Better Life With Steem || The Diary Game || 8th February, 2024||

in Incredible India5 months ago (edited)
PhotoCollage_1707473393115.jpg

প্রিয় বন্ধুগণ,
আমার ও আমার দেশের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই শীতের পড়ন্ত বিকেলের শুভেচ্ছা। আশাকরি, আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের আশীর্বাদে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছাতে ভালো আছি।

এখন ঘড়ির কাঁটাতে বিকেল চার'টা বেজে তিন মিনিট, আমি বাজারের দিকে যাচ্ছি। আমি ইচ্ছে করেই কোনো পরিবহনে যাচ্ছি না, কারণ আমি হাঁটতে হাঁটতে পোস্ট লিখবো। আমি সতর্কতার সাথে হাঁটছি, কারণ মোটর সাইকেলের যাতায়াত অনেক বেশি।

আমার খারাপ অভ্যাসের জন্য জীবন থেকে হয়তো অনেক বড় সম্পদ হারিয়ে ফেলেছি। তবে হ্যাঁ, আমার কাছে সম্পদ আজীবনই থাকবে যদি সে হারিয়েও যায়। কারণ পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় কিন্তু কিছু অনুভূতি, কিছু মানুষ কখনোই নিজের থেকে আলাদা করা সম্ভব নয়।

"সে আমার সম্পত্তি নয়,সে আমার সম্পদ "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের- হৈমন্তী গল্পের উক্তি

হঠাৎ লিখতে লিখতে কিছু মূহূর্ত মনে পড়ছে;
তাই বাক্যটি তুলে ধরলাম।

তবে এখন আর অন্যদিকে যাচ্ছি না, আমি দিনলিপিতে চলে যাবো। আমার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো।

Morning

IMG20240208105558.jpg

আমি সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করার সময় মা ডেকে বললো আমার জন্য দুইটি রসগোল্লা আছে। আমি মিষ্টি অনেক পছন্দ করি, তাই ওষুধ খাওয়ার কথা মনেই ছিল না। আমি প্রাতঃকৃত্য শেষ করেই রসগোল্লা খাই। তারপর এক গ্লাস জল খেয়ে পড়ার টেবিলে বসেছিলাম।

ওহ! একটা তথ্য দিতে ভুলে গিয়েছিলাম, কেন ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলাম? এটা ছিল রাখাল গাছির সেই নামকরা সুস্বাদু মিষ্টি যেটা অনেক জনপ্রিয়। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ রাখালগাছির এই সুস্বাদু রসগোল্লা খেতে ছুটে আসে। বিশেষ করে শীতের সময় প্রচুর ভীড় দেখা যায়, রাখালগাছির সকল মিষ্টির দোকানে।

IMG20240208141815.jpg

কিছুক্ষণ বই পড়তে পড়তে ক্লান্ত লাগছিল, একটু ঘরের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন মা আমাকে একটু ধান ক্ষেতে যাওয়ার কথা বললে, আমি দ্রুত ধান ক্ষেতে গিয়েছিলাম।

Noon

IMG20240208141332.jpg
IMG20240208141123.jpg
IMG20240208140631.jpg

আমার পায়ের অবস্থা একদমই ঠিক নেই, তাই বাবা আমাকে মাছ ধরার কথা বলেনি। কিন্তু আমি মাছ ধরার বিষয় বুঝেই বাড়ির পশ্চিম পাশে পুকুরের দিকে গিয়েছিলাম। ওহ! সবাই কি চালাক! আমাকে না জানিয়ে মাছ ধরছে। আমারো রাগ, কারো সাথে কোনো কথা না বলে এলোমেলো কিছু ছবি আমার মুঠোফোনের ক্যামেরাতে বন্দি করলাম। তারপর আর ধৈর্য্যশীল হওয়া সম্ভব না, তাই আমি গলদা চিংড়ির থলে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলাম।

IMG_20240208_170124.jpg

বাড়িতে ফিরে, আমার বোনকে বলেছিলাম গলদা চিংড়ি ও অন্য মাছ ভাজি করার জন্য। আমার বোন বিলম্ব না করে মাছ ভাজি করছিল। অন্যদিকে আমি স্নানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম।

IMG_20240209_170846.jpg

গরম ভাতের সাথে গরম গরম মাছ ভাজি খেতে হবে, আমি দ্রুত স্নান শেষ করে দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলাম। শীতের প্রকোপ অনেকটা কম কিন্তু ভাত খেতে বসে অনেক শীত অনুভূত হচ্ছিল। যে কারণে খাওয়া সম্পন্ন করেই আমি হুডি পরেছিলাম।

Afternoon

IMG_20240208_171248.jpg
IMG20240208153812.jpg
IMG20240208153745.jpg
IMG20240208153632.jpg
IMG20240208153520.jpg

আমার হাতে একদমই টাকা নেই, তাই গলদা চিংড়ি বিক্রি করেতে গিয়েছিলাম। আমি ভুলে একটি নরম বাগদা চিংড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম, তাই সেইটা আলাদা রেখেছিলাম বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। হঠাৎ দেখলাম আমার পেছনে সেই পোষা বিড়ালের আগমন ঘটেছে। তাই আমি কিছুটা সময় ঐ বিড়ালের সাথে অতিবাহিত করেছিলাম।

IMG20240208160711.jpg

IMG20240208154225.jpg

আমার মাছের মূল্য ছিল মাত্র = ৪৫০টাকা/steem price= 21.43, কিন্তু মাছ ক্রেতার কাছে খুচরা টাকা ছিল না, তাই আমাকে একটি এক হাজার টাকার নোট দিয়েছিল। আমি পাশের একটি চায়ের দোকানে টাকা খুচরা করার জন্য গিয়েছিলাম।

আমি চায়ের দোকানে পৌঁছাতেই পেছনে কুকুর বাহিনী উপস্থিত হয়েছিল। আমি ইচ্ছে করেই তাকাচ্ছিলাম না কিন্তু ওরা ও নাছোড়বান্দা ছিল। আপনারা ভিডিওতে দেখবেন কিভাবে আমার কাছে খাবারের আবদার করছিল।

আমি বন্ধু বাপিকে বিস্কুত নিয়ে ওদের দিতে বলেছিলাম। আর আমি পাশে থেকে দাঁড়িয়ে আমি ভিডিও ধারণ করতেছিলাম। তারপর আমি সেই নরম বাগদা চিংড়ি বাড়িতে ফিরিয়ে এসেছিলাম। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

END

Sort:  

TEAM 1

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.
Curated by : @𝖾𝗅-𝗇𝖺𝗂𝗅𝗎𝗅



 5 months ago 

@𝖾𝗅-𝗇𝖺𝗂𝗅𝗎𝗅
, Thank you so much for your encouraging words and support.🙏

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 54373.44
ETH 2875.84
USDT 1.00
SBD 2.05