Sleeping is Important For Our Health.
নমস্কার,
বন্ধুরা, বিগত রাতে লেখা শুরু করতেই কিভাবে যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা। তাই মাঝরাতে আবারো লেখার উদ্দেশ্যে পি সি তে বসেই টপিক পরিবর্তন এবং ঘুমকেই উপজীব্য করেছিলাম। তবে বিশেষ লাভ হয়নি, আবারো লেখা শুরু করতে গিয়ে ঘুমের দেশে গিয়েছিলাম।
এইরকম পরিস্থিতি ইতিপূর্বে কখনোই আমার সাথে ঘটেনি। যাইহোক, যে কারণে ঘুমকেই আজ বেছে নিয়েছি সেটা নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ঘুম:- ঘুমের প্রকৃত সংজ্ঞা আমার জানা নেই। তবে ঘুম বলতে আমি যেটা উপলব্ধি করি যে যখন আমরা শারীরিক ক্লান্তি অনুভব করি তখন আমাদের চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিতে হয়। এমনকি আপনা-আপনিই যেন চোখ বন্ধ হয়ে আসে এবং কিছু সময় আমরা সচেতনতার বিপরীতে অবস্থান করি। হয়তো এটাকেই ঘুম বলা যেতে পারে।
ঘুমের গুরুত্ব:- শরীরকে সুস্থ্য রাখতে যেমন আমাদের পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান প্রয়োজন, অনুরূপ একটা বিষয় এই ঘুম। বিগত তিন রাত আমার একদমই ঘুম হয়নি যে কারণে একটা শারীরিক অস্বস্তি বোধ করছি। তবে গতরাতে ও যে বিশেষ ঘুম হয়েছে এমনটা না। কিন্তু ঐ যে ঘুমের ঘাটতির জন্য ক্লান্তি যেন আমাকে ছাড়ছেই না।
✅ ঘুম আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
✅নিয়ম করে ঘুমানো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এমনকি একটি সকাল যেমন আমাদের নতুন উদ্যমে কাজ করতে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে, অনুরূপভাবে ঘুমালেও আমরা নতুন শক্তি অনুভব করি।
ঘুমের ক্ষতিকর দিক:-
source |
---|
🚫প্রতিটা জিনিসের ভালো এবং মন্দ উভয় দিক থাকে। তেমনি ঘুমের ও খারাপ দিক আছে। কেউ কেউ বলে ৭/৮ ঘন্টা আবার কেউ কেউ বলে ৫/৬ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট। তবে উপরোল্লেখিত দুই সময়ের বেশি হলেই সেটা ক্ষতিকর যেটা আমি নিজেও জানি।
🚫 অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরকে সতেজ করার পরিবর্তে দুর্বল করে।
🚫 শরীরের উচ্চতা অনুসারে একটা নির্দিষ্ট ওজন আছে। অতিরিক্ত ঘুমালে স্হূলতা বা শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।
🚫 অতিরিক্ত ঘুম উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো খারাপ রোগের সৃষ্টি হয়। যেটা বর্তমান সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে।
ঘুমের ঘাটতি:-
source |
---|
✅ বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ রাতে কম ঘুমায় এবং সকালে বিলম্ব করে ঘুম থেকে ওঠে। যে কারণে চিন্তা করে হয়তো ঘুম কম হচ্ছে। পাশাপাশি এটাও সত্য যে রাতে কম সময় ঘুমিয়ে যদি সকালে বেশিক্ষণ ঘুমানো হয় তাহলে যেন শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় না। সত্যি বলতে বর্তমান ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য আমাদের রাতে ঘুম কম হয়।
✅যখনই আমরা ঘুমোতে যাই এবং শান্ত পরিবেশে চোখ বন্ধ না করে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ভিডিও দেখতে শুরু করি তখন আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমের কথা ভুলে যায়। এমনকি আমরা এতোটাই ঐদিকে মনোযোগী হই যে আমাদের ইন্দ্রিয় গুলো তখন ঘুমের থেকে অনেক দূরত্বে থাকে।
✅এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে সেটা আমাদের অভ্যাসেও পরিণত হয়।
✅ তাছাড়া এই ডিভাইস গুলোর একটা অদৃশ্য শক্তি ও আছে। এটা ঘুমানোর সময় আমরা সাধারণত মাথার কাছে রাখি যেটা আমাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
ঘুমের ঘাটতি দূরীকরণ:-
✅ ইচ্ছে করলেই আমরা অভ্যাস সহজে পরিবর্তন করতে পারি না। তবে হ্যাঁ আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের সময়ের একটা তালিকা তৈরি করতে পারি। যেটা সময়মতো আমাদের পরিকল্পিত কাজ শেষ এবং ঘুমাতে সহযোগী করতে পারে।
✅ ঘুমানোর সময় বিছানাতে ডিভাইস রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
✅এখানে শারীরিক ব্যায়ামকে যোগ করতে পারলে আরো সুবিধা হবে। কারণ শারীরিক ব্যায়াম সবচাইতে বেশি কার্যকরী।
পরিশেষে, আমি এটাই বলবো যে শুধু কাজ না শরীরকেও গুরুত্ব দিতে হবে। একদমই অতিরিক্ত গুরুত্বের স্ব-পক্ষে আমি নেই কিন্তু সুস্থ্যতার জন্য যতোটা দরকার সেইটা তো করা উচিত। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বিষয়টি অনেক মজার লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পড়েছেন বলে ঘুম নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন এটা আসলেই অনেক আমার কাছে মজার লেগেছে।
আসলে ঘুম সম্পর্কে আমারও খুব বেশি কোন অভিজ্ঞতা নেই তবে ঘুম আমাদের মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সঠিক ভাবে ঘুম না হলে শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাই বসে থাকলেও যেনো ঘুম ঘুম চোখে চলে আসে মাঝে মধ্যে আমারও এমনটা হয়ে থাকে যাই হোক সুন্দর একটি বিষয় আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।