“চলুন প্রত্যেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হই”
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “চলুন প্রত্যেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হই” শীর্ষক আমার একটি লিখনি উপস্থাপন করলাম। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
বিদ্যুৎ আমাদের সকলের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বর্তমান প্রযুক্তির এই যুগে এসে বিদ্যুৎ ছাড়া এক মহূর্ত চলা অনেক কষ্টকর। এক কথায় বলা যায় আমরা বিদ্যুৎ ছাড়া অচল। আমরা প্রত্যেকেই বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। অথচ দু হাজার পাঁচ সালের দিকে বিদ্যুতের ব্যবহার আমাদের দেশে এতটা ছিলো না।
গ্রামের অনেকের বিদ্যুৎ সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিলো না সে সময়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে গ্রামেও এখন শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত হয়েছে। এসব কিছু হয়েছে প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে। আমরা এখন সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভ্যস্থ। কিন্তু বিদ্যুতের অপচয় রোধে কিংবা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে কেউ অভ্যস্থ নই।
আজ থেকে আট নয় বছর আগেও এ সি, ওয়াশিং মেশিন, গিজার, মাইক্রো ওভেন এগুলো ছিলো বিলাশিতা মাত্র। কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো আমাদের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের বড় বড় শহরে সব বিল্ডিংয়ে কম বেশি এসির ফ্যান দেখা যায়। এসি যেন নিত্য প্রয়োজনীয় একটা জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জীবনে। তাই বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি।
আমরা সকলেই কিন্তু বিদ্যুতের বিল দেই টাকায়। কিন্তু টাকা দিয়ে কি আসলেই বিদ্যুৎ ক্রয় করা যায়। কখনই না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হলো কয়লা। কয়লা কিন্তু আমাদের দেশে পাওয়া যায়। এটি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় আমাদের। আর বিদেশে কিন্তু টাকা চলে না। বিদেশে বিনিময়ের মাধ্যম হচ্ছে ডলার অথবা স্বর্ণ।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে রিজার্ভ সংকট। তাই কয়লার বিল দিতে হয়তো একটু দেরী হয়েছে। ফলস্বরুপ আমাদের দেশে লোডশেডিং এর মাত্রা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি আবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে যা আমদের জন্য স্বস্তির বিষয়।
আমরা আগে থেকেই যদি বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু মিতব্যয়ী হতাম তাহলে আজকে হয়তো আমাদের এই পরিস্থিতিতে পরতে হতো না। আমাদের নিজেদের জমানো বিদ্যুৎ দিয়ে হয়তো আমরা এই সংকট একটু হলেও দূর করতে পারতাম। তাই আসুন সকলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হই।
এসি প্রয়োজন অনুযায়ী চালাই। একটু সাশ্রয়ী হই। অযাথা এসি অন করে না রাখি। যে ঘরে একটা এসিতেই যথেষ্ঠ সেখানে দুটা এসি না চালাই।
মাইক্রো ওভেন কম চালাই। মাইক্রো ওভেনের বিপরীতে অন্য কিছু চালাই। এতে বিদ্যুৎ অনেকটা সাশ্রয় হবে।
এমন সংকটের দিনে কষ্ট করে হলেও হাত দিয়ে কাপড় ধৌত করি। ওয়াশিং মেশিন না চালাই। বা খুব প্রয়োজন না হলে ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার না করি।
প্রয়োজন ছাড়া ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা বা বাতি না জ্বালাই। যেখানে দুটো লাইট বা পাখা চালাতে হয় সেখানে অন্তত একটা চালাই।
যেকোন ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহারের পর সকেট খুলে রাখি। সেগুলো ঠিকঠাক বন্ধ হয়েছে কিনা সেটি বারবার খেয়াল করি। অযাথা কোন কিছু অন না রাখি।
আজ আর নয় বন্ধুরা। সবাই ভালো থাকবেন।
খুবই মূল্যবান একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলে বিদ্যুৎ আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু আমরা যদি অপচয় করি তাহলে ভালো হয় ।
তার অধিক যদি আমরা অপব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের জন্য খুবই সেই বিষয়টি দুঃখজনক।
এত সুন্দর একটি তথ্যমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন কারন বিদ্যুৎ আমাদের দেশের সম্পদ। তাই আমাদের সম্পদ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমাদেরকেই সংরক্ষণ করতে হবে। আজ দেশে বিদ্যুৎ অভাব দেখা যাচ্ছে । এজন্য সবারই অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হবে। কারন বর্তমান বিদ্যুৎ এর ব্যাপক হারে অভাব দেখা দিচ্ছে। এটার কারণ আসলে বিদ্যুতের ঘাটতি। আর এই সমস্যাটা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এটি অনেক দিন ধরে আমাদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলাফল।তাই আমরা সবাই সচেতন হয় এবং প্রয়োজন মতো বিদ্যুৎ ব্যবহার করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন ভাই