“হিট স্ট্রোক”
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “হিট স্ট্রোক” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
গতকাল একটি সংবাদ পড়ে খুবই মর্মাহত হলাম। প্রচন্ড গরমে মারা গেছে এগারো বছরের বিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম থেকে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। কুমিল্লা শহরের দাউদকান্দিতে গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা, বয়স বারো বছর, প্রচন্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তার বান্ধবীদের ভাষ্যমতে, হাবিবা তার শ্রেণিকক্ষেই মাথা ঘুরে পরে যায়। এরপর কমনরুমে নিয়ে গিয়ে তার মাথায় পানি ঢালা হয়। পানি ঢালার পরেও কোন কাজ না হলে প্রথমে তাকে হেলথ কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকায় রেফার করা হয়।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার হাবিবার বিষয়ে একটি বক্তব্য অনলাইনে এসেছে। যতটুকু আমি দেখে ও শুনে বুজলাম হাবিবাকে তিনি যখন পেয়েছিলো তখন তার শিরা চলছিলো না।
হিট স্ট্রোক হলো একধরনের মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি। আমরা সকলেই কম বেশি জানি যে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব একটা পদ্ধতি হচ্ছে ঘাম ঝরানো। কিন্তু প্রচন্ড তাপদাহে অনেক সময় শরীর থেকে ঘাম ঝরলেও শরীর তার নিজস্ব তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।
এসময় যদি আরো ডিহাইড্রেশন বা পানিশূণ্যতা ও শারীরিক পরিশ্রম যোগ হয় তাহলে সেটি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে হিট স্ট্রোক এর মত কঠিন সমস্যার দিকে ধাবিত করতে পারে। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে এই হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে।
প্রচন্ড গরমের সাথে যদি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাহলে দেখবেন ঘন ঘন শ্বাস নিতে হচ্ছে, প্রচুর ঘাম হচ্ছে ও মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হচ্ছে। এছাড়াও বমি বমি ভাব ও শারীরিক দূর্বলতা অনুভব হয়। কিন্তু আমরা যদি সচেতন হই তাহলে সহজেই এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
এর জন্য কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা রয়েছে। যেমন প্রথমত শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। সম্পূর্ণ শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে আইস প্যাক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।
খুব দ্রুততার সাথে নেওয়া এইসব পদক্ষেপ গুলি শরীরে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সাহায্য করে। কিন্তু এই অবস্থায়ও পূর্ণ পর্যবেক্ষণ একদম জরুরী।
প্রচন্ড গরমে উপরে বর্ণিত উপসর্গগুলোর সাথে যদি হঠ্যাৎ সচেতনতার মাত্রা কমে যায়, মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়, কথা বলতে কষ্ট হয় এবং শরীররে খিঁচুনি দেখা দেয় তাহলে এই অবস্থাকে হিট স্ট্রোক ধরে নিয়ে যত দ্রুত সমভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থকেন্দ্রে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
হিট স্ট্রোক এর সময় সাধারণত শারীরিক তাপমাত্রা একশত চার ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশী হতে পারে। ফাস্ট এইড কিট বক্সে থাকা ডিজিটাল থার্মোমিটার সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
একদম সূর্যের নিচে থেকে বা সরাসরি যেখানে রোদ পরে সেখানে থেকে ভারী কাজ না করা। যদি এমন কাজ করার দরকার হয় তাহলে প্রতি ঘন্টায় ঠান্ডা এক গ্লাস করে খাবার পানি পান করা দরকার। বিশেষ ক্ষেত্রে লেবু পানি পান করা যেতে পারে।
গরমের সময় হালকা, সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করাই সবথেকে ভালো ও উত্তম। প্রচন্ড গরমে চা বা কফি পান না করাই শ্রেয়।
খুব ভালো হয় যদি ঘরে বসে সব কাজ করতে পারি। প্রচন্ড গরমে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
আসলে এই প্রচন্ড গরমে আমাদের হিরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের,,, একজন ছাত্র মারা গিয়েছে।
আপনি দেখলাম আজকে সে বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের সাথে একটা ঘটনা তুলে ধরেছেন। যেটা কুমিল্লার দাউদকান্দি একটা স্কুলের মাঠে ঘটেছিল।
আপনি এই হিট স্টোক লক্ষণগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আসলে এই বিষয়গুলো জান আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন।
এ পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেকেরই নাজেহাল অবস্থা,,দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন রোগ,,, আর এখান থেকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এই তথ্যগুলো বর্তমান সময়ে আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,, ভালো থাকবেন।
Amigo es muy lamentable lo que le pasó al niño hoy he aprendido mucho de su públicacion con relación al calor, es importante tener encuenta que podemos hacer en esta situación. Saludos y bendiciones.🤗