কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ
কেমন আছেন সবাই?? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা ভালো আছেন,,
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় লেখক নিয়ে আলোচনা করবো, আমি যার লেখা সব থেকে বেশি পড়েছি তিনি সবার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার
স্যার সম্পর্কে আমি তো বলে শেষ করতে পারবো না
তাই চেষ্টা করছি সামান্য কিছু লেখার
স্যার আমাদের মাঝে নাই এটা আমরা সবাই জানি, আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন, আমিন
স্যার হুমায়ূন আহমেদ এর জন্ম - মৃত্যু
(তেরো নভেম্বর ঊনিশসো আটচল্লিশ - উনিশ জুলাই দুই হাজার বারো)
নেত্রকোনা জেলা জন্ম গ্রহণ করেন
স্যার একজন লেখক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, ছোট গল্প কার,
আমরা কম বেশি সবাই হুমায়ূন আহমেদ স্যার লেখা পড়েছেন বা চলচ্চিত্র দেখেছেন যারা স্যার এর লেখা পড়েছেন বা দেখেছেন তারাই প্রেমে পড়ে যায় আমিও পরে গেছি
স্যার এর সব চেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হিমু এবং মিসির আলী
হিমু যখন আমি পড়তাম তখন যেনো আমি নিজেকে হিমুর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করছি ,যতক্ষণ পড়ছি ততক্ষন যেন একটা ঘোরের মধ্যে থাকি হিমু একটা কটকটে হলুদ পাঞ্জাবী পরে শহরে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ায়, হিমু চরিত্রের সব চেয়ে ভালো লাগে হিমুর কোনো পিছুটান নেই আর হিমুকে যে যা ভাবে সে হিমু তেমন ই আচরণ করে এতে হিমু মজা পায়,
হিমু যেন মজা করাই তার কাজ, হিমুর পুরা নাম হিমালয় ,হিমালয় থেকে হিমু যখন কাউকে হিমু তার পুরা নাম বলতো তখন সবাই ব্রু কুচকে দেখতো ব্যাপার টা হিমু খুব উপভোগ করে
হিমালয় তার বাবার দেয়া নাম ,হিমুর বাবা তাকে মহা পুরুষ হতে বলে গিয়েছে তাই সে মহা পুরুষ হওয়ার জন্য সব কিছু ছেড়ে খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবী পরে শহরে ঘুরে বেড়ায়
হিমু যারা পড়েছে তারা জানে আসলে হিমুর কথা বলে শেষ করা যাবে না
এখন একটু মিসির আলির কিছু কথা বলি
মিসির আলী একজন সাইকোলজির অধ্যাপক মিসির আলির কাছে খুব জটিল জটিল সমস্যা নিয়ে মানুষ আসে যেগুলো সমস্যা সমাধান মিসির আলী দিয়ে দেয় কিছু কিছু মানুষ আসে সে রোজ একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখছে সেই স্বপ্নের সমাধান নিতে আসে , আবার কিছু কিছু মানুষ আসে মিসির আলিকে পরীক্ষা করতে , মিসির আলিকে বিভ্রান্ত করতে মিসির আলি মানুষের কথার ধরন দেখেই বুঝতে পারে সে মিথ্যা বলছে
মানুষ যখন কথা বলে তখন তার ঠোঁট হালকা করে কাপে , এক হাত আরেক হাতে নেয় এরকম কিছু কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করে মিসির বুঝতে পারে,
হুমায়ূন আহমেদ তার শেষ জীবন এর কিছু সময় স্থায়ী ভাবে নুহাশ পল্লীতে বসবাস করছেন, নুহাশ হুমায়ন আহমেদ স্যার এর বড় ছেলে, নুহাশ এর নামে তার গাজীপুর এ একটি দৃষ্টি নন্দন বাড়ি তৈরি করেছেন তার যখন মন খারাপ হতো তখন চলে যেতেন নুহাশ পল্লীতে সাথে থাকতেন তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন
হুমায়ূন স্যার এর বেশির ভাগ লেখা ই তিনি নুহাশ পল্লীতে বসে লিখেছেন , নুহাশ পল্লীতে অনেক চলচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে
এখন নুহাশ পল্লী দর্শনীয় স্থান হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে,,
স্যার এর কথা বলে শেষ করাই যাবে না তাই আজ এই পর্যন্তই
আবার আসবো নতুন কোনো লেখা নিয়ে
সেই পর্যন্ত আল্লাহ আপনাদের সবাইকে ভালো রাখুন সুস্থ্য রাখুন
আল্লাহ হাফেজ
Device | Name |
---|---|
Android | Realme c11 |
Camera | 13MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @rabeya1 |
হিমু এবং মিসির আলী এর চরিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
হিমুর বাবা তাকে মহা পুরুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছেন তাই ইমু প্রতিনিয়ত খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে ঘুরে বেড়াতো এটা বেশ ভালো লেগেছে আমার।
এছাড়াও হিমু খুবই মজার মানুষ ছিলেন এই চরিত্রে। মানুষ তাকে যেমনভাবে দেখতে চেয়েছে হিমু সেভাবেই আচরণ করেছে সকলের সাথে এটা খুবই ভালো বিষয়।
মিসির আলী মানুষকে দেখেই বুঝতে পারত তার কাছে সত্য কথা বলতেছে নাকি মিথ্যা বলতেছে। মানুষের কথা বলার ভঙ্গি এগুলো দেখেই বুঝতে পেরেছে ঠোটের কাপনি।
#miwcc
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই যদিও আমি তেমন একটা পড়ার সুযোগ পাইনি, বা সময় পাইনি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু চলচ্চিত্র আমি দেখেছি। যে চলচ্চিত্র গুলোতে উনি সবসময় নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করলেও, তার অভিনয় ছিল খুবই দুর্দান্ত।
আপনি আপনার লেখায় হিমুর কথা তুলে ধরেছেন। হিমু আসলে সবাইকে হাসাতে পছন্দ করত। সবার সাথে মজা করতে পছন্দ করত। তাকে যে যেমন করে ডাকতো, সে নিজের চরিত্রটাকে ঠিক তেমন করেই তৈরি করতো।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বেশ কিছু বই আপনার কাছে দেখছি সংগ্রহ করা আছে। যেগুলোর ফটোগ্রাফি আপনি তুলে ধরেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ অজানা কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc
আপু দুঃখিত আসলে আপনি যার কথা বলছেন উনি হুমায়ূন আহমেদ না হুমায়ূন ফরিদী হুমায়ূন ফরিদী একজন অভিনয় শিল্পী আর হুমায়ূন আহমেদ একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক,
হুমায়ূন স্যার কখনো অভিনয় করেনি
হুমায়ূন আহমেদ।
কথার জাদুকর যিনি।
হিমু,মিসির আলী, বাকের ভাই যার অনবদ্য সৃষ্টি। নুহাশ পল্লি?বইতে পড়ে দেখেছি এর সৌন্দর্য, যাওয়া হয়ে ওঠেনি কখনো।তবে ইং শা আল্লাহ যাব একদিন নুহাশ পল্লি।
স্যারের লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার প্রিয় লেখক সম্পর্কে এত সুন্দর উপস্থাপনা করার জন্য।
আমি আজ পর্যন্ত অনেক লেখকের বই পড়েছি আর সেই লেখকদের মধ্যে আমার সবথেকে প্রিয় লেখক ছিলো শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তবে আমি যখন প্রথমবারের মতো হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা "জোৎস্না ও জননী" বইটি পড়ি সেদিন থেকে আমার প্রিয় লেখকের খাতায় সবার উপরে নাম উঠে আসে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের।
এরপর থেকে উনার অসংখ্য উপন্যাস পড়েছি আমি।স্যারের লেখা প্রতিটা গল্পই শুরু হয় কিছুটা আনন্দ ও রোমাঞ্চ নিয়ে বাট শেষ পৃষ্টার শেষ অনুচ্ছেদে যে কেউ কাদতে বাধ্য।
ধন্যবাদ আপু,আর এভাবেই এগিয়ে যান সামনের স্টিমিট জার্নিতে।
"হিমু সমগ্র "পরে সত্যিই আমি অনেক মজা পেয়েছি, বিশেষ করে হিমুর খালা যখন একটা নেশাখোর মেয়ের সাথে তাকে বিয়ে দিতে চায়,,,তখন হিমুর সাথে মেয়েটির কথোপকথন অনেক অনেক ফানি লেগেছে আমার কাছে।
#miwcc