বাইক দূর্ঘটনা আমার বন্ধুদের সাথে।
![]() |
---|
Hello Friends,
গরমটা একটু কমেছে কারণ বৃষ্টির দেখা মিলছে প্রতিদিন এজন্য অবশ্যই ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।🙏 তবে আমি নিজেই নিজের ওপর রেগে যাচ্ছি, মনে হচ্ছে আমি অলস হয়ে যাচ্ছি।
আজ বৃষ্টিতে ভিজতে হবে এ কারণেই সকালে বাইরে যাই নি তবে বাড়িতে থেকে রীতিমত ছটফট করেছি। কারণ এলাকার ছোট ভাই ও সহপাঠী এই দুইজনের সাথে আজ অনেক বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে ঐ যে কথায় আছে; ঈশ্বর যদি সহায় থাকে তাহলে কার সাধ্য আছে বিপদে ফেলার।
যে কারণে আমার আজকের শীর্ষকটা আমি একটু অন্যরকম ভাবেই নির্বাচন করেছি। প্রতিদিন একবার সকালে খাওয়ার পর আমার বাজারে যাওয়া অভ্যাস কিন্তু আবহাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। তাছাড়া, আকাশে মেঘ হলেই বজ্রপাতের আগমন ঘটে যে কারণে মা-বাবা ভীষণ রাগও করে বাইরে গেলে।
![]() |
---|
হঠাৎ দুপুরে অচেনা একটি নাম্বার থেকে কল আসলো; ওপাশ থেকে এক ভাই যার ভয়েস শুনেই আমি চিনেছিলাম। কিন্তু যেটা বলল সেটার জন্য আমি একদমই অপ্রস্তুত ছিলাম। ঐ ভাই জানালো ইমন এবং বাপি বাইকে করে যাচ্ছিল একটি কাঠের মিলের সামনে থেকে। তখন একটি কাঠ ভর্তি গাড়ির রশি খুলে দেওয়ার কারণে সকল মোটা মোটা গাছের গুঁড়ি ওদের গাড়ির ওপরে পড়েছে।
আমি এটা শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলাম। তখন আবার ঐ ভাই বলল যে কয়েকজন মিলে ওদেরকে মোটামুটি খুব দ্রুত সরিয়ে নিয়েছে এবং বাইক ও বাপির তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু ইমনের ডান পায়ের অবস্থা ভালো না ভেঙ্গে ও যেতে পারে।
তখনই ভারী বর্ষণ হচ্ছে, সামনে থাকা কারো সাথে কথা বলতে হলে রীতিমতো চেঁচিয়ে বলতে হচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে কল কেটে বাপিকে কল করে সব শুনেই ছাতা হাতে বেরিয়েছিলাম। তাছাড়া ওদের বাইকটা R15, অনেক ভারী আমি চড়তেও ভয় পাই। তাই বাজারে পৌঁছে একটা গাড়ি পাঠিয়েছিলাম ওদেরকে নিয়ে আসার জন্য।
![]() |
---|
এটাই ইমন যার পায়ে বেশি সমস্যা হয়েছে। যাইহোক, অনুপম মামা চেম্বারে এসে দেখে এক্স-রে করাতে বলল। তবে প্রতিবেদন ভালো ছিল হাড়ে কোনো সমস্যা হয়নি কিন্তু মাংসতে চাপ বেশি লাগায় রক্ত জমাট বেঁধে আছে। যদি ওষুধে পরিবর্তন না হয় তাহলে একটা অপারেশন করতে হবে।
➡️এই ঘটনা থেকে কি বুঝলেন আপনারা?
আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে ঈশ্বর সহায় থাকলে যে কোনো বড় বিপদ থেকে ও মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি কর্ম অনুযায়ী ফল, কারণ ওরা প্রায়শই এইরকম অপ্রয়োজনে বাইরে ঘুরতে যায়। আমাদের সময়ের সঠিক ব্যবহার করা উচিত। এই বয়সটাই পরিশ্রম করার বয়স।
আমার বেশি খারাপ লাগার কারণঃ
![]() |
---|
আমার ছেলে বন্ধুর সংখ্যা অনেক বেশি হয়তো তালিকা করলেও অনেকে বাদ পড়বে। ওদের কারো সাথেই আমার রক্তের সম্পর্ক নেই। কিন্তু ঐ যে বন্ধু মানেই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বন্ধু, মানেই সেরা বিনোদন , এক সাথে বসে চায়ের আড্ডা, হাঁসি-মজা ও সুবিধা -অসুবিধা ইত্যাদি সব কিছু ভাগাভাগি করা। যে সম্পর্ক গুলো অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব না।
![]() |
---|
আমি মাঝেমধ্যেই রেগে যাই এটা কিন্তু ছোট থেকেই। আমার এখনো মনে আছে আমি যখন শৈশবে ছিলাম তখন কারো সাথে কটুকথা বলতাম না। কিন্তু আমার মতের বিরুদ্ধে যদি কিছু হতো এবং সমবয়সী কারো সাথে হলে তো কোনো কথাই নেই সাথে সাথে থাপ্পর বা ঘুষি।
বাপি এবং আমি একই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম এবং একই ক্লাসে। আমার মনে আছে কোনো একটা কারণে বাপিকে আমি পিঠে লাথি মেরেছিলাম। বাপি শুধু কান্না করেছিল কিন্তু সাহস পায়নি শিক্ষকদের কাছে বিচার দেওয়ার।
হয়তো এই অংশটুকু লেখার শীর্ষকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না কিন্তু কেন এরা আমার কাছে এতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাই বোঝাতে চাচ্ছি। অনেক স্মৃতি জড়িত এই ভাই-বন্ধুদের সাথে। ওদের কোনো বিপদ হলে খুব খারাপ লাগা কাজ করে।
সকলকে বলবো জীবনের মূল্য অনেক বেশি তাই বাইরে বেরোলে অবশ্যই চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি এইরকম কাঠের মিলের সামনে নির্দিষ্ট জায়গা যেখানে গাড়ি থামিয়ে কাঠ নামানো উচিত। নচেৎ হয়তোবা অকালে অনেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের হারাবে ভবিষ্যতে। আমাদেরকেই সচেতন এবং সোচ্চার হতে হবে।
আমার লেখাতে উপস্থাপিত ছবি গুলো আমি পূর্বে ও ব্যবহার করেছি।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
@mvchacin, ধন্যবাদ ম্যাম।🙏
আসলে বাইক দুর্ঘটনা এখনকার সময়ে খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে, কারণ প্রতিদিনই কোন না কোন মানুষ বাইক দুর্ঘটনা পড়ছে। এবং এ বাইক দুর্ঘটনায় অনেকের জীবনও চলে যাচ্ছে। যেটা অনেকটাই খারাপ দিন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার বন্ধুর বাইক দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হুম, বাইক দূর্ঘটনা যেন এখন সাধারণ একটা ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কোনো দিন নেই যে বাইক দূর্ঘটনার কথা শোনা যায় না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বাইক এক্সিডেন্ট কবে মারাত্মক একটা এক্সিডেন্ট। এই অ্যাক্সিডেন্টে মানুষ পর্যন্ত মারা যায়। গত কয়েক বছর আগে আমাদের বাড়ির সামনেই দুজন মারা গেল, একই সাথে। তাই আমার কাছে মনে হয় আমরা যখন বাহিরে বের হব তখন অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে নিজেদের গাড়ি চালানো চেষ্টা করব। তবে আপনার বন্ধুদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি জানতে পেরে ভালো লাগলো। আশা করি তারা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ধন্যবাদ উপরোক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।