আমার ভাইয়ের করা বিশ্বকর্মা পুজো এবং বন্ধুর বাড়ীর পুজোর কিছু ছবি।
(আমার ভাইয়ের বাড়ির বিশ্বকর্মা পুজো)
প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ রবিবারের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। আশাকরি আজকের দিনটি আপনাদের সকলের ভালো কেটেছে।
গতকাল বিশ্বকর্মা পুজো ছিল এবং ঠিক সেই কারণের বিভিন্ন ব্যবসায়ী যারা যন্ত্রপাতির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা সাধারণত এই পুজো করে থাকেন। কারণ বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে সাধারণত ধাতব যন্ত্রের এবং একজন স্থপতি বলে মনে করা হয়।
কথিত আছে দ্বারকা যেটি শ্রী কৃষ্ণের বাসস্থান এবং কর্মভূমি বলে জানা সেটি বিশ্বকর্মা ঠাকুরের সৃষ্টি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় সেই সময় যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ছাড়াও পাণ্ডবদের জন্য প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ইন্দ্র প্রস্থে।
এছাড়াও আরো একটি গল্প হয়তো অনেকের জানা নেই, সেটা হলো সোনার তৈরি লঙ্কা যেটি সবাই রাবণের বাসস্থান বলে জানেন, তার পিছনে রয়েছে অন্য একটি গল্পো।
সেই গল্পটি বলবার আগে জানিয়ে রাখি রাবণ ছিলেন শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত।
মহাদেব মানে শিব ঠাকুর তার স্ত্রী পার্বতী এবং নিজের বাসস্থানের জন্য বিশ্বকর্মা কে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করতে বলেন। তাঁর কথামত বিশ্বকর্মা সোনা নিয়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
প্রাসাদ তৈরি শেষে, শিব ঠাকুরের রাবণকে আমন্ত্রণ করেন গৃহপ্রবেশের পুজো করবার জন্য।
পুজো শেষে দক্ষিণা বাবদ শিব ঠাকুর রাবণকে তার ইচ্ছেমত যা খুশি চাইবার কথা বললে, তিনি সোনার লঙ্কা দেখে এতোটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে দক্ষিণা স্বরূপ মহাদেবের কাছ থেকে সেটি চাইলে তিনি সেটি রাবণকে দক্ষিণা হিসেবে দান করে দেন।
আমার বন্ধুর বাড়ির বিশ্বকর্মা পুজো:-
পুরাণে এমন অনেক কাহিনী কথিত আছে যেগুলো সত্যি খুব আকর্ষক কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকাল ছেলে মেয়েরা পৌরাণিক কাহিনীর প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখায় না।
তারা হ্যারি পটারের গল্পো পড়তে বেশি আগ্রহী, কিন্তু আমাদের ছোটো বেলায় আমরা রামায়ণ এবং মহাভারতের গল্পো, ঠাকুরমা ও ঠাকুরদার ঝুলির গল্পো শুনতে ভালবাসতাম।
তাই হয়তো আজকের এই পৌরাণিক কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারছি। আসলে আমাদের পৌরাণিক গল্পগুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে যেটা বাস্তব জীবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লাগাতে পারি।
পাশাপাশি নিজেকে একজন উন্নত মানুষ হিসেবে গড়তে এই পৌরাণিক কাহিনীর অনেক দিক আমাদের কে উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক।
আমরা পুজো আসলে সকলে আনন্দ করি এবং দেব দেবীর পুজো করে তাদের আবাহন করি কিন্তু এই প্রজন্মের কতজন তাদের সম্পর্কে জানেন?
সত্যি বা মিথ্যে এই প্রসঙ্গে যাবো না, কারণ হ্যারি পটারের কোনো অস্তিত্ব কিন্তু নেই, তবুও আমরা লাইন দিয়ে তার গল্পো পড়ার জন্য বই কিনতে দেখেছি।
অথচ বিভিন্ন দেশের এমন অনেক ঐতিহাসিক এবং পৌরাণিক কাহিনী আছে যেগুলো সত্যি বা মিথ্যের তর্কে আমি যাচ্ছি না।
কিন্তু তার থেকে ভালো যা কিছু আমরা নিজেদের জীবনে নিয়ে সঠিক পথ বেছে নিতে পারি, সেটা অবশ্যই করা উচিত।
এখনকার মা, বাবারাও এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ ভাবেন না। আমি মনে করি নিজের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা অবশ্যই প্রয়োজন।
আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন।
আমাদের পুরাণে এমন অনেক অসাধারণ গল্পো আছে এবং সত্যি বলতে আমিও আপনার দলেই পড়ি, ছোটোবেলায় আমার দাদু যখনই আমাদের বাড়ি আসতেন রামায়ণ এবং মহাভারতের বিভিন্ন গল্পো শোনাতেন।
আমি নিজেও পড়তে ভালোবাসি কিন্তু এখন সময়ের অভাবে সেই ভাবে পড়ে ওঠা হয় না।
অনেকেই যারা বাঙালি এই গল্পটি জানেনা, আমার দৃঢ় বিশ্বাস কারণটা সত্যি ঠিক এখন হ্যারি পটারের যুগ।
একদম সঠিক কথা বলেছেন, ভাল লাগলো জেনে আপনিও আমাদের দলে।