আমাদের সমাজে একজন নারীর ভূমিকা
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “আমাদের সমাজে একজন নারীর ভূমিকা” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
একজন নারী হচ্ছেন আমার মা, আমার বোন। তাদের নিয়েই আমাদের বসবাস। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পুরুষরা একটি পরিবার গঠনে যেমন ভূমিকা রাখি একজন নারী আমাদের থেকেও বেশি ভূমিকা রাখে। তাই সবার আগে নারীদের সম্মান করতে হবে।
প্রতিটি নারীর অধিকার এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমি আরো মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে নারীরা যদি এগিয়ে যায় তাহলে এই সমাজ তথা এই দেশ তথা এই বিশ্ব এগিয়ে যাবে। আমাদের নারী বিদ্বেষি মনোভাব পরিহার করতে হবে।
এমন একটা সময় ছিলো যখন নারীরা ছিলো অবহেলিত। তখন নারীরা শুধু ঘরের মধ্যেই বন্দি জীবন কাটাতো। বাইরের কোন কাজে তাদের কোন ভূমিকা ছিলো না। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। এই প্রজন্মে এসে নারীরা এখন সব ক্ষেত্রেই অবদান রাখছে।
দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে তারাও তাদের নাম আমাদের সামনে তুলে ধরছে। এমন কোণ সেক্টর নাই যেখানে নারীদের কোন অবদান নাই। নারীরা আজ ড্রাইভিং করে, অফিস আদালতে কাজ করে, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে, বিমান চালায়, রকেট চালায়, ব্যবসা বানিজ্য করে।
এই নারীরাই কিন্তু আমার আপনার মা এবং বোন। তারাই আমাদের জীবন সংসার। আমাদের সন্তানের জননী।
আমাদের দেশে এখনো নারী শিক্ষার হার কম। গ্রামীন পরিবেশে নারীদের তেমন শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা হয় না। আঠারো বছরের আগেই তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। অথচ সরকার কঠোর আইন প্রনয়ন করেছেন বাল্য বিবাহের বিপক্ষে এবং নারী শিক্ষার পক্ষে।
কিন্তু আমরা সেই আইনের তোয়াক্কাই করছি না। কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো একজন নারী যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কোন চাকুরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ায় তাহলে একজন বাবা অথবা একজন মা হিসেবে আপনার কতটা উপকার হবে।
আমি তো মনে করি শেষ বয়সে কোন ছেলে আপনাকে না দেখলেও ঐ মেয়ে আপনাকে দেখবে। আপনার সেবা যত্ন করবে।
আর বর্তমান যুগের মেয়েরা জানে তাদের পড়াশোনার মূল্য কতটুকু। বাংলাদেশ সরকার এখন নারীদের জন্য চাকুরিতে আলাদা কোটার ব্যবস্থা করে রেখেছে। আমার অনেক বান্ধবী অনার্স শেষ করে এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছে। বাবা মা কে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে।
তারা এখন মাথা উঁচু করে সমাজে চলতে পারছে। এর পেছনে প্রধান ভূমিকা ছিলো কার? বাবা মায়ের, তারপর শিক্ষক শিক্ষিকার। অনেক মেয়ে হয়তো আমাদের ব্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে। কেউ এস এস সি পাশ করার পর আর পড়াশোনা চালায়নি আবার কেউ এইচ এস সি পাশ করার পর পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিলো।
কিন্তু যে বান্ধবিরা আজ চাকুরি করছে তাদের সঙ্গে কিন্তু ঐ পড়াশোনা ছেড়ে দেয়া বান্ধবীগুলোর দিন রাত তফাত।
এবার আসি ভালো মন্দ খাওয়ার বিষয়ে। প্রতিটি মেয়েই কিন্তু তাদের প্রিয় মানুষকে রান্না করে খাওয়াতে ভালোবাসে। আমি এমনটা অনেক দেখেছি। একজন নারী যখন একজন পুরুষকে প্রচন্ড ভাবে ভালোবাসে তখন সে তার জন্য সবকিছু করতে রাজি থাকে।
আর একজন নারী যাকে একবার ঘৃণা করে তার দিকে আর মুখ ফিরেও তাকায় না। অনেকসময় আবার ঘৃণা থেকও প্রেমের সৃষ্টি হয়। যাইহোক সেদিকে আর যাবো না।
একজন মা অথবা একজন বোন কিন্তু সংসারের যাবতীয় কাজ করে থাকে এবং সবথেকে কঠিন কাজ রান্না করা এবং ছেলে মেয়েদের সামলানো সেটিও কিন্তু তারা করে থাকে। তাহলে তারা তাদের যথাযথ মর্যাদা পাবে না কেন? একজন সচেতন এবং বিবেকবান মানুষ কখনই একজন নারীকে অসম্মান করবে না। তার যথাযথ অধীকার বুঝিয়ে দেবে।
আসুন আজ আমরা সকলেই প্রতিজ্ঞা করি নারী শিক্ষার প্রতি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেবো। তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করবো। আমাদের সমাজে কোন নারী যেন পিছিয়ে না থাকে সেই বিষয়ে আরো বেশি গুরত্বারোপ করবো।
আজ আর নয় বন্ধুরা, ভালো থাকবেন সবাই।
আপনার লেখা থেকে আমি এই অংশটুকু তুলে নিয়েছে। কেননা বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষকে দেখেছি। যারা নারীকে সম্মান করা তো দূরের কথা। তারা সব সময় চেষ্টা করে কিভাবে নারীকে দমিয়ে রাখা যায়। কিভাবে নারীকে ঘর বন্দী করে রাখা যায়। আর সব সময় একটা প্রশ্নই করা হয়ে থাকে। সারাদিন ঘরে বসে কি করো তুমি।
একটা মেয়ে যদি শিক্ষিত হয় তাহলে কিন্তু সে তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে। এটা আমিও মনে করি। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই বিষয়টার উপর খুব বেশি জোর দেয়া হয় না। অনেকটা জোর দেয়া হয় কিভাবে সংসারের কাজগুলো গুছিয়ে করতে হবে।
আমরা যদি মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠে তাহলে ছেলেদেরকে পিছিয়ে আমরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবো। অনেকের কাছে শুনেই মেয়েদের সমান অধিকার। কিন্তু আমরা যখন ছেলেদের সামনে এই কথাটা প্রকাশ করি। তখন তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের বাজে প্রস্তাব দেয়। এটা আমরা করতে পারবো ওটা তোমরা করতে পারবে কিনা? এই বিষয়গুলো যখন সামনে আসে তখন অনেক বেশি খারাপ লাগে! এবং আমরা পিছিয়ে আসি! ধন্যবাদ আপনাকে একজন স্বাবলম্বী নারী হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! ভালো থাকবেন।
সমাজে নারীদের ভূমিকা পুরুষপর থেকেও কম নয়। সমাজ বা পরিবার গঠনে পুরুষের যেমন ভূমিকা আছে তেমনি নারীদেরও ভূমিকা রয়েছে। একজন সন্তানকে মানুষ হিসাবে তৈরি করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে মা বা নারী। তবে আগের দিনের তুলনায় নারী বা সমাজের মানুষের মধ্যে নারীদের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারনে নারীরা আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। নারীদেরকে সুযোগ দিলে তারা ডানা মেলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে বাল্য বিবাহের ব্যাপারে যেমন আইন আছে তেমনি বল্য প্রেমের ক্ষেত্রেও আইন করা দরকার কারোন দুটোই নারীর অগ্রগামীতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে নারীর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন এখনকার সময়ে নারীরা অনেক এগিয়ে তাদের যদি আগে থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হতো তাহলে তারা অনেক আগে থেকে এগিয়ে যেতো তারাও পারতো একটি পরিবারের সংসার চালাতে ৷ বর্তমান সমাজে নারীরা নানা ধরনের কর্মসংস্থানে যোগদান করছেন পরিবার চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ আর এভাবেই বুঝতে পারা যায় যে একজন নারীর সমাজে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
মেয়েদের কে এখন ও গৃহের উপযোগী করে বড় করা হয় অধিকাংশ পরিবারেই। অথচ মেয়েরা আজকে ছেলের স্থান দখল করে নিচ্ছে। যেখানে ছেলেরা বর্তমানে পরিবারের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছে সেখানে মেয়েরা মাতাপিতার দায়িত্ব সহ অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য সফল ভাবে পালন করছে। তাই সমাজে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ যুগে মেয়েদের কে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। আপনি চমৎকারভাবে এই বিষয়টির অবতারণা করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
নারী আর পুরুষ দুজনকেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সর্বপ্রথম জীবনে স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীদের যদি এগিয়ে আসতে না দেওয়া হয়, তাহলে সমাজ বা দেশ পিছিয়ে যাবে। সমাজ বা দেশের উন্নতির স্বার্থে নারীদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শুরুতেই বলি যে, আপনার একটা কথা আমার খুব ভালো লেগেছে আর সেটা হলো পরিবার গঠনে নারীরা পুরুষদের থেকেও বেশি ভুমিকা পালন করে' এই কথাটি। ধন্যবাদ আপনাকে এই কথাটি স্বীকার করার জন্য। আসলে এই স্বীকৃতিটা অনেক বড় একটা পাওয়া। পাশাপাশি এটাও বলবো যে পুরুষরা অবশ্যই ভুমিকা রাখে । আমার বাবা সারাজীবন দেশের বাইরে কাটিয়েছে আর আমাদেরকে আগলে রেখেছে আমার বাবা।কিংবা আমার নিজের কথাও বলতে পারি আমার স্বামী যখন নারায়ণগন্জ ব্রান্চে ছিলো তখন কোন কোনদিন আমার বাচচাদের সাথে তার দেখাও হতো না। ওরা ঘুমিয়ে থাকতে বের হয়ে যেত আর ঘুমিয়ে পরলে সে বাসার আসতো, তখন সবকিছু আমি সামাল দিয়েছি।তাই বলবো যে, সংসারে আসলে কারো ভুমিকাই কম না।
আপনার লেখায় পড়লাম আর আমি নিজেও করি কিংবা অন্যদেরও দেখেছি নিজে না খেয়ে বাকিদের খাওয়ায়।এটা ভালোবাসা থেকেই হয়। এটার পাশাপাশি শুধুমাএ সেই নারী খেয়েছে কিনা এটা জিজ্ঞেস করলেই কিন্তু একটা নারী সন্তুষ্ট। এর বেশি কিছু ন াহলেও চলে।
আলাদা করে বা আইন করে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোন প্রয়োজন নেই। সেও যে একজন মানুষ এটা ভাবলেই চলেবে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
নারী শিক্ষা আজও আমাদের সমাজে ভালো আোখে দেখা হয় না। আজও আমাদের সমাজ আমাদের নারীদের সঠিক সম্মান টা দেয় না।
তাদের কাছে নারী মানে সংসার সামলানোর একটি মেশিন।
কিন্তু আমাদের সমাজের মেয়েরা যদি তার পরিবার থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য সুযোগ পায় তাহলে তারা অবশ্যই তাদের পরিচয় তৈরিতে সক্ষম হবে।
আর এই কথা গুলো আমাদের সমাজের মানুষ গুলো বুঝতে পারলে আজকে আমাদের সমাজের নারীরা অনেক এগিয়ে থাকতো।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নারী ছাড়া কোন জাতি পরিপূর্ণ সফল হতে পারেনা নারী আমাদের পরিবারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । আমি মনে করি নারীর সম্মান এবং মর্যাদা একজন পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে ঠিক তেমনই হওয়া উচিত যেমনটি আমাদের নবীজির শিক্ষা দিয়েছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব মূল্যবান একটি আর্টিকেল আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য এ থেকে শিক্ষা নিতে পারি নারীদের সম্মান আমরা কিভাবে দিব।
নারীরা আগেও কাজ করতো এখনো করে থাকে।তবে তারা আগে শুধু ঘরেই কাজ করতো এখন তারা ঘর বাহির দুইটাই সামলায়। আমার সবথেকে খারাপ লাগে যখন দেখি কোনো নারীকে কেউ অসম্মান করে।কিছুদিন আগেই মেয়েদের মুখে এসিড নিক্ষেপ করা হতো,তারপর আসল "ইভ টিজিং " শব্দটি।একজন নারী কারো মা,কারো বোন- কিন্ত কেন যে কিছু পিশাচ নারীকে অসম্মান করে।যাইহোক আসুন যার যার জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলি।নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করি।