সময় ব্যবস্থাপনা
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে “সময় ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক একটি লিখনি তুলে ধরছি। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
আমরা সকলেই সময় ব্যবস্থাপনা কথাটার সঙ্গে পরিচিত। একটু ভেঙ্গে বললে, সময়কে কাজের জন্য ভাগ করে নেয়া এবং কাজগুলো সময়ের মধ্যে শেষ করাই হলো সময় ব্যবস্থাপনা।
যারা সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে দিনশেষে তারাই কিন্তু সফল হয়। কিন্তু আমাদের অনেকের মাঝেই সময় জ্ঞান, সময়ের সঠিক ব্যবহার, সবমিলিয়ে সময় ব্যবস্থাপনার বিশেষ অভাব লক্ষ্য করা যায়।
তারা কিন্তু অনেকের থেকে পিছিয়ে থাকে। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে সর্বপ্রথম নিজের মধ্য থেকে অলসতা দূর করতে হবে। অলসতা দূর করা অন্যতম উপায় হলো কাজের মধ্যে সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
তাই এক্ষেত্রে কাজগুলোকে সময় অনুযায়ী ভাগ করে নেয়া অতীব জরুরি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে গত একমাস থেকে এই সমস্যায় ভুগছি। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। বলতে গেলে আমার মাঝে সময় ব্যবস্থাপনার অভাব বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্যণীয়।
যদিও আমার মাঝে আলসেমী ভাব তেমন একটা নেই। তবুও সব কিছু সামলাতে কেমন যেন হাফিয়ে যাচ্ছি। এর সমাধানও আমি বের করে ফেলেছি।
বন্ধুরা সকলের কাছে দোয়া চাই, যাতে করে খুব দ্রুত সকল সমস্যা থেকে নিজের জীবনকে বের করতে পারি এবং সময়কে দারুনভাবে ব্যবহার করে সব কাজ ঠিকমত করতে পারি।
সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সর্বপ্রথম আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন শুনেছিলাম। আমাদের একজন গণিত শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছাত্রদের পড়াশোনার বিষয়ে বেশ কঠোর ছিলেন। স্যারের মুখেই আমি সর্বপ্রথম এই বিষয়টি শুনেছিলাম।
একদিন শ্রেণিকক্ষে স্যার পাঠদানের সময় দুজন ছেলেকে উঠে দাঁড়াতে বলেছিলেন। একজন ছিলেন শ্রেণিকক্ষের সবথেকে ভালো ছাত্র, যার রোল ছিলো এক। আরেকজন শ্রেণিকক্ষের সবথেকে দূর্বল ছাত্র, যার রোল ছিলো পঁচাত্তর।
এরপর স্যার আমাদের বললো এই দুইজনের মাঝে পার্থক্য খুঁজে বের করো। যার টা ভালো হবে তাকে বিশেষ পুরস্কার দেবো। সবাই যে যার মতন পার্থক্য লিখা শুরু করলো।
মজার বিষয় হলো সেদিন সবাই ঐ দুজন ছাত্রের শারীরিক পার্থক্য লিখেছিলো। কেউ লিখেছিলো এর চুল লম্বা নাক খাটো, আবার কেউ লিখেছিলো একজন লম্বা আরেকজন খাটো। স্যার একে একে সবার খাতা পড়ে দেখলেন।
কিন্তু সবাইকে দশে শূণ্য দিলেন, শুধু একজন ছাত্র ব্যতিত। সেই ছাত্রটি রোলের পার্থক্য লিখেছিলো। মানে এর রোল এক আর ওর রোল পঁচাত্তর। তাই স্যার ওই ছাত্রকে দশে পাঁচ দিয়েছিলো।
এরপর স্যার আমাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলেছিলো তোমরা তো সকলে সময়ের মূল্য রচনাটি পড়েছো তাইনা। সময়ের মূল্য যথাযথভাবে দিতে হলে সময়কে ম্যনেজ করা শিখতে হবে।
অর্থ্যাৎ সময়ের সঠিক ব্যবহার ও সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। আজ যে ছাত্রটির রোল এক তার সময় ব্যবস্থাপনার দিকে একবার সবাই তাকাও। দেখবে সময়কে সে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে এবং সময়ের কাজ সময়েই করে।
সে যথাসময়ে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করে। যথাসময়ে খেলাধুলা করে। যথাসময়ে ঘুমায় ও খাওয়া দাওয়া করে। তার ব্যপারে আমি খোঁজখবর নিয়েই বলছি।
সে সবকিছু সঠিক নিয়মে এবং সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে বিধায় আজ সবার থেকে সে আলাদা।
তোমরা নিজেদের দিকে তাকাও, নিজেদের সময় ব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে ভাবো, দেখবে তোমাদের মাঝে কত কিছুর অভাব। একই কথা দুই রোলের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
সে যদি আরেকটু ভালোভাবে সময় ব্যবস্থাপনার দিকটি গুরুত্বসহকারে দেখতো তাহলে তার রোল আজ এক হতো।
তোমরা যারা সময়মত ঘুমাও না, সময়মত খাওয়া দাওয়া করো না, পড়াশোনার সময়কে হেলায় কাটিয়ে দাও, তারা যদি একটি মাস শুধু এই এক রোল যার, তার মত সময়কে গুছিয়ে নিয়ে ব্যবহার করো, দেখবে কতটা পরিবর্তন তোমাদের মাঝে এসেছে।
স্যারের এই কথাগুলি এখনো আমার বেশ মনে পড়ে। স্যারের প্রতি রইলো সম্মান ও ভালোবাসা। বাস্তবেও তাই। আমরা যদি আমাদের যাবতীয় কাজে সময় ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করি তাহলে দিনশেষে তার ফলাফল হবে শূণ্য।
তাই আসুন সকলেই সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আরেকটু সতর্ক হই। নিজের কাজের সময়গুলি ভাগ করে নিই। এরপর যথাসাধ্য চেষ্টা করি সব কাজগুলো সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করার।
কথায় আছে পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। আর আজকে যদি সময় ব্যবস্থাপনাকে আমরা গুরুত্ব দেই তাহলে এই সময়ই একদিন আমাদের সু-সময় এনে দেবে। সেদিন হয়তো আমাদের থেকে বেশি খুশি আর কেউ হবে না।
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1798038391302570375
জীবনে সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে সফলতা ধরা দেবেই। এই মূল্যবান জিনিসটাকে যারা হেলায় নষ্ট করে দেয়। তারা পরবর্তীতে তাদের ভুল বুঝতে পারে।
আপনার গণিতের শিক্ষক খুব সুন্দরভাবে
আপনাদের সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সময় থাকতেই আমাদের এর মর্ম বোঝা উচিত এবং এটির সুষ্ঠ ব্যবহার করা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করার জন্য।
সর্বপ্রথম একটি কথা হল সময় কখনো কারো জন্য থেমে থাকে না। সময় তার নিজ গতিতে চলতে থাকে। প্রতিটি মানুষের জীবনে সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে হ্যাঁ! কেউ এই সময়ের মূল্য দিতে পারে আবার কেউ পারেনা। যে এই সময়কে ভালো কাজে লাগিয়ে যেকোনো কাজ করতে পারে তারাই জীবনের সফল হয়। এজন্য জীবনে সফলতা অর্জন করতে গেলে, এই সময়কে কাজে লাগিয়ে সৎ পথে পরিশ্রম করতে হবে।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই বলবো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সময়ের গুরুত্ব কতটুকু। সেটা আমরা বুঝতে পারি সময় চলে যাওয়ার পর, আমরা সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি না।
আপনি দুইজন ছাত্রের কথা আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন। তাদের রোল নাম্বার নিয়ে। তারা যদি সঠিকভাবে দুইজন একসাথে পড়াশোনা করতো। হয়তোবা একটু কমবেশি হতো। হয়তো বা কারো রোল এক অথবা কারো রোল দুই হতো। কিন্তু একসাথে থাকতে পারতো যদি সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারতো।
আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা সেকেন্ড এর মূল্য অনেক। এই মুহূর্তগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই জীবনে ভালো একটা অবস্থানে গিয়ে পৌঁছাতে পারবো। নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারবো। আমাদের জীবনের সময় খুব দ্রুত পার হয়ে যায়। কিন্তু এই সময়টাকে অবশ্যই ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে, নিজের ভবিষ্যৎ এবং সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়ে তোলা, প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।