নিম পাতা।
Hello Everyone,
কেমন আছেন সবাই? আপনাদের আজকের দিনটি ভালো কাটুক এটাই প্রার্থনা করি। আজ আমি নিম পাতা নিয়ে চলে এসেছি আপনাদের মাঝে। আমাদের অতি পরিচিত একটি পাতা।
যে পাতাটি ঔষুধি গুন সম্পন্ন। আশে পাশে থাকা প্রত্যেকটি উদ্ভিদ আমাদের কোনো না কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়।
নিম গাছ ও এই নিম গাছের পাতা খুবই উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। যদিও আমাদের আশেপাশে থাকার জন্য আমরা এই গাছটিকে খুব বেশি মূল্যায়ন করি না। কিন্তু এই নিম গাছ ও পাতা খুবই মূল্যবান চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়।
নিম পাতার উপকারী দিকঃ
✓ নিম পাতা বেটে পেস্ট করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে, খুব দ্রুত ক্ষতস্থান ঠিক হয়ে যায়।
✓পরিমাণ মতো নিম পাতা জলের মধ্যে দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে, যতক্ষণ না জলের রংটা নীল হচ্ছে। এরপর জলটা ঠান্ডা করে স্নান করার সময় মাথায় ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়। অবশ্যই শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধৌত করার পর এই জলটি ব্যবহার করতে হবে।
✓চোখের কিছু সাধারন সমস্যা দূর করা সম্ভব এই নিম পাতার মাধ্যমে। নিম পাতা জলের মধ্যে সিদ্ধ করে সেই জলটা ছেঁকে নিতে হবে। যেহেতু চোখে ব্যবহার করতে হবে তাই ছেঁকে নেওয়াটা শ্রেয়। তারপর এই উষ্ণ জল ঠান্ডা করে চোখে দিতে হবে। এটাতে চোখের যেকোনো প্রদাহ, লালচে ভাব ও ক্লান্তি দূর হয়।
✓ মুখের ব্রণ দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই নিম পাতা। এটার সুবিধা একটাই যে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর উপাদান বিদ্যমান।
✓দিনদিন চর্ম রোগের প্রবণতা যেন বেড়েই চলেছে। আপনারা দেখবেন যে মানুষগুলো বেশি আরামপ্রিয় জীবন যাপন করে তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। তবে এই কথা চর্ম রোগের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
✓ আমি জানিনা এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা। তবে আমি বেশ ছোটবেলাতেই শুনেছি, যদি কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ বারো বছর ধরে প্রত্যেকদিন সকালে নিমপাতা ব্যবহার করে তার দাঁত পরিষ্কার করে বা নিমপাতা চিবিয়ে খায়। তাহলে কোনো বিষাক্ত পোকামাকড়ের বিষ তার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে না।
✓নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালে যদি খাওয়া সম্ভব হয়, তাহলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আমি নিম গাছের কচি পাতা খেতে বেশ পছন্দ করি। হাসি পেতে পারে বিষয়টি জানতে পেরে। তবে এটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে আমি তিতো যে কোনো সবজি শাক খেতে খুব বেশি পছন্দ করি।
এমনকি এটা আমার নিজের দ্বারা প্রমাণিত, যে আমার শরীরে কোনোরকম চর্ম সমস্যা আমি দেখিনি। হয়তো এটি নিম গাছের গুণাবলী যা আমার শরীরকে চর্মরোগ প্রতিরোধক হিসেবে তৈরি করেছে।
নিম গাছঃ
✓নিম গাছ আসলে চাষ করা হয় কিনা আমার জানা নেই। তবে এটা লবণ এলাকার একটি উদ্ভিদ। প্রায় আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন এই গাছগুলো নদীর পাড়ে বা পুকুর পাড়ে যার পাশে লবণ জল রয়েছে সেখানে অবস্থিত।
✓নিম গাছের পাতার আকৃতির ছোট তবে প্রচুর ঘন পাতা লক্ষণীয় গাছে। এমনকি নিম গাছের ছায়াতল খুবই শীতল।
✓ নিম গাছের কাঠ খুবই শক্ত। কথায় আছে নিম গাছের পালঙ্ক ও স্বাস্থ্যসম্মত। এটা সঠিক কিনা আমি জানিনা। তবে আমি দেখেছি মানুষ অনেক টাকা ব্যয় করে নিম কাঠের তৈরি পালঙ্ক ব্যবহার করে।
আমার আজকের লেখাটি আমি এখানেই সমাপ্ত করছি। নিম গাছের পাতা সম্পর্কে লেখাটি কেমন লাগলো আপনাদের, জানাতে ভুলবেন।
নিম পাতা খুবই উপকারী এবং ভেষজ উদ্ভিদ! যদিও আমাদের এলাকায় এটা চাষ করা হয়! কিন্তু অনেক জায়গায় হয়তোবা,, এটা এমনিতেই প্রাকৃতিক ভাবেই হয়ে ওঠে।
আপনি দেখলাম নিম পাতার ফটোগ্রাফি সহ নিমপাতার উপকারিতা সম্পর্কে,,, আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন! যদিও এর সম্পর্কে আমার আগে সামান্য একটু ধারণা ছিল! কিন্তু আপনার পোস্ট থেকে সম্পূর্ণ ধারণা পেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, নিম পাতার সম্পর্কে এত সুন্দর কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,,, ভালো থাকবেন।
নিম গাছ সম্পর্কে আপনি অনেক কথা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন। এবং আমিও জানি নিম পাতায় অনেক উপকারিতা আছে যেগুলো আমাদের মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারে তা রাখে। এবং নিম গাছ আমাদের এলাকায় প্রতিটা মানুষের বাড়ি দেখা যায় কিন্তু সেই ভাবে চাষ হয় না প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হিসাবে নিম গাছ আমাদের অনেক মানুষের বাড়ি দেখা যায় নিম গাছ।
নিম গাছে আসলেই অনেক গুনাগুন রয়েছে ৷ আমরা সেই যুগ থেকেই এই নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে শুনতে আসতেছি ৷ সাধারনত নিম গাছ ঔষুধি হিসেবে অনেক উপকারে আসে ৷ সাধারনত এই নিম গাছের পাতা অনেক তিতা তারপর এই গাছের পাতা থেকে শুরু করে গাছের ছাল গুলো ঔষুধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷
যাই হোক দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আমরা প্রায় সবাই জানি নিম গাছ একটি ঔষধি গাছ। যে গাছের গুনাগুন অনেক।এছাড়া এই গাছের পাতার অনেক গুন রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
অনেক দেশে নিম গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন ঔষধে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের ডাল, শিকড়ের ছাল ও ফলকে টনিক হিসেবে শরীরের বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করার কাজে বিশেষ করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া, এই গাছের ছালকে বেদনানাশক হিসেবে এবং ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। চর্মরোগের চিকিৎসার জন্যেও এটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে নিম গাছ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন আপু।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা সবাই কমবেশি জানি নিমগাছ একটি ঔষধি গাছ।
ঔষধি গাছ বা নিম গাছের উপকারিতা বিষয় নিয়ে আপনি বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ক্ষতস্থানে নিমপাতা ব্যাবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ব্রণের জন্য বিশেষ উপকারী।
এছাড়াও আমি এলার্জির জন্য এ পাতা ব্যবহার করেছি অনেক উপকৃত হয়েছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ওষুধি গাছ নিয়ে আমাদের মাঝে এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।