Photography|| Some of my enjoyable moments.
আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার দীর্ঘদিন পোস্ট না করার জন্য। কারণটা আমি লেখাতেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি।🙏 |
---|
স্টিমিয়ান বন্ধুগণ,
কেমন আছেন সবাই? আপনাদের আশীর্বাদ এবং পরম করুণাময় ঈশ্বরের ইচ্ছাতে আমি ভালো আছি। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন আমি অনেকদিন পোস্ট করিনি। আমার ব্যক্তিগত পড়াশুনার অনেক চাপ যাচ্ছিল। এমনকি এখনো আছে। তবে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।
সকলকে স্বাগতম, আমার আজকের লেখাতে। |
---|
আমার আজকের লেখাটিতে আমি কিছু আনন্দময় মুহূর্ত তুলে ধরব। আশা করি এই মুহূর্তগুলো আপনাদেরকেও আবেগপ্লুত এবং এক মুহূর্তের জন্য হলেও শৈশবে নিয়ে যাবে।
অনেক দিন পর আমার একমাত্র বোন বাড়িতে এসেছে। তাই আমার মনটা বেশ প্রফুল্ল। বোন পেয়ারা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। যদিও আগে থেকেই এক বড়'দার আঙ্গিনাতে পেয়ারা গাছের পেয়ারাগুলো নজরে রেখেছিলাম, এরইমধ্যে বোন ও এসেছে। তাই সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে বের হলাম। কি দুঃসাহসিকতা! আমি একাই গিয়েছিলাম চুরি করতে।
গাছের কাছে যেতেই এক ডালে দুইটি পেয়ারা দেখলাম, যেটা খাওয়ার মতো হয়নি। তবে বড়'দা ঘরেই ছিলেন। আমাকে দেখেই বুঝে গিয়েছেন যে লক্ষণ ভালো না। আমি কিছু করার আগেই গম্ভীর কণ্ঠের আওয়াজে দাদা বললেন, "পেয়ারা তুলবি তোল, কিন্তু গাছে ওঠা যাবে না।"
কারণ গাছের সাথে রয়েছে পল্লীবিদ্যুতের তার যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বড়'দা আমাকে অনেক আদর করেন, সেই ছোট বেলা থেকেই। আরো বললেন, "আমি যেন লাঠি ব্যবহার করি এবং পা'য়ে স্যান্ডেল পরা থাকি।"
আমার সমবয়সী দাদার একটি মেয়ে আছে। ওর নাম সুপর্ণা। পেয়ারা তোলার কাজে ও আমাকে সাহায্য করলো। লাঠি দেখিয়ে দিল এবং মজবুত সুতা দিল, এটাকে বাঁধার জন্য।
বিদ্যুতের কথা শুনে একটু ভয় ভয় লাগছিল। একটু দ্রুত করতে গিয়ে পেয়ারা গাছের একটি বড় আকৃতির ডাল ভেঙে ফেললাম। গাছ থেকে পেয়ারা তোলার কাজ এখানেই শেষ করলাম।
এরপর বাড়িতে এসেই দেখি ছোটদের দল তাদের শৈশবের আনন্দময় মুহূর্তে ব্যস্ত।। আমিও একটু যোগ দিলাম ওদের সাথে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত মাঝেমধ্যে শৈশবে পদার্পণ করা। আদৌ এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না।
তবে ছোটদের সাথে যুক্ত হতে হলে তাদের মত আচার-আচরণ করতে হবে না হলে আপনাকে বা আমাকে ওদের দল থেকে বাদ দিয়ে দিবে। এটাতে আমাদের মন ভালো হয়। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন শিশুদের আচার-আচরণ কথাবার্তা আমাদের মত না। ওরা সবকিছুই খুব হালকা ভাবেই বলে দিতে পারে।
তারপর বাড়িতে পৌঁছে স্নান সেরে নিলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম। এরপর পড়াশুনা করলাম কিছু সময়। ঐ মুহুর্তে রাস্তাতে বেশ সোরগোল শোনা যাচ্ছিল। কি হলো? এটা দেখার জন্য রাস্তাতে বেরিয়ে দেখি আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তার তেমাথাতে বয়স্কদের মেলা বসেছে।
বেশ গরম আবহাওয়া বুঝে, আমি আর ওদিকে না গিয়ে অন্য পথে রাস্তাতে বের হলাম। এরকমটাই শুনলাম যে কেউ তাদেরকে বুড়ি বলেছে। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন বৃদ্ধা নারীদের যদি কেউ বুড়ি বলে তাহলে তারা খুব রেগে যায়, ঠিক তেমনি বৃদ্ধ পুরুষদের কেউ যদি বুড়ো বলে ঠিক এরকমটাই ঘটে।
তারপর কিছুক্ষণ রাস্তাতেই থাকলাম। বেশ বৃষ্টি হয়েছে একটু আগেই, তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের চলাচল রাস্তাতে একটু বেশি । সন্ধ্যা আগত তাই বাড়িতে ফিরলাম।
তারপর আমার কাকুর ঘরে গেলাম এবং কাকুর ছোট ছেলের সাথে বেশ কিছুক্ষণ মজা করলাম।
আমার আজকের লেখাটি থেকে শিক্ষণীয়। |
---|
বিশেষ করে আমরা যারা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে রয়েছি, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হবে এটি। আমাদের দেশের গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সংযোগ সর্বত্র। যার ফলে অনেক সময় ঘরের উপর দিয়েও বিদ্যুতের মূল তার নেওয়া হয়।
এমনকি গাছের সাথে স্পর্শ করা তার রয়েছে অনেক জায়গাতে। গতবছর আমাদের গ্রামের একজন এভাবেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করব বাড়ির বাইরে বের হলে, যদি তার সাথে দেখা হয় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখানোর জন্য বিষয়টি।
আমাদের প্রত্যেকেরই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যেখানে এরকম বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। তাছাড়া বৈদ্যুতিক কোনো বাল্ব বা তারের সাথে প্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে গেলে আমাদের শরীরের সাথে যেন সরাসরি ভাবে মাটি সংযোগ না হতে পারে, তার জন্য পায়ে স্যান্ডেল থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। ধন্যবাদ সকলকে।
আপনার বোন বাড়িতে এসেছে জানতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগলো! আপনি তার জন্য পেয়ারা পাড়তে গিয়েছেন,, কিন্তু আপনার কাকু বলেছে গাছে ওঠা যাবে না। কারণ গাছের মধ্যে কারেন্টের তার রয়েছে। উনি আপনাকে সতর্ক করে দিয়েছে।
সারাদিন আপনি দুর্দান্ত একটা সময় কাটিয়েছেন,, যেটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। এরপরে বিকেলবেলা হাঁটতে গিয়েছেন,,, বৃদ্ধ মহিলারা বসে কথা বলছে।
ঘরে আসার আগে আপনি আপনার ছোট কাকুর ঘরে গিয়েছেন,,, তার ছেলের সাথে অনেক মজা করেছেন। জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,,, অনেকদিন পরে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। ইনশাল্লাহ আশা করবো,,, এখন থেকে কন্টিনিউ আপনার ব্লগ আমরা পড়তে পারবো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনার লেখাটা পড়ে একদম ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। আমরাও ছোটবেলায় এরকম অন্যের বাড়িতে গিয়ে ফুল চুরি করতাম বিশেষ ভাবে সরস্বতী পূজার আগের রাতে। আমি যেহেতু শহরের ছেলে ছিলাম আমার বড় গাছ খুব একটা দেখতে পেতাম না। তবুও একটা দুটো যে ফলের গাছ ছিল তার উপর আমরা নজর রাখতাম।
আপনার এই পোষ্টে বিদ্যুৎ সতর্কতার দিকে নজর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।