Cyclone Remal's terrible rampage ||Village in southern part of Bangladesh.
![]() |
---|
Hello Friends,
আবহাওয়া একদমই অনুকূলে নেই, তাই ভালো না থাকাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া আমি যতো গুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ স্ব-চক্ষে দেখেছি সেগুলোর মধ্যে এতোটা সময় ধরে কখনো ঝড় হতে দেখিনি। ঝড়ের আপডেট বার্তা দেখতে গিয়ে জানলাম ১৯৯১ সালের পরে কখনোই কোনো ঝড় এতোটা সময় স্থানী হয় নি।
তবে যেটা সত্য যে বাতাসের গতি দেখেই আমার গতকাল থেকে একটু সন্দেহই হচ্ছিল। কারণ সাধারণ পশ্চিম বা দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস শুরু হলে দুর্যোগের ভয়াবহতা অনেকাংশে কমই দেখা যায়। অথচ গতকাল থেকেই দেখছিলাম উত্তর এবং পূর্ব দিক থেকেই উল্টোপাল্টা দমকা হাওয়া শুরু হয়েছিল।
এখন আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরতে চলেছি ঝড়ের পরদিনের কিছুটা কার্যক্রম। যেখানে আমি ভেবেছিলাম যে হয়তো ঝড়ের শুধুমাত্র ক্ষতিকর দিকটাই তুলে ধরবো। কিন্তু না দুপুর হতে হতে আবারো যেন সেই প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ফিরে এসেছে।
![]() |
---|
আমি আজ সকালে ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কারণ সকাল সকাল আমার মা কাকুর ঘরের দরজা গিয়ে কলিং বেল বাজিয়েছিল। ওহ! আমি তো বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম যে গতরাতে আমি কাকুর ঘরে গিয়ে আর আমার কক্ষে ফিরে আসিনি যে কারণে ঐ ঘর থেকেই মা আমাকে ডেকে উঠিয়েছিল।
আমি ব্রাশ করতে করতে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম কিন্তু গাছের ডালপালা ভেঙ্গে রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিল যে সোজা পথে হাঁটাই যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে মা বললো আমাদের ঘরেরে উত্তর পাশে একটি সুপারী গাছ ভেঙে পড়েছে।
![]() |
---|
তারপর আমি ওষুধ খেয়ে আমাদের পুকুরে গিয়েছিলাম। আমাদের পুকুর বা ঘের যেটা পশ্চিম পাশে। অন্যদিকে পূর্ব পাশে বিলে জলের মেলা বসেছিল অর্থাৎ রীতিমতো বন্যাই শুরু হয়েছিল। যাইহোক, আমি ও বাবা পুকুরের পাড়ে থেকেই ২কেজির মতো ট্যাংরা মাছ ধরেছিলাম।
![]() |
---|
এরপর আমি আমার এক জ্যাঠা বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলাম আমার মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য। আই পি এস এ চার্জে বসিয়ে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। তখন মাঝেমধ্যেই দমকা হাওয়া এতোটা চাপ দিচ্ছিল যে আমার হাতে থাকা ছাতাটা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। তারপর আমি গরম গরম ভাতের সাথে মাছের তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম।
![]() |
---|
মোবাইল হাতে না থাকলে ভালোই লাগে না। আবার আবহাওয়ার জন্য যখন চার্জ থাকে তখন নেটওয়ার্ক নেই এবং যখন নেটওয়ার্ক আছে তখন মোবাইলে চার্জ থাকছে না এটা ছিল আরো বেশি বিরক্তিকর। যাইহোক, আমি মোবাইলটা আনার জন্য জ্যাঠা বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলাম।
Video Location:
- Bangladesh
- Khulna, Rampal, Bagerhat
মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখলাম চার্জ নব্বই পার্সেন্ট হয়েছে এবং প্রথমেই ডিসকর্ড বার্তা চেক করেছি। অথচ উত্তর দেওয়ার সময়ই হলো সর্বনাশ অর্থাৎ টেক্সট লেখা প্রেরণ করা যাচ্ছিল না। আমি নয়নকে বাইরের সকল বিষয় বলেই সাথে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম।
আপনার উপরোল্লেখিত ডিভিওতে স্পষ্টভাবেই দেখতে পারবেন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি দুর্যোগকালীন চিত্র। তবে ভিডিও ধারন করার মূহুর্তেই বুঝতে পারলাম যে ঝড় মনে হয় আমাদের ছেড়ে সহসা যেতে চাইছে না।
Video Location:
- Bangladesh
- Khulna, Rampal, Bagerhat
এই ভিডিওর দৃশ্য ধারন করেছি আমাদের গ্রাম থেকেই যে মোংলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা রামপালের। এটা ছিল আমার এক কাকুর পুকুর যেটা পাশের অন্যান্য পুকুরের সাথে জলের কারণে ডুবে আছে। অর্থাৎ আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবে কোনো বাঁধ দেখা যাচ্ছে না। কারণ নদীর জল ফেঁপে উঠে ইতিমধ্যে বন্যাতে পরিণত হয়েছে। সকল মাছ চাষীরা হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় আছে।
![]() |
---|
একটু আগেও এখানে কোনো সমস্যা ছিল না । কিন্তু এখন দেখছি মন্দিরের বারান্দার ওপরে শিরিস গাছে মোটা ডাল ভেঙে পড়েছে যে কারণে মন্দিরের বারান্দাটা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইসব দেখেই আমি, নয়নসহ আরো কয়েকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের পাড়াটা ঘুরে দেখবো কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না।
![]() |
---|
ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ ও যেন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ইতিমধ্যে পূর্ব পাশের বিলের জল আমাদের পশ্চিম পাশে নামতে শুরু করেছে যেটা যথেষ্ট ভয়েও ও বটে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পারলাম এক বাড়িতে রান্না ঘর ও বড় ঘরের ওপর একটি আম গাছ ভেঙে পড়ে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
যদিও এই ঘরের লোকজনের শারীরিক তেমন কোনো সমস্যা হয়নি কিন্তু ক্ষতিও কম হয় নি। একবার ভাবুন তো এদের রান্নার কি ব্যবস্থা? তাহলে কি না খেয়েই থাকবে হবে?
Video Location:
- Bangladesh
- Khulna, Rampal, Bagerhat
বিশেষ করে গ্রামে এই ধরনের ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে। কারণ দেখা যায় ঘরের পাশেই একাধিক বড় বড় গাছ থাকে। হ্যাঁ, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছ অবশ্যই রোপণ করতে হবে কিন্তু সেটা যেন জীবননাশের কারণ না ভবিষ্যতে এটাও মাথায় রাখতে হবে।
![]() |
---|
বর্তমানে ঝড়ো বাতাসের যে গতি দেখছি সেটা দেখে এটা বলা মুশকিল যে আদেও ঝড় কমবে কি না। বরং বর্তমান আবহাওয়ার নিরিখে এটা মাথায় আসছে যে আরো যেন কতোটা ক্ষতি হবে মানুষের? এটা সত্যিই চিন্তার বিষয়।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। পাশাপাশি যাদের এলাকায় ঝড় হচ্ছে এবং এখন কি অবস্থা বিরাজ করছে সেটা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
END |
---|
My tweet:
https://x.com/keya3456/status/1795064862348861571?t=emd34lKDnMQokts5Fuxneg&s=19
গতকাল থেকেই সাইক্লোন রেমালের তান্ডব চলছে সারা দেশ জুড়েই।তবে উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। আর আপনি যে এলাকায় বাস করেন সে জায়গাটাও এর আওতায়ই পরেছে।
আপনার তোলা ছবি এবং ভিডিও গুলো দেখে সত্যি খুব খারাপ লাগলো।
এত লম্বা সময় ধরে চলা ঝড় আসলে আমিও দেখি নাই। গতকাল আমি ভেবেছিলাম যে আজকে বিকেলেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে কিন্তু খবরে দেখলাম যে বুধবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে।
সাবধানে থাকবেন ও ঘরের বাইরে কম বের হবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।
দিয়েছি দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটা আমার নজরে আনার জন্য।
আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ❤️❤️
আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে জেনেছিলাম আপনার বাসা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে। আর বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণ অঞ্চলের জায়গা গুলোর অবস্থা একদম ভয়াবহ। আপনার পোস্টে অনেকগুলো গাছ এবং বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ছবি দেখতে পেলাম। আপনাদের ওদিকে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আপনি এই বৃষ্টির মাঝে আবার অনেকগুলো মাছও ধরেছেন।
এই ঘূর্ণিঝড়ের মাঝে আপনি এবং নিজের পরিবারকে সাথে নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকবেন।
আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে বুঝতে পারলাম। ঘূর্ণিঝড়ে আপনাদের কত পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। তাহলে আপনাদের ওখান থেকে আমরা ভালোই ছিলাম। একদমই ঠিক বলেছেন বাতাসের পরিমাণটা এবং দমকা হওয়া প্রায় দীর্ঘ অনেকটা সময় ছিল। আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে জানতে পারলাম, ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশে এত পরিমানে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।
আপনি এবং আপনার বাবা মিলে পুকুরপাড় থেকে টেংরা মাছ ধরে নিয়ে এসেছেন। অনেকদিন হয়েছে টেংরা মাছের দেখা পাই না। তবে আপনার পোস্টে দেখে বেশ ভালই লাগলো ।আমাদের এখানে তেমন একটা দেখা যায় না। আপনি বেশ কিছু ভিডিও আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আপনাদের ওখানে একেবারেই বন্যা হয়ে গেছে। আশা করি আপনারা এই ঘূর্ণিঝড়ে আপনাদের যেই ক্ষতি হয়েছে সেটা, খুব তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে পারবেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।