পুরির মন্দির এবং সেবায়তের পতাকা পাল্টানোর কিছু ছবি।
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আজ আপনাদের মাঝে আবারও চলে এসেছি বেশ কিছু ছবি নিয়ে, সেই বিষয় কথা বলবার আগে সবাইকে জানায় শুভ রথ যাত্রার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
প্রভু জগন্নাথ সকলেই মঙ্গল করুন, এই আশা নিয়ে আজেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই পতাকা পাল্টানোর গল্পই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
তাই আগে জানাই আমি আমার জীবনে ভারতবর্ষের যতগুলো জায়গা পরিদর্শন করেছি, তাদের সকলের মধ্যে পুরী এমন একটি স্থান যেটি আমি সবচাইতে বেশি বার পরিদর্শনে গিয়েছি।
অন্তত পক্ষে ২৫ বার বা তার অধিক বার আমি পুরী গিয়েছি। সমুদ্রকে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে হলে পুরী আদর্শ স্থান।
কিন্তু আজকে আমি পুরীর সমুদ্র নয় এই মন্দিরের চূড়ায় দোদুল্যমান পতাকার বিষয় তথ্য দিতে এসেছি।
উপরিউক্ত ছবিগুলোতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এক ব্যক্তি, মানে মন্দিরের একজন সেবায়ত অনেকগুলো পতাকা পিঠে বেধে লোহার শিকল এর সাহায্যে মন্দিরের চূড়ায় উঠছেন।
তার সাথে তার একজন সহযোগী রয়েছে, এই কাজটি কিন্তু সব সেবায়ত করতে পারেন না, সেটা কি আপনারা জানেন?
কেবলমাত্র চোল বংশের বংশধরেরাই বিগত আটশ বছর ধরে এই কাজটি সম্পাদন করে আসছেন।
যিনি পতাকা পাল্টান সেই মূল সেবয়তের সাথে যিনি সহকারী থাকেন তাকে বলা হয় নীলচক্র।
প্রধান সেবায়ত তার কাঁধে পা রেখে চূড়ার উপরে ওঠেন।
এই প্রক্রিয়াটি কিন্তু প্রতিদিনের, মানে শীত, গ্রীষ্ম এবং বর্ষা।
পুরনো পতাকাটি প্রতিদিন নামিয়ে এনে, তাকে টুকরো করে ভক্তদের মধ্যে দক্ষিনার বিনিময় বিতরণ করা হয়।
যায় হোক সব মিলিয়ে এটা বলা যেতে পারে ভারতবর্ষের মত ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ দেশ খুব কম আছে, যেখানে ধর্ম এবং কর্ম সব কিছুর পিছনেই রয়েছে কিছু না কিছু ঘটনা।
যাইহোক, আজকের দিনটি আপনাদের ভালো কাটুক এটাই কমাওনা করি, আনন্দে কারণ আজকের দিন, পাঁপড়, গরম জিলিপি এবং চিনি ও কলা খেয়ে।
সবসময় তো বিদেশি খাবার খান, আজকের দিনটি চিরকালীন সমাদৃত খাবার খেয়ে কাটান।
আজ এখানেই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!