“নিরাপদ পানি”
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “নিরাপদ পানি” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
পানি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশকীয় একটি উপাদান। যার জীবন আছে তার পানির দরকার আছে। পানি হলো শরীরবৃত্তীয় রাসায়নিক বিক্রায়ার অন্যতম একটি মাধ্যম। মানুষের শরীরের গঠনগত উপাদানের প্রায় পঞ্চাশ থেকে সত্তর ভাগ হলো পানি।
হিসাব করলে যা দাঁড়ায় তা হলো প্রায় চল্লিশ লিটারের সমান। আমাদের শরীরের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মানুষ খাদ্য ছাড়া কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারলেও পানি ছাড়া কিন্তু কয়েকদিনের বেশি বাঁচতে পারে না।
দৈনিক আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য পানির দরকার হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের দৈনিক চাহিদা মেটানোর জন্য সাত থেকে সাড়ে সাত লিটার পানি প্রয়োজন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে আমাদের বিশ লিটারের মত পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিশ্বে প্রায় চুয়াত্তর কোটি লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করার সুযোগ পায় না।
বর্তমান সময়ে অল্প খরচে যাতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায় সে জন্য পৃথিবীর অনেক দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশেও প্রতি বছর বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। তাছাড়া পানি ব্যবহারের বিভিন্ন নিয়ম কানুন প্রায়শই বিভিন্ন সভা সেমিনার, রেইলি, বক্তৃতা ইত্যাদির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
পানি বিশুদ্ধ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো পানি ফুটানো। তাই যেই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে সেই এলাকায় পানি ফুটিয়ে খাওয়া আবশ্যক। এতে পানিবাহিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বাজারে এখন পানি বিশুদ্ধকরণ বিভিন্ন ট্যবলেট পাওয়া যায়। যেগুলো ব্যবহার করে আমরা খুব সহযেই পানি বিশুদ্ধ করতে পারি। হতদরিদ্র এলাকায় সরকারী ভাবে এসব পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যবলেট বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
বর্তমান সময়ে বাজারে পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলো একশত ভাগ পানি বিশুদ্ধকরণের নিশ্চায়তা দিয়ে থাকে। বাস্তবেও তাই। বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে এর সত্যতা প্রমানিত হয়েছে। তাই যাদের সামর্থ আছে তারা পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্ডার ক্রয় করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘরোয়া ভাবে পানি ট্রিটমেন্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। সেগুলো আমরা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই খুব সহজে পেয়ে যাবো। সেই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে পানি বিশুদ্ধ করতে পারি।
সবথেকে সহজ পদ্ধতি হলো বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা। এটি একটি প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবস্থা। বর্ষা মৌসুমে আমরা বৃষ্টির পানি বিভিন্ন বড় বাক্স বা ড্রামে ভরে অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারি এবং প্রয়োজনে ফুটিয়েও পান করতে পারি।
আমরা সকলেই জানি যে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হয়। তা না হলে শরীরের অনেক উপাদান তার কার্যক্ষমতা হাড়িয়ে ফেলে। শরীরের জন্য নিরাপদ পানির বিশেষ প্রয়োজন এবং এর উপকারিতাও আছে অনেক।
ক্লান্তি দূর করতে পানির প্রয়োজনীয়তাঃ শরীরের কর্মক্ষমতার জন্য কিন্তু পানি আবশ্যক। মনে রাখবেন যদি আপনি ক্লান্তিবোধ করেন তবে বুজবেন আপনার এখন পানি দরকার। আর ক্লান্তিবোধের প্রথম লক্ষণ হচ্ছে ডিহাইড্রেশন। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত জরুরী। পর্যাপ্ত পানি আমাদের শরীরকে সতেজ ও ক্লান্তিমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
কিডনি সুস্থ রাখতে পানির প্রয়োজনীয়তাঃ পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান না করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কেননা কিডনি আমাদের শরীরের যাবতীয় তরল বর্জ্য ছেকে তা মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। আর কিডনিকে সতেজ রাখতে প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি।
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রন করতে পানির প্রয়োজনীয়তাঃ অনেকেই শরীরের ওজন কমাতে চায়। সেই জন্য অনেকে ডায়েট করে। আর ডায়েট করার সবথেকে ভালো উপায় হলো বেশি বেশি পানি পান করা আর খাবার কম খাওয়া। এতে করে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি নষ্ট হয় ও ওজন কমে।
হজমে সাহায্য করতে পানির প্রয়োজনীয়তাঃ পর্যাপ্ত পানি পান করার কারনে আপনার পরিপাক ক্রিয়া তরান্বিত হয় এবং খুব সহজে খাদ্য কণা ভেঙ্গে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে। পরিপাকতন্তের জন্য যা খুবই জরুরী। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে আমাদের বদ-হজম হয় এবং বিভিন্ন রোগবালাই হয়।
সুস্থ ত্বকের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তাঃ পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি আমাদের শরীরের হাইড্রেশন ব্যবস্থা ভালো রাখে এবং রক্ত ঠিকমত চলাচলে সাহায্য করে। যা আমাদের সুস্থ ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যক। আমাদের শরীর যখন প্রয়োজনীয় পানি পায় তখন ত্বক মসৃন হয় এবং দেখতে অনেক সতেজ, নরম ও উজ্জ্বল হয়। তাই পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি আমাদের শরীরের জন্য আবশ্যক।
তাই বলা যায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা গেলে মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত হবে ঠিক তেমনি মানুষ রোগ ব্যধিতেও কম আক্রান্ত হবে। আর শরীর সুস্থ মানে মন সুস্থ। শরীর ও মন দুই সুস্থ থাকলে যে কোন কাজের উৎসাহ এমনিতেই বেড়ে যায়।
আজ আর নয় বন্ধুরা। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহহাফেজ।
একটা কথাই আছে না পানির অপর নাম জীবন,আমাদের এই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রতিদিন আমাদের পানি পান করতেই হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এই পানিতে এত পরিমাণে ভেজাল হয়ে গিয়েছে যেটা বলার মত নয়, চারিদিকে ময়লা আবর্জনার কারণে আমরা বিশুদ্ধ পানি খুব কমই খেতে পাই।
তবে যে পদ্ধতি গুলো আপনি শেয়ার করলেন পয়েন্ট আকারে, এটা আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেটা একটা বিশুদ্ধ পানি আমাদেরকে পান করার জন্য সুবিধা দেবে।
পানির অপর নাম জীবন, এই কথাটি আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। তবে সেটা যদি হয় নিরাপদ পানি।
দারুন লিখেছেন ভাই আমাদের মানতেই হবে পানির উপর নাম জীবন ৷ কারন পানি ছাড়া মানুষ বেশিদিন বাচতে পারবেন না ৷ আর আমরা পানি খাওয়ার সময় তেমন ভাবে কোন কিছু না দেখে পান করে থাকি ৷ তারপর আপনি পানি যেভাবে বিশুদ্ধ করা যায় সেই পদ্ধতি গুলো তুলে ধরেছেন ৷ তারপর বলেছেন পানি শরীরের সাস্থ্যোর জন্যও অনেক উপকারী ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ভাই ৷
সবার সাথে তাল মিলিয়ে আমিও বলতে চাই আসলেই ভাই পানির অপর নাম জীবন পানি ছাড়া আমরা চলতে পারি না।
আসলে আমাদের সব সময় বিশুদ্ধ পানি খাওয়া উচিত এবং বেশিরভাগ ঢাকা শহরের এলাকায় পানি সংকট বেশি হয়ে থাকে সহজে কোন জায়গায় নলকূপ পাওয়া যায় না ময়লা যুক্ত ট্যাবের পানি খেতে হয় এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় পানি ফুটিয়ে খাওয়া।
এবং সবার সামর্থ্য না থাকায় ফিল্টার কেনা সহজলভ্য হয়ে ওঠে না এজন্য আমাদের সর্বদা উচিত পানি ফুটিয়ে খাওয়া ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট ভাগ করে নেওয়ার জন্য আসলেই ভাই পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে।
ভালো থাকবেন।