মা মেয়ে পছন্দ করেছে এবং আজকেই নাকি আমাকে বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে তুলবে। তারপর কি আর করার।
বিয়েটা করতেই হয়েছিলো শেষ পর্যন্ত। এটাই ছিলো আমার জীবনের এই পর্যন্ত সবথেকে আশ্চার্যজনক ঘটনা।
হ্যাঁ আমার জীবনে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যেগুলোতে পরিকল্পনা করেও আমি সফল হতে পারিনি। তার মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা হলো সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার একটি বড়সরো পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যার্থ হয়েছিলাম।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার পর আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে সাজেক বেড়াতে যাবো। সেই অনুযায়ী প্রত্যেকের কাছে দশ হাজার করে টাকা চাদা হিসেবে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
সবাই রাজি হয়েছিলো মোটামুটিভাবে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধিয়েছিলো কিছু বড়ভাই। তারা আমাদের পরিকল্পনার কিছুদিন পরে কক্সবাজার টুরে গিয়ে কী জানি একটা গন্ডগোলের মাঝে ফেসে গিয়েছিলো।
দুদিন তাদের থানা হাজতে থাকতে হয়েছিলো। এই ঘটনা পুরো কলেজে তোলপার সৃষ্টি করেছিলো। তাই সবমিলিয়ে পরবর্তীতে সব বন্ধুদের স্বপ্ন ভেংগে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো।
অথচ সাজেক যাওয়ার জন্য কত প্লান কত প্রোগ্রাম। সবার চোখে শুধু সমুদ্র সৈকত আর সাজেক ছিলো। আমারও তাই। পরিকল্পনা বাতিল হওয়ার পর খুব মন খারাপ করেছিলাম। রিতীমতন কেঁদে দেয়ার মতো অবস্থা হয়েছিলো।
যাইহোক বন্ধুরা এই ছিলো আমার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। এখন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের জন্য আমি @rajusam @goody2020 @jimiaera02 @tonu88 বন্ধুদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X-promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1805260928935670100
সবার আগে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনি এই কনটেস্টে পার্টিসিপেট করেছেন, এবং আপনি কনটেস্ট এর প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর অনেক সুন্দর করে দিয়েছেন, আমার কাছে পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।