Better Life with Steem|| The Diary Game||15 April 2024||।।
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরতে চলছি। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
ঈদ চলে গেলো, বৈশাখ চলে গেলো। এরই নাম জীবন। সময় তার নিজ গতিতে চলছে। জানিনা আগামি ঈদ ও পহেলা বৈশাখ পাবো কী না। তবে আল্লাহ্র নিকট কামনা করি যতদিন বেঁচে থাকি সুস্থতা নিয়ে যেনো বেঁচে থাকতে পারি।
যাইহোক আজ সকালে ঘুম থেকে প্রথমে সন্তানের খোঁজ নিই। স্ত্রীকে ফোনকল দিলে সে জানায় বাবুর মাথার চুল অনেক বড় হয়ে গেছে। যেহেতু গরম পরেছে কয়েকদিন থেকে তাই চুলগুলো কাটা জরুরি।
আমিও বললাম আচ্ছা ঠিক আছে, মাকে বলে দেখি কী বলে। এরপর হাতমুখ ধুয়ে সেমাই খেতে খেতে মাকে বলি বাবুর মাথা ন্যাড়া করে দিতে হবে। মা বলে ঠিক আছে। এরপর আমি তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করি।
বন্ধের পর আজ প্রথম কর্মদিবস। এতদিন পর কাজের জায়গায় যেতে পেরে বেশ আনন্দ হচ্ছিলো আমার। কেন জানিনা কাজের জায়গার সাথে আমি কোন এক মায়ায় জরিয়ে গেছি। আজ অফিসে এসে সব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে নিলাম।
কম্পিউটার, বসার জায়গা, টেবিল সব। বেশ কিছুদিন পরে থাকার কারণে ধুলো জমেছিলো এগুলোতে। এরপর খাতা বের করে আগের হিসাব বুঝে নিয়ে নতুন তারিখ লিখে নতুন দিনের কার্যক্রম শুরু করি।
প্রথম দিন হিসেবে কাষ্টমারের আনাগোনা একটু কম ছিলো। ঈদ ঈদ ভাবটা এখনো রয়েছে। এরপর আবার পহেলা বৈশাখ তো আছেই। যাইহোক সাড়ে এগারোটার দিকে স্ত্রী ফোন দিয়ে বলে আমার মা তাদের বাসায় গিয়েছে।
আমাকে তারাতারি করে নাফিত নিয়ে তাদের বাসায় যেতে বললো। কিছুক্ষণ বাদে আবারো বললো বাচ্চার প্রথম মাথা ন্যড়া করার সময় নাকি নাফিতকে উপহার দিতে হয়। তাই আমাকে লুঙ্গি নাহয় গামছা কিনতে বললো।
আমি কাপরের দোকানে গিয়ে ঝটপট একটা ভালো দেখে গামছা কিনে নিলাম। নাফিত ছিলো আমার জানা শোনা এবং ছোট ভাই। তাই তাকে বলতেই সে রাজি হয়ে গেলো। এরপর তাকে নিয়ে আমি শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
সেখানে পৌঁছে দেখি সব ঠিকঠাক। এরপর শুরু হলো বাবুর চুল ন্যাড়া করার পালা। আশ্চার্য বিষয় হলো বাবু প্রথমে একটুও কান্না করেনি। শুধু শেষের দিকে একটু কান্না করেছিলো।
ন্যাড়া করা হয়ে গেলে আমি নাফিতকে উপহার হিসেবে গামছা আর কিছু বকশিস দেই। সে এগুলো পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছিলো। এরপর তাকে বিদায় দিয়ে আমি সেখানে অবস্থান করি আর ছেলের গোসল করা উপভোগ করি।
গোসল শেষে বাবুকে একটু কোলে নিই। এরপর শাশুরি আমাকে নাস্তা খেতে দেয়। নাস্তা খেয়ে আমি সেখান থেকে বিদায় নিই। আবারো অফিসে এসে সাধারণ কাজকর্ম শুরু করি।
দুপুরের দিকে বাসায় গিয়ে গোসল দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে অফিসে ফিরে আসি। বাড়ির সামনে ফসলি জমিতে ধানের শীষ আসতে শুরু করেছে। এসব দেখে আমার বেশ খুশি লাগে। কেননা কিছুদিন পরেই কৃষক নতুন ধান ঘরে তুলতে পারবে।
তাছাড়াও বিকেলের প্রকৃতি আজ দারুণ ছিলো। সূর্্য যেন তার সব রং প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিলো। এমন আবহাওয়া আমার অনেক পছন্দের।
আবার অফিসে এসে কম্পিউটার অন করে কিছু বন্ধুদের পোষ্টে কমেন্ট করতে শুরু করি। কমেন্ট করা শেষে আসরের আজান হয়। এরপর এককপ চা খেয়ে নিই। রং চা আমার বেশ পছন্দের।
সন্ধ্যার আগে কেন জানিনা হঠ্যাৎ মাথা ব্যাথা আর সর্দি শুরু হলো। বোধয় একটু বেশি গরম পরেছে তাই এমনটা হচ্ছে। দেড়ি না করে ডাক্তার সাহেবের কাছে গিয়ে কিছু মেডিসিন নিয়ে আসলাম।
সন্ধ্যায় এগুলো খাওয়ার পর কিছুটা আরাম বোধ করেছি। রাতে আবারো স্ত্রী ফোন দিয়ে তাদের বাসায় আমাকে খেতে ডাকে। অফিস থেকে বেড়িয়ে রাতে গিয়ে সেখানে খেয়ে বাসায় আসি। বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের সম্পুর্ণ দিনের কার্যক্রম।
আজ আর নয় বন্ধুরা, ভালো থাকবেন সবাই।
আপনার ছেলের মাথার চুল বড় হয়েছে তাই চুল কাটিয়েছেন। নাপিতকে একটা গামছা দিয়েছেন এবং কিছু টাকা উপহার দিয়েছেন।
অনেকদিন ছুটি কাটানোর পর আবারও কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া আসলেই সত্যি আনন্দ জনক। যদিও বাসার সবার জন্য খারাপ লাগে আবারো কর্মস্থলে ফিরে ভালোই লাগে।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই মারাত্মক রকমের গরম পরেছে।এর মাঝে ছেলের চুল কাটার জন্য নাপিত নিয়ে শশুড় বাড়িতে গিয়েছেন। প্রথমবার চুল কাটলে টাকার সাথে সাথে লুঙি বা গামছা দেয়ার প্রচলন আমাদের এলাকাতেও আছে।
আমার ছেলেদের চুল আমার ভাবিই বেশি কেটে দিতো। নাপিতের মতোই অনেকটা সে।আমি এটা লিখেছি এটা পড়লে পিটাবে আমাকে ভাবি। 😀
প্রচুর পরিমানে গরম পরেছে। পানি খাবেন বেশি করে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারনেও মাথা ব্যাথা করে।
ভালো থাকবেন সবসময়।