Better Life with Steem|| The Diary Game||12 June 2024||।।
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরছি। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
বর্তমানে সকালের সময়টুকু বেশ ভালোই কাটছে আমার। কেননা ছেলের সাথে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। সে এখন হাসতে জানে, ঠোঁট নাড়াতে জানে। নিজে নিজে কী যে বলে আমি বুঝি না।
তবে আমি যদি কোন কথা বলি তাহলে সে বুজতে পারে এবং উত্তর করে আমার কথার। এরপর একদিন আমার ছেলের কথা বলার ভঙ্গি ভিডিও করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। আজ অবশ্য ব্যস্ততার কারণে পারিনি।
যাইহোক ছেলের সাথে সময় কাটিয়ে আবারো ছেলেকে ঘুম পারিয়ে আমি বাকি কাজগুলো সেড়ে নিয়েছিলাম। এরপর সকালের নাস্তা হিসেবে নুডলস খেয়েছিলাম।
বউয়ের হাতের রান্না করা নুডলস সত্যি অনেক মজাদার। এরপর আবার মীম এসে কতগুলো আম আমার সামনে দিলো। আমগুলো অবশ্য আমাদের বাড়ির গাছের। তাই দেড়ি না করে আমগুলো খেতে থাকলাম।
আমগুলো বেশ সুস্বাদু এবং মিষ্টি ছিলো। আম খাওয়া শেষ হলে তারাতারি করে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। এর মাঝে মীম আমাকে বললো আজ বাবুর ইনজেকশনের ডেট রয়েছে।
শুনেই মন খারাপ হয়ে গেলো। কেননা ওর কান্না আমার একদম সহ্য হয় না। তাতে করে আবার একবারেই তিনটা ইনজেকশন দেয়ার কথা রয়েছে আজ। আমি মীমকে বললাম কী হয় আমাকে ফোনে জানিয়ো।
আর বাবু যেন বেশি কষ্ট না পায় সেই দিকে খেয়াল রাখিও। মীম বললো ওকে। তবুও আমার চিন্তা হতে থাকলো। যদি ইনজেকশন দিতে না হতো। কিন্তু পরক্ষণে মনে হলো বাবুর ভালোর জন্যই তো এই টিকাগুলো দেয়া হয়।
যাতে ভবিষ্যতে বাবুর বড় কোন রোগ না হয়। যেমনঃ পলিও, হাম ইত্যাদি। এসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি থেকে বের হলাম। বেরিয়ে দেখি বাইরের আবাদি জমিগুলো সব পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
যেহেতু প্রতিনিয়তই রাতে বৃষ্টি হচ্ছে তাই এমনটা হয়েছে। বৃষ্টির পানি চারিদিকে থই থই করছে। সামনে দু একজন বলাবলি করছিলো যেহেতু জমিতে পানি হয়েছে তাই মাছ চাষ করলে কেমন হয়।
আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম এটা ভালো উদ্যোগ তবে মাছ ছাড়ার আগে জমির চারদিক ভালোভাবে জাল দিয়ে ঘিরে নিতে হবে। কেননা অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সব ভেসে যেতে পারে।
তারাও আমার কথার সাথে একমত হলো এবং বললো বাজার থেকে জাল কিনে এনে চারদিক বেধে দিতে হবে। আমি তাদের সাথে আর কিছুক্ষন কথা বলে আবার হাঁটা শুরু করলাম।
আজ আকাশ বেশ মেঘলা। আমি যখন যাচ্ছিলাম তখনো একটু করে বৃষ্টি পরছিলো। পথে একটি কাঁঠাল গাছের ছবি তুলে নিয়েছিলাম। গাছটিতে বেশ ভালোই কাঁঠাল ধরেছে। কাঁঠাল কিন্তু আমাদের দেশের জাতীয় ফল।
আমাদের দেশের কম বেশি সবাই কাঁঠাল অনেক পছন্দ করে। কেননা কাঁঠাল খেতে সুস্বাদু এবং মিষ্টি হয়। আলহামদুলিল্লহ্ এরপর ভালো মতন অফিসে এসে পৌঁছেছিলাম। আজ অফিসে কাজের চাপ প্রচুর হবে সেটা আগে থেকেই জানতাম।
কেননা আজ লোন বিতরণ ছিলো। আমাদের মাধ্যমে কিছু এনজিও তাদের লোন বিতরণ করে থাকেন। আজ পঁচিশ জনকে লোনের টাকা উত্তোলন করে দিয়েছি। সকাল এগারো টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছিলো একটানা।
এরপর বিরতিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। ছেলের জন্য মন ছটফট করছিলো। ও বলা হয়নি, কাজের ফাঁকে একবার মীমকে ফোন দিয়ে শুনেছিলাম বাবুর ইনজেকশন দিয়েছে কী না। মীম বলেছিলো হ্যাঁ দিয়েছে।
মোটামুটি নাকি বাবু কান্না করেছিলো। যাইহোক বাড়িতে গিয়েই দেখি বাবুর জ্বর এসেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা নাকি বলেছে আজ দুপুর থেকে কাল দুপুর পর্যন্ত জ্বর থাকবে। জ্বর একশত ডিগ্রির উপরেও উঠতে পারে। ভয়ের কিছু নেই এতে।
জ্বরের ঔষধ খাওয়ালে হবে। বাড়িতে আসতেই মা বললো তোর ছেলের অবস্থা আজ খারাপ। হাতে ও পায়ে দুটো ইনজেকশন দিয়েছে। পায়ের উঁড়ু নাকি ফুলে গিয়েছে। কাউকে সেখানে ধরতে দিচ্ছে না। ধরলেই কান্না করছে।
আমিও দেখলাম তাইতো। কিন্তু তবুও কিছু করার নেই। একদিন ধৈর্য্য ধরতেই হবে আমাদের। এরপর গোসল সেড়ে এসে দেখলাম বাবু শুয়ে আছে। এরপর তার পাশে আমি শুয়ে কিছু সময় কাটালাম।
এরপর খেতে বসলাম। আজ দুপুরের খাওয়ার মেনু ছিলো ভাত, ডাল, সবজি আর ভাজি। খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবারো অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। অফিসে পৌঁছে বাকি কাজগুলো করতে থাকলাম।
বিকেলে চা বিস্কুট খেয়েছিলাম আর সন্ধ্যার পর ছোলা সেদ্ধ আর পিয়াজু খেয়েছিলাম। অফিস থেকে বের হতে আজ অনেক দেড়ি হয়েছিলো। কারণ বৃষ্টি। বৃষ্টি প্রচন্ড রকম পরতে শুরু করেছিলো।
তাই বাধ্য হয়ে অফিসের ভেতরে অবস্থান করতে হয়েছিলো। কিছু কাষ্টমার ছিলো তারাও বৃষ্টিতে আটকা পরেছিলো।
মজার বিষয় হলো আজকের এই লিখাটি আজ অফিসে বসেই লিখেছি। আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X-promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1800938111301771362
আপনার ছেলে তো দেখতে দেখতে অনেক বড় হয় গিয়েছে। আপনি খুব দ্রুত আপনার ছেলের বিয়ে দিতে চান হয়ত সেই সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। তাই বলবো আপনি মেয়ে দেখা শুরু করুন😁।
যদিও বউয়ের হাতের কিছু খাওয়ার মতো ভাগ্য এখনও হয় নি তাই বলতে পারবো না তবে হয়ত বউয়ের হাতের খাবার স্বাদ বেশি লাগে কারন খারাপ বললে আবার বাসা থেকে বের করে দিতে পারে। ভালো থাকবেন, ভাইয়া।
আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম যে এখন অনেক খুশির ভিতর রয়েছেন ছেলের সাথে সময় কাটাতে পারছেন গল্প করতে পারতেন।
আসলেই ছোট বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে প্রত্যেক বাপ মার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
প্রতিটি বাচ্চারা এরকম বয়স থেকেই খুব আকর্ষনীয় হতে থাকে। এর আগেতো শুধু ঘুমায়।
কিন্তু এ বয়সে এসে হাত নাড়া, কথা বলার চেষ্টা করা। মানুষ চিনা সবকিছু শিখতে শুরু করে।
আপনার বাচচার আজকে টিকা নেয়ার ডেট ছিলো। টিকা নিলে জ্বর আসে এটা স্বাভাবিক
কিন্তু নাপা সিরাপ খাইয়ে দিলে জ্বর আসে না।এটা আগে আমিও জানতাম না।আমার বড় ছেলে অনেক কস্ট করেছে। কিন্তু এক ডাক্তার আমার ছোটছেলের বেলাতে বলেছিলো প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ানোর কথা। পরে ওকে নিয়ে আর কস্ট করতে হয় নাই।
আপনি একজন শিশু চিকিৎসকের কাছ বিষয়টা ভালো করে জেনে নিতে পারেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চললে হয়তো বাচ্চাটা আর কস্ট পাবে না।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনার দিনলিপিটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ।বিশেষ করে আপনার সকাল বেলা ছেলের সাথে কাটানো সময়টুকু সত্যিই অসাধারণ ছিল। আপনাদের বাবা ছেলের বিটি দেখতে দুর্দান্ত হয়েছে।
বেশি প্রশংসা করলাম না কারণ ছোট বাচ্চাদের নাকি বেশি প্রশংসা করতে হয় না ।ওর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল।
সত্যি পুরুষেরা অনেক ভাগ্যবান কারণ সকালে উঠে কি রান্না হবে? সেটা নিয়ে তাদের কোন চিন্তা থাকে না কারন সেজন্য তার স্ত্রী আছেন। স্ত্রী যখন সকালবেলা নাস্তা পরিবেশন করে তা সবারই ভালো লাগে ।আপনাদের এই সুন্দর ছোট্ট পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
বাচ্চাদের টিকা দেবার সময়ে হয়তো জ্বর হয় ,ব্যাথা থাকে ও অনেক কান্না করে কিন্তু তাও এই বাঁচার জন্য খুবই ভালো । কারণ আমাদের একটুও সচেতনতার অভাব হলে বাচ্চার ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। আমাদের উচিত বাচ্চার সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা এবং তার টিকা গুলো নির্দিষ্ট সময় দেওয়া ।
বৌয়ের রান্নার প্রশংসা যখন কোনো স্বামী করে তখন ধরে নিতে হয় যে বৌ সত্যিই খুব ভালো রাঁধুনী। আপনাদের গাছের পাঁকা আম গুলোর রঙ কি সুন্দর লাগছে দেখতে। ছেলের সাথে কি ভালো সময় উপভোগ করছেন,ছবিতে তা স্পষ্ট। ইনজেকশন গুলো আসলে ওদের সুস্থতার জন্যই দেওয়া হয়। তাই এইটুকু কষ্ট সহ্য করতেই হবে। ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের গল্প পড়ে। ভালো থাকবেন।
সত্যিই নিজের ছেলে মেয়েদের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। মানুষ বড় হওয়ার সাথে সাথে তো নিজের ইচ্ছে বাদ দিয়ে সন্তানের ইচ্ছে পূরণ করায় ব্যস্ত থাকে। বউয়ের হাতে রান্না করা নাস্তা তো ভালো লাগবেই ভাই 😁।মজা করে বললাম।
আপনার পোস্টের শেষের বাবা ছেলের ছবিটিতে আপনাদেরকে বেশ ভালই লাগছে।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছেলের সাথে আপনার খুনশুটির গল্প পড়তে ভালো লাগলো। ছোট মানুষ যাই করে তাই যেন খুব ভালো লাগে। শিশুদের জন্য টিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভবিষ্যতে এটি অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। টিকা দিলে অনেক বাবুরই জ্বর আসে। আবার নেমেও যায় শুনেছি। এটা স্বাভাবিক বিষয়। বাপ বেটার আন্ডারস্ট্যান্ডিং যে খুব ভালো সেটা বোঝা যাচ্ছে। আপনার বাবুর জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।