My thinking about weather ☁️🌡️
![]() |
---|
বন্ধুরা, বর্তমান যেন আবহাওয়া পৃথিবীতে বসবাসরত জীবের প্রতিকূলে অবস্থান করছে। এটা প্রকৃতির একটি রূপ যেখানে পরিবর্তন আপনা থেকেই হচ্ছে। তাহলে কেন প্রতিকূলে? এটার উত্তর হয়তো যথাযথভাবে দেয়া সম্ভব না। কিন্তু আমাদের কিছুটা হলেও ধারণা তো রয়েছেই।
এই বিষয়টি যে কারণে উপস্থাপন করছি- আমি আজ সকালে দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কিন্তু পূর্ব থেকেই বিরক্ত হয়েছিলাম। আমার এক পিসি সকাল আটটার দিকে নাম্বারে কল করেই আমরা ঘুমটা ভেঙে দিয়েছিলেন।
যদিও রাগ হচ্ছিল, কিন্তু কিছুই বলিনি। কারণ পিসি অপ্রয়োজনে কখনোই কল করেন না। তাই গুরুত্বপূর্ণ ভেবেই মাথার কাছে রাখা মোবাইলটা হাতে তুলে কলটা রিসিভ করেছিলাম। ওহ! আমার কিন্তু একটাই মোবাইল, আর সেটাই মাথার কাছে ছিল।
ঘূ্ম থেকে উঠেই, আমার প্রাতঃকৃত্য শেষ করে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। আজ ওষুধ খেতে ও মনে ছিল, না রেখে উপায় নেই। একটু বাইরে বেরোতে ইচ্ছে করছিল, তাই হাঁটতে হাঁটতে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছে ও যেন শান্তি পাচ্ছিলাম না।
হঠাৎ করেই যেন বসন্ত ঋতু তাঁর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে দিনেই যেন মনে হয় অগ্রীম গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা এটা। আবার রাতে ভীষণ শীত যার ফলেই মানুষের ঠান্ডা জ্বরের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন ধরে আমারো সমস্যা হচ্ছে।
বাড়িতে ফিরে আসতে প্রায় দুপুর বারোটা চল্লিশ বেজেছিল। আমি সকাল থেকেই কোনো কায়িক শ্রমের কাজ করিনি কিন্তু শরীরটা যেন ভীষণ ক্লান্ত ঠিক যেমনটা কায়িক পরিশ্রম করলেই হয়।
![]() |
---|
কিন্তু হ্যাঁ, হঠাৎ করেই মাথায় চেপে বসেছে আবহাওয়ার চিন্তা। আমার মনে হয় কিছু সময়ের জন্য আমি এখন আবহাওয়াবিদ/গবেষক। আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু হলেও বর্তমানে তিনটি ঋতুই বিরাজমান, আর বাকি তিনটি যেন সময়ের অতল গহ্বরে তলিয়ে গিয়েছে।
আমি নিজের কাছে প্রশ্ন করে একটাই উত্তর পেয়েছি এটা আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলাফল।
এটা কি আমাদের জন্য ভালো?
একদমই না, কারণ এটার জন্যই বছরে একের অধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আবির্ভাব হচ্ছে, আর থেকে থেকে আমাদের সাজানো পরিকল্পনা ও সকল কিছু এলোমেলো করে দিচ্ছে।
এই ক্ষতি পূরণ করে উঠতে না উঠতেই আবারো আবারো এসে উপস্থিত হয় অন্য কোনো ভয়াবহ দূর্যোগ। এগুলো আপনা-আপনি হচ্ছে না; আমি এটার জন্য মানবসৃষ্ট কারণকেই বেশি দায়ী করবো।
যেকোনো দেশের বনভূমির পঁচিশ শতাংশ বনভূমি থাকা অত্যাবশ্যক। কিন্তু আমাদের দেশে এটার পরিমাণ মাত্র সতেরো শতাংশ। হয়তো এখনকার হিসেবে আরো হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
![]() |
---|
আমাদের মহাবিশ্বের ওজন স্তর হালকা হতে শুরু করেছে। যার ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি প্রবেশ করা এটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এক কথায় প্রকৃতি যেন তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে দিন দিন।
তাহলে কি এটা এভাবেই চলতে থাকবে? হতে পারে, তবে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। নচেৎ পৃথিবীতে বসবাস করার পরিবেশ থাকবে না। প্রতিবছর অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি আবার খরা এই সবকিছুর পেছনেই রয়েছে এই সকল বিষয়। একটির সাথে অন্যটি সম্পৃক্ত।
আমাদের পক্ষে মূহুর্তের মধ্যে কোনো কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব না। আর আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি ও এক দুই দিনে সৃষ্টি হয়নি। অনুরূপভাবে, আমরা আমাদের দায়িত্ব বোধ থেকে গাছ লাগাতে পারি। লোকসমাজে এটার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপন করতে পারি।
কারণ একা একা কোনো কিছুই করা সম্ভব না;
আসুন সকলে গাছ লাগাই, পরিবেশ বাচাই। আমরাই পারি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো একটি পরিবেশ উপহার দিতে।
আমার পরিবেশ ও আবহাওয়া সম্পর্কিত লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। এ বিষয়ে আপনাদের অভিমত প্রত্যাশা করছি।
Your post has been successfully curated by @inspiracion at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এখন ঘরে ঘরে জ্বর হচ্ছে আর ডাক্তারদের ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠছে। শরীর দুর্বল থাকলে বেশি করে শারীরিক ক্লান্তির অনুভব হয়। আপনার দেশে তাও বনভূমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ। আমাদের দেশে তো মনে হয় আরো কম। আমাদের সকলকে মিলে এগিয়ে আসতে হবে পরিবেশ রক্ষার কাজে।
হুম, এখনো মানুষের শরীরের সাথে এই পরিবর্তিত আবহাওয়া খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। যার ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা, আপনার অভিমত প্রকাশ করার জন্য।
বর্তমান সময়ের আবহাওয়ার পরিস্থিতি কোনটাই আমাদের অনুকূলে নেই। দিনের বেলা প্রচুর পরিমাণে গরম। আর রাতের বেলা প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা। যার কারণেই মানুষের শরীরের অবস্থা ভালো নেই।
আজকে আপনি বেশ কিছু অজানা বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আসলে বিষয়গুলো আমি তেমন গভীরভাবে কখনোই চিন্তা করিনি। ধন্যবাদ অজানা বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন!
এটি আসলেই বর্তমানে একটি বড় ভাববার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণয়নের জন্য শীতের প্রভাবও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমন্ডল উতপ্ত হচ্ছে। এখনই সময় আমাদের সচেতন হওয়ার। তা না হলে অনেক দেরী হয়ে যাবে। খুব সুন্দরভাবে আপনি পরিবেশ নিয়ে আপনার চিন্তার কথা জানিয়েছেন। যার যার জায়গা থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই আশা করি আমরা আমাদের সুন্দর পৃথিবীটাকে সবুজময় করে তুলতে পারবো।
আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের মানব সৃষ্ট কারণইপ্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বৈরী আবহাওয়ার জন্য দায়ী।এই বৈরী আবহাওয়ার জন্য মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং বিভিন্নভাবে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে । আমাদের প্রত্যেকের উচিত পরিবেশ রক্ষার্থে আমাদের সকলকে সচেতন হওয়া ।
পরিবেশের প্রতি সচেতন হওয়ার বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যআপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
Doller buy sell call 01700817832 doller kinbo 100%
Doller buy
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন আপু
বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে যে কার্বনের পরিমাণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়ে চলেছে। যার কারণে আমরা এবং আমাদের পরিবেশ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা সবাই জানি,উদ্ভিদ থেকেই আমরা অক্সিজেন পেয়ে থাকি। এজন্য আমাদের গাছ না কেটে আরো বেশি করে লাগানো উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার করার জন্য।