লাদাখ ভ্রমণের কিছু ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আজ আরো একবার চলে এসেছি আপনাদের মাঝে লাদাখের ছবি নিয়ে। যাক যেহেতু এই মুহূর্তে কোথাও যাবার নেই তাই, পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে ছবিগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ আমি বন্ধুর বাড়িতে বসে আজকের লেখা লিখছি, এখানে আসলে মজা হয় কিন্তু পাশাপাশি প্রচুর মদ খাওয়া হয়ে যায় এটাই রিতা একদম পছন্দ করে না।
আমি জানি আমার গিন্নি ভালোর জন্যই বলে কারণ আমার কিছু বছর ধরে পাচন ক্রিয়া জনিত সমস্যা দেখা গেছে। সেই জন্য রিতা আমার খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে খুব সচেতন।
সারাবছর চেষ্টা করে সাবধানে রাখার এবং একমাত্র রবিবার ও ঘুরতে গেলে ছার পাওয়া যায়। যেহেতু রিতা জানে রণধীর এর বাড়িতে গেলে আসর বসে তাই এটা তার পছন্দের নয়।
কাল খুব সকালে বাড়ি ফিরবো কারণ, বাজার করার প্রয়োজন আছে, তাছাড়া সোমবার অফিস।
আমার লাদাখ অন্যতম প্রিয় জায়গা এবং অনেকেই এতটা উচুতে যেতে সাহস করেন না, কারণ আমাদের সাথে যারা গিয়েছিলেন লাদাখ তাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যাক্তির সংখ্যাই বেশি।
আমি নিজেও একটি নির্দিষ্ট বয়েসে পৌঁছে গেছি, কিন্তু কেনো জানিনা আমার ঘুরে বেড়াবার নেশার কারণেই হয়তো বয়েস কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি।
সেই জন্য আমার মত প্রকৃতি প্রেমী বন্ধু প্রতিবার সঙ্গে রাখি যাতে যেকোনো জায়গার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে উপভোগ করতে পারি।
সত্যি বলতে লাদাখের সৌন্দর্য্য অতুলনীয়, বিদেশের সৌন্দর্যের চাইতে কোনো অংশে কম নয় কিন্তু আপনি যদি সত্যি সেই রূপের সাক্ষী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাহাড়ের চড়াই উতরাই এর পাশাপাশি ঠাণ্ডা গ্রহণের ক্ষমতা রাখতে হবে।
এর সাথে আছে অক্সিজেন এর সল্পতা, কাজেই সব মিলিয়ে মানিয়ে নিতে পারলেই যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আজ এখানেই শেষ করছি, আবার চলে আসবো আপনাদের মাঝে, ভালো থাকবেন এবং সুস্থ্ থাকবেন সবাই।