প্রকৃতি ও উন্নত প্রযুক্তি।
শুভ সন্ধ্যা,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ অনেক ব্যস্ততায় ছিলাম। তাই সন্ধ্যায় বাড়ির ছাদে আসলাম। আজ এই বিষয়টা নিয়েই চলে এসেছি আপনাদের মাঝে।
কেন ছাদে গিয়েছিলাম?
উন্নত প্রযুক্তির একটি আবিষ্কার বৈদ্যুতিক পাখা। যেহেতু বর্তমান আমরা পৃথিবীর উষ্ণতম সময়ে রয়েছি। তাই নিজেদেরকে একটু প্রশান্তিতে রাখার জন্য বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার করি। তবে মাঝেমধ্যে মনে হয় এই বৈদ্যুতিক পাখাতেও যেন মানসিক এবং শারীরিক প্রশান্তি পাই না।
এছাড়াও একটা কারণ ছিল। আজ হঠাৎ আমাদের ক্লাস হয়নি সময়মতো। কিন্তু আমাদের ম্যাম হঠাৎ করেই ইনবক্স করলেন। অবশ্যই ক্লাস হতে পারে আর ক্লাস না হলেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথাই তিনি বলবেন।
বাড়িতে ছোট বোন এসেছে তাই একটু সরগোল। পড়াশোনার জন্য অবশ্যই সুন্দর একটি নীরব পরিবেশ দরকার। এই সুন্দর পরিবেশটা নিজেকে দেওয়ার জন্যই ছাদে গিয়েছিলাম। ছাদে কেউ ছিলনা, বেশ নীরব পরিবেশ।
এক কোণে একটি বসার টুল রয়েছে। আমি ওটাতেই বসে পড়লাম। ম্যাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন আর আমি অন্যদিকে কথা শুনছি, আকাশ ও গাছের ছবি মোবাইলে ধারণ করছি।
আমার কাছে উন্নত প্রযুক্তি:-
আমার ছোটবেলাতে আমাদের গ্রামে বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল না। তখন বৈদ্যুতিক বাল্ব এবং বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার ও ছিল না। কিন্তু দিব্যি আরামা জীবন যাপন করেছি।
দিন দিন উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। আমরা বৈদ্যুতিক সংযোগের সুযোগ সুবিধা ও পেয়েছি ।কারণ উন্নত প্রযুক্তি মানুষেরই আবিষ্কার। যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে মানুষের সংস্পর্শ ও মেধা।
আমি উন্নত প্রযুক্তির স্বপক্ষে। কারণ প্রতিনিয়ত উন্নত প্রযুক্তিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছি প্রয়োজনের তাগিদে। কিছু কাজ করতে গেলেই উন্নত প্রযুক্তি আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
আমার কাছে প্রকৃতি সম্পর্কে অনুভূতি:
উপরেই আমি উন্নত প্রযুক্তির স্বপক্ষে আমার মতামত প্রকাশ করেছি। তবে যদি প্রাকৃতিক বাতাস ও বৈদ্যুতিক পাখাকে পাশাপাশি রাখা হয়, অবশ্যই আমি প্রাকৃতিক বাতাসকেই বেছে নেব।
কারণ প্রাকৃতিক বাতাস শরীরের জন্য উপকারী। এটা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত, উন্নত প্রযুক্তি সীমাবদ্ধ, কিন্তু প্রকৃতি সীমাবদ্ধ না। প্রকৃতি যতটা আমাদেরকে প্রশান্তি দিতে সক্ষম উন্নত প্রযুক্তি সেটা দিতে পারে না।
ছাদে গিয়ে সন্ধ্যা বেলাতে বেশ ভালই লাগছিল। এক মুহূর্তের মধ্যে যেন প্রকৃতি আমাকে স্পর্শ করেছে। প্রাকৃতিক বাতাসের সংস্পর্শে আমি এক অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করেছি। নিজেকে অন্যভাবে তৈরি করেছি, সমস্ত দিনের ব্যস্ততা ও ক্লান্তি গুলো যেন লাঘব হয়ে গিয়েছে।
এটাই হচ্ছে প্রকৃতি, যেটা সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য বরাদ্দ রেখেছেন। সন্ধ্যার মেঘাচ্ছন্ন আকাশটা খুব কাছাকাছি মনে হচ্ছে। ছবিতে দেখুন মনে হচ্ছে নারকেল গাছের উপরে হাত বাড়ালেই আকাশকে স্পর্শ করা যাবে।
বাড়ির মধ্যে থাকা নিম গাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সন্ধ্যায় ছাদে আসার উপকারিতা রয়েছে। আমরা যেমন নির্ভেজাল ও বিশুদ্ধ বাতাস অনুভব করি খুব সকালে, ঠিক তেমনি সন্ধ্যার প্রকৃতি আমাদের জন্য উপকারী।
আজকের সন্ধ্যার মূহুর্ত গুলো মনোরম ছিল। মনে হচ্ছিল পড়ার টেবিলটা নিয়ে এখানেই চলে আসি। বিদ্যুৎ ছাড়া প্রাকৃতিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সংস্পর্শ।
আমার আজকের সন্ধ্যাতে কাটানো প্রকৃতির সাথে কিছু মুহূর্ত, আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আগামীকাল দেখা হবে অন্য কোনো বিষয়ের সাথে।