বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
![]() |
---|
শুভ রাত্রি,
এখন রাত প্রায় ১২:০৫। সূর্যের প্রখর তাপে দিনের বেলা হাঁপিয়ে উঠতে হয়। তাই হঠাৎ এই মাঝরাতে লেখার ইচ্ছা উদয় হলো।
এটাও বাস্তব যে নিরিবিলি পরিবেশে লেখালেখি যথেষ্ট ভালো হয়। তবে এখন চলে যাবো শীর্ষকের বিষয়বস্তুতে।
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। আমার মনে হয় এই লাইনটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি যে ফুলের ছবি উপস্থাপন করেছি, সঠিক নামটা আমার জানা নেই। তবে এই ফুলটি আমার খুব পছন্দের বলতে পারেন। এই ফুলের সাদা রং আমার মনকে আনন্দিত করে।
এই ফুল আমার চোখে পড়লেই, আমি কাছাকাছি গিয়ে স্পর্শ করে দেখি। তবে এটা গাছেই ভালো দেখায়। অপরূপ সৌন্দর্য মানুষের মনকে পুলকিত করে।
যতোবার গাছ থেকে যত্ন করে তুলে নিয়েছি, ততোবারই মনে কষ্ট পেয়েছি। বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ফুল শুকিয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর নির্বোধের মতো গাছ থেকে ফুল বিচ্ছিন্ন করিনা।
শুধু মাত্র ফুল না, ঈশ্বরের সৃষ্টি সকল প্রাণী, উদ্ভিদ ও জীব যার যার স্থানেই সুন্দর।
শিশুরা তাদের মায়ের কোলে নিরাপদ ও পরম শান্তিতে থাকে। দেখবেন একটা শিশু যখন তার মায়ের কাছে থাকে, তখন তার মুখের অবয়বটা চাঞ্চল্যতায় পূর্ণ। কারণ মায়ের কোল শিশুর কাছে স্বর্গ সমান।
বনের পশুপাখি হিংস্র হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বনের কোনো পশুকে যদি লোকালয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন সে তার নিজস্বতা হারিয়ে ফেলে।
কারণ বন তার বাসস্থান, ও ঐ স্থানই তার জন্য উপযুক্ত। খাঁচায় বন্দী করে রাখলে, একটা সময় সে আর তার পূর্বের জীবনে ফিরে যেতে পারে না।
আপনি কি কখনো কোনো পাখি খাঁচায় বন্দী করেছিলেন?
কারো কারো এটি এক প্রকার শখ বলা যায়। কিন্তু আমাদেরকে যদি হঠাৎ কেউ অপহরণ করে একটা অজানা স্থানে রাখে, তাহলে আমাদের অবস্থাটা কেমন হবে?
এটা আমরা প্রত্যেকেই হয়তো করেছি। কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে গেলে রজনীগন্ধা ও সাথে লাল গোলাপ বাড়িতে নিয়ে এসে জল ভর্তি পাত্রে রেখেছি। কিন্তু কি হলো কিছুটা সময় যেতে না যেতেই নুয়ে পড়ে ঐ ফুলটা।
যদিও ফুল গাছে থাকলেও একটা সময় শুকিয়ে যায়। কিন্তু গাছ থেকে ছিঁড়ে ফেলা মাত্রই যেন তার আসল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে।
আসলে ঈশ্বরের সৃষ্টি সবকিছুর জন্য নিজস্ব স্থান রয়েছে। আর ঐ স্থানই তার জন্য উপযুক্ত। আমরা যেমন নিজের জন্ম স্থানে থাকতে বেশি পছন্দ করি।
যেহেতু ফুলের বেশ কিছু ছবি উপস্থাপন করেছি, তাই ফুল সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাকঃ-
ফুলের ব্যবহারঃ
ফুল বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
যেকোনো অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয়, ঐ স্থানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাসহ সকল পূজাতে ফুলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। যার ফলে অর্থ উপার্জন সম্ভব।
ফুলের উপকারিতাঃ
প্রত্যেকটা উদ্ভিদের ফুল ও ফল নানাবিধ ভেষজ গুণে গুণান্বিত। তাই প্রত্যেক ফুলের কিছু না কিছু গুনাবলী রয়েছে।
যেমন জবা ফুল মাথায় ব্যবহার করলে মাথা ঠান্ডা থাকে। আবার খুশকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আমি যে ফুলের ছবি উপস্থাপন করেছি, এই ফুল হাতের তালুতে চেপে লালা বের হওয়ার পর যদি শরীরের কেঁটে যাওয়া কোনো স্থানে দেয়া যায়, তাহলে খুবই দ্রুত ক্ষত স্থান শুকিয়ে যায়।
ফুলের খারাপ দিকঃ-
- সুগন্ধ যুক্ত ফুলে প্রচুর পরিমাণে কীট-পতঙ্গ থাকে। এগুলো খাওয়ার জন্য ব্যাঙ আসে। আবার এই ব্যাঙ খাওয়ার জন্য বিষাক্ত সাপও আসে। তাই এই ফুল গাছের কাছাকাছি যেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রথমত জানাই আপনার অজানা ফুলের নামটি হচ্ছে রঙ্গন ফুল, ফুল টি আমাদের এই অঞ্চলে বেশ অনেক দেখা যায় ফুলটি নিয়ে আমিও একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম ফুলটি দেখতে আসলে অনেক সুন্দর এবং ফুলটির সুবাস অনেক মধুর।
ফুলটির বিষয়ে তথ্যগুলো আমি আগে থেকেই জানতাম এবং আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তথ্যগুলো পুনরায় মনে করে দেওয়ার জন্য এবং ক্ষতিকার দিকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভালো থাকবেন।