Photography
![]() |
---|
Hello Friends,
গতকাল যেন বিকেলে ঘুমানোর পর থেকেই শরীরের এনার্জি একদমই ছিল না। আবার রাতে কারেন্ট না থাকায় ভারী অস্বস্তিকর একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
সাধারণত বিলম্ব করে ঘুম থেকে উঠলেও গরমের জন্য আজ সকাল ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তারপর প্রাতঃকৃত্য শেষ করেই একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম কিন্তু প্রকৃতি একদমই সাথ দিচ্ছিল না। আজ সকাল সকাল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।
যাইহোক, মোবাইলের গ্যালারিতে গিয়ে কয়েকটি ছবি দেখেই শৈশবে বিচরণ করেছিলাম। আবার সাথে ছিল কিছু বৃক্ষ রাজি। এখন আমি আমার মোবাইল ক্যামেরাতে ধারণ করা কিছু ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো।
![]() |
---|
এই ছবিতে গোলপাতা ছাড়া আছে নারকেল ও খেজুর গাছ। তবে গোলপাতা যেহেতু বেশি তাই সেটাই বলছি। গোলপাতার জন্য আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ সুন্দরবন পৃথিবী বিখ্যাত। একটা সময় টিনের ছাউনি এবং ইটের ভবন দেখাই যেতো না।
![]() |
---|
ধনী হোক বা গরবী, শুকনোর মৌসুমে পাল্লা চলতো কে কতো ভালো মানের গোলপাতা ঘরের ছাউনিতে ব্যবহার করতে পারে। এখনো রান্না ঘরের ক্ষেত্রে এই গোলপাতা ব্যবহার করা হয়। এই গোলপাতা গাছ আমাদের গ্রামেই আছে। কারণ আমিও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলেই বাস করি।
![]() |
---|
আমাদের গ্রামের একটি রাস্তার কাজ চলমান যেখানে দিনমজুরেরা কাজে ব্যস্ত। একটা এলাকা কতোটা উন্নত সেটার প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে এই রাস্তাঘাট। আমাদের এলাকার কিছু রাস্তার অবস্থা এখন বেশ খারাপ যে কারণে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে চলাচলের ক্ষেত্রে।
![]() |
---|
যতোটুকু খাবার খায় সেটার পাঁচগুণ মুখে না শুধু মাত্র সমস্ত শরীরে মাখায়। এই দৃশ্য দেখে আমি একটু মুচকি হাসি দিয়েছিলাম। কারণ এই সময়টা আমি অতিবাহিত করে এসেছি। হয়তো সেটা অতীত কিন্তু চিরন্তন সত্য। এই শৈশবের সময়টা বড্ড মিস করি।
![]() |
---|
জবাফুল ফোঁটার আগেরদিনের অবস্থা যেটা দেখতে অসাধারন। ঈশ্বরের সৃষ্টি বোঝা বড় মুশকিল। এই ফুলগুলো যেন সৌন্দর্যের প্রতীক স্বরূপ। ফুল ফুটলেই যেন ঐ স্থান ফুলের আলোতে আলোকিত হয়। তাছাড়া ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ কদাচিৎ।
![]() |
---|
শৈশবকালের মতো কাল আর হতেই পারে না। যে কারণে আমরা সকলেই কিন্তু সুযোগ পেলেই বলে বসি যদি আবারো শৈশব ফিরে পেতাম! আমার ভাগ্নির মুখের অবয়বটা একটু দেখুন পৃথিবীর কোনো চিন্তাই তার নেই।
![]() |
---|
শৈশবে পুকুরে এভাবে দলবেঁধে স্নান করতাম কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সেটা এখন শুধু মাত্র স্মৃতি। শৈশবে গরমকালে এভাবেই দলবেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। আমাদের স্নান শেষ হতে হতেই পুকুরের জল আর জল থাকতো না।
![]() |
---|
আম খাওয়ার দৃশ্যটা একটু দেখুন না হেসে পারলাম না। কেবলমাত্র খাওয়া শিখেছে আর মুখের থেকে শরীরের খাবার বেশি লাগছে। নতুন নতুন মাখিয়ে ঝুঁকিয়ে খাওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে শিশুদের খাবার খাওয়ানো খুব কঠিন একটা কাজ।
কিন্তু খাওয়াতে তো হবেই। যে কারণে আমার ভাগ্নির জন্য খাবারের আলাদা একটা তালিকা ও আছে। শিশুরা এক খাবার বারেবার খেতে পছন্দ করে না। তাই পরিবর্তন করে করে খাওয়ানোটাই উত্তম।
পাশাপাশি বিস্কুট, চিপস অর্থাৎ এই জাতীয় বাইরের খাবার খাওয়ানো ঠিক না। এগুলো খেয়াল রাখার কারণেই আমার ভাগ্নিকে খাওয়াতে খুব বেশি বেগ পেতে হচ্ছে না।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক পুরাতন একটি জিনিস আমি আজ অনেক দিন পরে দেখলাম। গোলপাতা কোন একটি সময় আমার খুব ভালো মনে নেই তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম সেই সময় দেখেছিলাম আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজ সেই জিনিসটা আবার দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।
বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম, আগে গোলপাতা বেশি দেখা যেতো। এখন আর মানুষ আগের মতো গোলপাতা ব্যবহার করে না। শুধু মাত্র মুরগির খামারে ও কিছু কিছু বাড়িতে এটার স্বল্প ব্যবহার দেখা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
@bossj23,
Thank you so much 👍
আপনি আজকে দুর্দান্ত কিছু ছবি শেয়ার করছেন মোবাইলের উঠানো ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনি এই ফটোগ্রাফি পোস্টটিতে যতগুলো ছবি ব্যবহার করছেন আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে আপনার ভাগ্নে ও আপনার সুন্দর হাসির মুহূর্তটা দুজনের হাসি একই রকম হওয়াতে ছবিটি আরো বেশি ফুটে উঠেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাকৃতিক সুন্দর দৃশ্য অনেক ছবি আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
ভাই, আমি সত্যি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না কিন্তু আমি অনেক আগে থেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করি। তাছাড়া আমি যখন ছবি তুলি তখন একটি দৃশ্য সর্বনিম্ন হলেও পাঁচ বার ক্লিক করি। কারণ ছবি তুললেই সেটা ভালো হবে এমনটা না।
আপনাদের মন্তব্য দেখে মনে হয় কষ্ট করে ছবি তোলাটা পূর্ণতা পেয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
সত্যিই আপনার ভাগ্নির খাওয়ার ছবি গুলো দেখে আমারও হাসি পাচ্ছে। সে খাচ্ছে কম গায়ে মাখছে বেশি। তবে আপনার তোলা জবাফুলের কুঁড়ির ছবিটি সত্যিই দারুণ লাগছে। আর একথাও সত্যি আমরা সকলেই নিজেদের ছেলেবেলা ফিরে পেতে চাই, আপনার ভাগ্নির মতো চিন্তা মুক্ত হয়ে, প্রাণ খোলা হাসিতে মগ্ন থাকতে চাই। তবে বাস্তবে এমন হওয়া এই জীবনে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ভালো থাকবেন।
অবশ্যই দিদি, এগুলো যেন নিজের শৈশবের প্রতিচ্ছবি এবং হাস্যকর। যেটা দেখে না হেঁসে পারাই যায় না।
আমার ছবি আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো দিদি। আমার লেখাটাই সার্থক হয়েছে আপনার মন্তব্য পেয়ে।
অনেকদিন পর আপনার ফোনের পুরাতন ছবি নিয়ে একটি পোস্ট পড়ার সুযোগ হলো। প্রথমে বলি আপনার ফটোগ্রাফির হাত অনেক ভালো। কিন্তু এই ফটোগ্রাফির নাম শুনলেই আমারও সেই পুরনো দিনের বিয়ে বাড়ির ফটোশুটের কথা মনে পড়ে। কারণ আমিও একসময় ফটোশুটের কাজ করেছিলাম।
আপনার ছবিতে যে গোলপাতার ছবি দেখলাম সেটা আমাদের উত্তরবঙ্গে নেই। কিন্তু আপনাদের দক্ষিণ অঞ্চলে আছে। আগের যুগের মানুষেরা এই গোল পাতা দিয়ে ছাউনি ব্যবহার করত।
সত্যিই আপনার ভাগ্নির আম খাওয়া দেখে আমিও না হেসে থাকতে পারলাম না। 😁।শুধু যে আপনার ভাগ্নি ঐরকম করে খেয়েছে এরকম না। আমরাও হয়তো ছোটবেলা এরকম করেই খেয়েছিলাম।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই, গোলপাতা গাছ সেখানেই দেখা যায় যেখানে জীবন্ত নদ-নদী আছে। জীবন্ত নদী মানে খরস্রোতা নদী ও জোয়ার ভাটা যেখানে চলমান। পাশাপাশি থাকতে হবে লবণ জল। এটা জেনে ভালো লাগলো যে আমার লেখাতে উপস্থাপিত ফটো গুলো আপনার পছন্দ হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার গোল পাতার ফোটোগ্রাফিটা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। আপনার ভাগ্নি যতটা খেতে পেরেছে তার চাইতেও মুখে লাগিয়েছে অনেক বেশি।ছোট বাচ্চাদের এই একটা সমস্যা খাবার যতটুকু খায় তার চাইতেও বেশি নষ্ট করে। তারপরেও চেষ্টা করে যেতে হবে। ধন্যবাদ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।