শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত নাটক রিভিউ||Othello/ওথেলো।
Edited by Canva source |
---|
Hello Everyone,
সকলকে মধ্যরাতের শুভেচ্ছা। একটা ক্লান্তির ছাপ পড়েছে মনের অজান্তেই। তবে এই ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে মনে হলো কিছু করা দরকার। তাই আমার প্রিয় নাট্যকার (বিখ্যাত) শেক্সপিয়ারের নাটক রিভিউ লিখতে বসে পড়লাম।
নাটকের শেষটা খুবই দুঃখজনক। এটি একটি বিয়োগান্তক নাটক। বিয়োগান্তক নাটক তাকেই বলা হয় যেখানে নায়ক-নায়িকা শেষের দিকে মিলিত হতে পারে না বা মৃত্যু ঘটে। ঠিক যেমনটি এই নাটকে হয়েছে।
আশাকরি নাটকের সম্পূর্ণ সারসংক্ষেপ যদি আপনারা মনোরোগ দিয়ে পরিদর্শন করেন, আপনাদের ভালো লাগবে। পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলা ভাষার আগে সৃষ্টি হয়েছে ইংরেজি ভাষা। আর সেই ইংরেজ বিশ্ব বিখ্যাত শেক্সপিয়ারের নাটক ভালো লাগারই কথা।
নাটকের নাম | ওথেলো |
---|---|
নাট্যকার | বিখ্যাত শেক্সপিয়ার |
শেক্সপিয়ারের জন্মস্থান | ইংল্যান্ড |
ওথেলো | ট্রাজেডি/বিয়োগান্তক ঐতিহাসিক ঘটনা |
চরিত্র | ওথেলো,ব্রাবানশিয়ো,ক্যাসিও,ইয়াগো, রোডেরিগো, ডেসডিমোনা,এমিলিয়া ইত্যাদি, আরো কিছু চরিত্র রয়েছে। |
নাটকের রেটিং | ১০/১০ |
এই নাটকের প্রধান চরিত্র কৃষ্ণাঙ্গ মুর ওথেলো। তিনি তার অসাধারণ যুদ্ধকৌশলের জন্য সকলের কাছে বীর হিসেবে সম্মানিত। তার এই বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে ঐ নাটকেরই একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র ব্রাবানশিয়োর কন্যা তার প্রেমে পড়ে যায়।
এমনকি তারা বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছে যায় অভিভাবকদের মতামত ছাড়া। কিন্তু বিয়ের রাতে একটি বার্তা আসে যে তুর্কিরা সাইপ্রাস আক্রমণ করেছে। সেই রাতেই ওথেলো ও ডেসডিমোনাসহ অন্যান্য সৈন্যরা যাত্রা করেছিল।
source |
---|
যারা যাত্রা করেছিলেন এদের মধ্যে সবথেকে ধ্রুত ও কুচক্রী ছিলেন ইয়াগো নামে একটি চরিত্র। তিনি আবার ক্যাসিওর পদোন্নতিতে ক্ষুব্ধ। কারণ তিনি চেয়েছিলেন নিজের পদোন্নতি। ক্যাসিও ও ওথেলোকে সবসময় খারাপ নজরে দেখতো কারণ সে চাইতো তাদের যেন ক্ষতি হয়।
আর এই দুই ব্যক্তির ক্ষতি হলে তারই পদোন্নতি হবে এই লোভের জন্য তিনি সবসময় ক্যাসিও ওথেলোর ক্ষতি চাইতেন।
কুচক্রী ইয়াগোর প্ররোচনায় ক্যাসিও অতিরিক্ত মদ্যপান করে মাতলামি শুরু করে। আবার সেই সময় রোডিরাগো নামক এক ধনী বা অভিজাত পরিবারের এক যুবক এসেছিল সাইপ্রাসে।
তিনি আবার ডেসডিমোনাকে মনে মনে পছন্দ করে ফেলেছিলেন। এই কথা ইয়াগো জেনে গিয়েছিল। এই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য উঠে পড়ে লাগে ইয়াগো।
এদিকে ইয়াগো তার স্ত্রীকে জোর করে তিনি যেন ডেসডিমোনার হাত থেকে ওথেলোর দেওয়া রুমালটি তাকে এনে দেয়। এটা সম্ভব ছিল কারণ ইয়াগোর স্ত্রী সহচর হিসেবে ছিলেন ডেসডিমোনার।
একটা সময় ডেসডিমোনা রুমাল টা নিয়ে আসতে সফল হন। আর যেটাকে হাতে পেয়ে ইয়াগো, ক্যাসিওর কক্ষে রেখে আসে। এবং ওথেলোর কাছে এসে ডেসডিমোনা ও ক্যাসিওর একটি অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে।
ওথেলো তখন ডেসডিমোনার কাছে কথাটি জিজ্ঞাসা করে তখন ডেসডিমোনা ওথেলো এই বিষয়টি মিত্ররা, এটা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে। কিন্তু ওথেলো কোনো কথাই কানে তোলেন না।
এক পর্যায়ে ওথেলো রাগের বশবর্তী হয়ে ডেসডিমোনাকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা করেন। অন্যদিকে ইয়াগোর স্ত্রী আবার ওথেলোকে ইয়াগোর সকল কুচক্রের কথা ফাঁস করে দেয়। এসব জানার পর ওথেলো নিজের ভুল বুঝতে পেরে আত্নহত্যা করেন।
source |
---|
নাটকটি আমার কাছে খুবই আকর্ষনীয়। যেখানে ঐতিহাসিক ঘটনার এক নির্মম পরিণতি নাটকের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন পৃথিবী বিখ্যাত নাট্যকার শেক্সপিয়ার। নাটকে ঐতিহাসিক কিছু চিত্র উপস্থাপন করেছেন শেক্সপিয়ার।
আমার লেখাতে কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ এটি শুধুমাত্র আমার প্রথম নাটক রিভিউ না বরং প্রথম কোনো রিভিউ কন্টেন্ট। তবে নাটকটি কেমন লেগেছে, আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।
পুরো একটি নাটককে সংক্ষেপে অনেক সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু। এই নাটকটি অনেক শিক্ষনীয়। এখান থেকে আমাদেরও শিক্ষা নেওয়ার আছে অনেক কিছু।
#miwcc
নাটকটির রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে নাটকটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেলো আমার। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Amigo escribiste una gran reseña se ve que es una historia muy trágica y su vez triste a la vez ya que Otelo se suicidó por su error cometido. Saludos y bendiciones.🤗
#miwcc
নাটকটির সারসংক্ষেপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই নাটকটি সম্পর্কে আমার আগে জানা ছিল না। তবে আপনার পোষ্টটি পড়ে ভালো লাগলো।