Village Lifestyle||গ্রামীণ জীবনধারা।
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? আমি আজ খুব ভালো আছি কিন্তু কারণটা বলা যাবে না। এখন বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা, আমি দুপুরের খাবার শেষ করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। আজকের জন্য কোনো পোস্ট আমি এখনো লিখিনি, তাই হঠাৎ মনে হলো এখন লিখে রাখা উচিত।
কিন্তু কি লিখবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না।তবে এই মুহূর্তে মনে পড়ল আমার আজকের কিছুটা কার্যক্রমই তো আমি লিখতে পারি। কারণ সেই কার্যক্রমে রয়েছে ভিন্নতা।
এই দৃশ্যে থাকা ছেলেটা আমার এক ছোট ভাই। এখন অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে সব ছোট ভাই!
হাঁ হাঁ হাঁ, আমি এখন মুরব্বি। যাইহোক, বিষয় হচ্ছে এই ছেলেটার বড়ভাই ছিল আমার সহপাঠী। তাই সেই সূত্রে এই ছেলেটা আমার ছোট ভাই।
এই ছেলেটি কাঠের ব্যবসা করে। যে কারণে আমার জ্যাঠাবাবুর থেকে দুইটি বড় বড় শিরিষ গাছ ক্রয় করেছিল। তাছাড়া আমাদের ঘরের সামনে দিয়েই ২/৩ দিন যাতায়াত করছিল। কিন্তু আমাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। আজ সকালেও আমার মায়ের কাছে এসে আমার কথা জিজ্ঞেস করেছিল।
আমি গতকাল দুপুরে মাছ খেতে পারিনি, আজ আমি মাছ ধরতে যাবোই। আজ প্রথম রেকর্ড ব্রেক করলাম যে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় মোবাইল সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। পথেই ছোটভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে ভালোই হলো। আমি কিছুক্ষণ ছোটভাইয়ের সাথে কথা বলে পুকুরের দিকে গিয়েছিলাম।
আমি যাওয়ার পথে একটি হলুদ রঙের চম্পা ফুল দেখেছিলাম। অতিরিক্ত বাতাসের জন্য ছবি তুলে ও মজা পাচ্ছিলাম না। যখন কোনো প্রয়োজনে শহরে যাই তখন উপলব্ধি করতে পারি যে গ্রামের এই আগাছা যেটার কোনো মূল্য আমরা দিই না। অথচ শহরের মানুষ কতো যত্নো করছে এগুলোর।
এটাই হচ্ছে সেই ব্রাহ্মী শাক যেটা শহরের মানুষ অনেক মূল্যে বাজার থেকে ক্রয় করে। অথচ দেখুন আমাদের ধানক্ষেতের পাশেই কি পরিমাণে? আমার মা ও আমার জন্য মাঝেমধ্যেই নিয়ে আসে।
এটা নাকি মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা করে। তাছাড়া আমি তিতো খাবার খেতে পছন্দ করি। যে কারণে আমার জন্যই শুধু মা'কে আনতে হয়। কিন্তু একটা অসুবিধা ও আছে। যেহেত, এখন ধানের সময় তাই মাঝেমধ্যেই ধান গাছে কীটনাশক দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
এই ব্রাহ্মী শাক আপনি ইচ্ছে করলেই লাগাতে পারবেন না। কারণ এটা স্যাতসেতে মাটিতে জন্মায়। ব্রাহ্মী শাকের পাতা ও ডগা রসালো প্রকৃতির হয়।
ইতিমধ্যে আমার মা পুকুরে গিয়েছিল। তাই মায়ের হাতে মোবাইলটা দিয়ে আমি জাল ছুড়ে মাছ ধরার চেষ্টা করতেছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই একটি রুইমাছ ধরা পড়েছিল আমার জালের মধ্যে। আমি মাছটিকে উপরে তুলে ব্যাগে রেখে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম।
গ্রামীণ জীবনধারার বৈচিত্র্যতাঃ
➡️গ্রামে বসবাসের সুবিধার্থে ঋতুকালীন আবহাওয়া যেন সম্পূর্ণ ভাবে উপভোগ করা যায়। যেমন গতকাল বিকেলে মনে হচ্ছিল বসন্তের দক্ষিণা বাতাস যেন ক্ষিপ্র গতিতে বইছে।
➡️বর্ষাকালে কর্দমাক্ত মাঠ ও রাস্তা-ঘাট, মাঝেমধ্যেই অনাকাঙ্খিত ভাবে পা পিছলে পড়ে যাওয়া যেটা শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
➡️ বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যের তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃক্ষতলে ছুটে যাওয়া। বাগানের মধ্যেই যেন লোকসমাগম বেশি দেখা যায়।
➡️আবার হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বনভোজনের আয়োজন। শীতের সময় চর্বিযুক্ত হাঁসের মাংস, কি মজা! আমার তো লিখতে লিখতেই আজ বনভোজনের আয়োজন করতে ইচ্ছে করছে।
➡️আমার তো যখন ইচ্ছে হয় তখনই পুকুরে মাছ ধরতে যাই। পুকুর থেকে ধরে নিয়ে আসা তাজা মাছের ঝোল, খুবই মজার।
➡️ সাধারণত অনেক শাক-সবজি আমরা গ্রামের মানুষ ইচ্ছে করলেই বাজারে না গিয়ে ও পেতে পারি। আরো সুবিধা হলো এই সবজি গুলোতে কোনো রাসায়নিক কিটনাশক থাকে না। তাই শরীরের জন্য উপকারী।
আমার গ্রামীণ জীবনধারার কিছুটা অংশ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
আমার কাছে মনে হয় গ্রামীণ জীবনধারায় হয়তো শহরের মত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না,জীবন হয়তো ততটা আরামদায়ক না কিন্তু জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সবচেয়ে বেশি গ্রামেই পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ অক্সিজেন থেকে শুরু করে টাটকা শাকসবজি, মাছ কিংবা দেশি ফলমূল যাই বলি না কেন।
তবে মুখে যতই প্রশংসা করি না কেন আসলে আমরা যারা শহরের জীবনধারাতাদের অভ্যস্ত হয়ে গেছি,তাদের জন্য গ্রামে যে বাস করাটা একটু কঠিনই।
আপনার এই মাছ ধরার বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
ছোট বেলায় আমার খুব শখ ছিল আমি বরশিতে মাছ ধরবো আর নৌকা চালাবো বড় বড় ঘাসে ছাওয়া নির্জন জলাভূমিতে। কিন্তু দুটোর একটাও হয়ে ওঠেনি।
মাছ ধরার লেখা পড়তে পড়তে যেন সেই নিজের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নকে খুঁজে পাই।
ধন্যবাদ চমৎকার একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
গ্রামীণ জীবনযাত্রা আমাকে খুবই টানে। আসলে শহরে থাকি জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে। কিন্তু খোলা আকাশের নিচে বিশাল প্রান্তর ও পাখ -পাখালির ডাক এতো অনুভব করি যা বলার মত নয়। আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। মনে হলো যেন গ্রামে গিয়ে বসবাস করতে পারলে বুঝি প্রশান্তি আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি লেখা উপস্থাপন করার জন্য।
গ্রামের এই গ্রামীন জীবনধারা আসলেই অত্যাধিক সুন্দর। আমরা যারা শহরে থাকি এইরকম গ্রামীণ পরিবেশে থাকার সুযোগ কম হয়। আপনার পুকুরে মাছ ধরতে যাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। এভাবে পুকুরে গিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতিগুলো অন্যরকম। ধন্যবাদ সারাদিনেে।র কার্যক্রমগুলো তুলে ধরার জন্য
আপনার পোস্টের মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনধারা অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে শহরের জীবন ও গ্রামের জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে আমি কখনো এদের মাঝে তুলনা করতে চাই না। দুইটির মাঝে রয়েছে ভিন্ন রকম সৌন্দর্য। এত সুন্দর করে গ্রামীণ জীবনধারা ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।