Increasing World Temperature day by day.
![]() |
---|
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনাদের আজকের দিনটি ভালো কেটেছে। আজকে আমি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করবো। তাহলে চলুন আমরা মূল লেখাতে চলে যাই।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
![]() |
---|
পৃথিবীর বুকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে জল, বায়ু ও অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা প্রাণ টিকে থাকার উপযোগী পরিবেশের কারণে। অর্থাৎ প্রাণীর অস্তিত্ব যেখানে টিকে থাকা সম্ভব এরকম একটা পরিবেশ গড়ে উঠেছে।
উষ্ণায়নের ফলে সেই পরিবেশই ভয়ানক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে এবং প্রাণীকুলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পৃথিবীর পরিবেশের উষ্ণায়নের এই মাত্রা বৃদ্ধিকে বলা হয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
বিজ্ঞান বিষয়ক অগ্রগতির মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষ একদিকে যেমন তার জীবনকে করেছে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়, অন্যদিকে তেমনি পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশকে করছে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভারসাম্যহীন।
জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, বৃক্ষ নিধন ও ইঞ্জিন চালিত যানবাহন সহ বড় বড় শিল্প কারখানার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। গ্রীন হাউস গ্যাসের নাম হয়তো বা আমরা সকলেই শুনেছি এই শব্দ দুইটি পরিচিত আমাদের কাছে।
গ্রীন হাউজ গ্যাসকে তাপ বৃদ্ধিকারক গ্যাস বলে এবং এই গ্যাস পৃথিবীর চারপাশের বায়ুমণ্ডলকে চাদরের মত ঘিরে রেখেছে।
পৃথিবী পৃষ্ঠে গৃহীত তাপমাত্রা সাময়িকভাবে রাতের বেলা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে মিলিয়ে যায় এবং যার ফলে রাতের বেলা পৃথিবী ঠান্ডা মনে হয়। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট কিছু গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিফলিত তাপ সম্পূর্ণভাবে মহাশূন্যে মিলিয়ে না গিয়ে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করছে প্রতিনিয়ত। এভাবেই এটার নামকরণ করা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কারণ শুধুমাত্র এটি একটি স্থান বা একটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না বরং সারা পৃথিবীর উপর প্রভাব বিস্তার করেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ:
![]() |
---|
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বলে, প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, এটা পরিবেশ নষ্ট করছে।
তাছাড়া কিছু দেশে পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করে, যা থেকে প্রচুর বর্জ্য সৃষ্টি হয় এবং এটা গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধি করছে, তবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা অতি সামান্য।
শিল্প কলকারখানার বর্জ্য, কালো ধোয়া থেকে ও প্রচুর পরিমাণে পারদ, সীসা ও আর্সেনিক নির্গত হয় এবং এটা অবশ্যই উষ্ণতা বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।
মহাসমুদ্রকে পৃথিবীর মানব দেহের ফুসফুসের সাথে তুলনা করা যায় এবং বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে মহা সমুদ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিক্ষেপ করার ফলে তা দূষিত হচ্ছে এবং দূষিত বাষ্প বাতাসে মিশ্রিত হয়ে ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র একটি দেশ যেখানে একসময় বহু নদ নদী ছিল, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এখন এসব খাল বিল শুকিয়ে গিয়েছে কিংবা মরে গিয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে বিশেষ করে মানব সৃষ্ট কিছু কারণে। অনেক নদীকে বর্তমানে নদী হিসেবেই বিবেচনা করা হয় না বরং ডাস্টবিন হিসেবে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য ব্যবহার করছে। এটা অবশ্যই উষ্ণায়নে ভূমিকা পালন করছে।
পরিবেশ দূষণের পেছনে যে কারণটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল বৃক্ষ নিধন যেটা প্রতিনিয়তই আমাদের আশেপাশে করতে দেখা যায় এমনকি আমরাও এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত। আমার মনে হয় এটা আমরা সকলেই জানি যে সবুজ উদ্ভিদ বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং আমাদের জন্য অক্সিজেন ত্যাগ করে যেটা আমরা গ্রহণ করি।
আর এই অক্সিজেন না থাকলে আমরা প্রাণীকুলের অস্তিত্বের কথা কল্পনাও করতে পারি না। কিন্তু ব্যাপক হারে বৃক্ষ উজাড় করার ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। কারণ পরিমাণ মতো বৃক্ষ থাকলে কার্বন ডাই অক্সাইড এই গাছ গ্রহণ করতো।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব:-
![]() |
---|
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের জলের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যার ফলে বৃষ্টিরও প্রয়োজন হচ্ছে না বরং জোয়ারের সময় এই উপকূলীয় এলাকার প্লাবিত হচ্ছে। ছোটখাটো একপ্রকার বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষেরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এমনকি এই অতিরিক্ত জলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার জন্য হালকা বৃষ্টি হলেই বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই বিগত বছরের তুলনায় ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে ভয়ঙ্কর ঝড় ধেয়ে আসছে। আর ঝড়ের তীব্র বাতাসের গতিতে মানুষের ঘরবাড়ি সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কিছু অসাধু ও অর্থলোভী মানুষের জন্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বৃক্ষ বাংলাদেশে এখন আর নেই এবং এর ফলে জীব-বৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। আগামীকাল আবারও দেখা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।