বিভিন্নতা নিজেকে সকলের থেকে পৃথক করে, রইলো উদাহরণস্বরূপ কিছু ভিন্ন ফুলের ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চই সকলে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যেদিকেই এখন নজর পড়ছে সেদিকেই ক্রিসমাসের এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নজরে পড়ছে, প্রতিটি অনুষ্ঠান মনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে সেটা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেনো।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি বেশ কিছু অন্যরকম ফুল এবং অর্কিড এর ছবি, যাদের মধ্যে স্বভাবগত দিক অনেকেই ভিন্ন এবং এদের মধ্যে একটি অর্কিড উদ্ভিত হওয়া সত্বেও কীট পতঙ্গ খেয়ে থাকে।
আজকের লেখার দ্বারা আমি যে বার্তা বা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাই সেটা হলো, ভিড়ের মাঝে আমরা অনেকেই হারিয়ে যাই;
কেবলমাত্র এই পৃথিবীতে তারাই প্রাধান্য পায়, যারা চিরাচরিত পথের বাইরে আলাদা করে কিছু করবার ক্ষমতা এবং দক্ষতা বহন করেন।
গতানুগতিক জীবনধারা, অন্যের অনুকরণ নিজেস্ব সৃষ্টিশীলতার বিকাশের পথে মূল বাধা হয়ে দাড়ায়।
প্রতিটি মানুষ ভিন্ন এবং ভিন্ন তাদের জীবনে উপার্জিত অভিজ্ঞতা।
সময় সময় কিছু বিষয় বা শিক্ষা অনুসরনের প্রয়োজন পড়লেও অনুকরণের প্রয়োজনীয়তা কখনো পড়ে বলে আমার মনে হয় না।
অনুকরণ সবসময় সৃষ্টিশীলতার পথের বাধা এবং নিজের মস্তিষ্ক পরিচালনার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
এখানে কাজ করা বলে নয়, চাকরি জীবনেও আমি সবসময় নিজের বুদ্ধি, দক্ষতা এবং নিজের চিন্তাধারাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দেওয়া টার্গেট পূরণ করেছি।
এমন মাস গেছে যখন আমার গ্রুপের দেওয়া টার্গেট একাই পূরণ করেছি, অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরেও কাজ করে গেছি, ফলে ফাঁকে পড়েছে পরিবারের সদস্যের জন্য নির্ধারিত সময়।
তবে পেয়েছি এই বয়সেও কাজের ডাক, এখন পরিবার বুঝতে পেরেছে সেই পরিশ্রম এবং ভিড়ের বিপরীতে চলার মূল্য কতখানি।
নিজের পরিচিতি তখনই গড়া সম্ভব যখন নিজের মগজকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু ভাবা এবং সর্বোপরি কিছু করে সেখানে নিজের দক্ষতা দেখানো হয়।
আজকের ফুলগুলো হয়তো অনেকেই সচরাচর দেখতে পান না, কারণ সহজলভ্য কোনো জিনিসের কদর সেই পৃথিবীতে নেই।
নিজের সৃজনশীলতার মূল্য পেতে তাই এমনকিছু করে দেখাতে হবে যেখানে রয়েছে একান্ত নিজেস্ব ভাবনাধারা, না সেখানে থাকে অনুকরণ আর না থাকে নকল করবার প্রবণতা।
তাই আমার মনে হয় যদি এই সমাজের বুকে নিজেকে আলাদা করে গড়তে হয়;
তাহলে ভিড়ের থেকে আলাদা করে চলার চিন্তার পাশপাশি নিজস্বতা বজায় রাখার প্রয়াস।
অবশেষে তাই বলবো, নকল করে কোনক্রমে পাশ করা গেলেও ক্লাসে কখন প্রথম হওয়া যায় না।
পুঁথিগত শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, সৃষ্টিশীল চিন্তাধারা ও মানসিকতার জন্য দক্ষতা এবং পুঁথির বাইরের জগৎ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।
আজ এই পর্যন্ত এসে আমার লেখায় ইতি টেনে বিদায় নিলাম, ভালো থাকুন এবং নতুন বছরটা নিজের দক্ষতায় কিছু করে দেখাবার প্রয়াস করুন এই কামনা করি।
বছর কি বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্যই এত আয়োজন উল্লাস সবার মাঝে বিরাজ করছে। তবে জানিনা যে বছর কি বিদায় জানাচ্ছি সে কি বছরে কতটুকু ভালো কাজ করেছে। আফসোস হয় যে সময়গুলোকে বিদায় জানানো হচ্ছে সেগুলোকে কাজে লাগাতে পেরেছি কিনা।
সকলেই সকলের জায়গা থেকে ভিন্ন। তাই যে জায়গায় থাকে না কেন যেখানেই কর্ম করি না কেন নিজের সততা দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। যেমনটি ভাবে বললেন মগজকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা দেখাতে হবে।
এই ফুলগুলো সচরাচর আসলেই দেখা যায় না। আসলেই সহজলভ্যের কোন মূল্য নেই।
নকল করে নয় বরঞ্চ পুঁথিগত বিদ্যা এবং নিজের জীবনধারার সৃজনশীলতা দিয়ে চিন্তা করতে হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আপনাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।