Better Life With Steem || The Diary Game || 7th January 2024||

in Incredible India2 years ago
PhotoCollage_1704636507212.jpg

Hello Everyone,
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি আজ বেশ ক্লান্তি অনুভব করছি কিন্তু ভালো আছি‌। এখন রাত বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০, সারাদিনের ব্যস্ততা শেষ করে পোস্ট লিখতে বসেছি। যাইহোক, এটাই জীবন যেখানে পরিশ্রম, ক্লান্তি ও ফলাফল সব কিছুই থাকবে।

আমার দিনলিপিতে আপনাদেরকে স্বাগতম।

Morning

IMG20240107064414.jpg

আমি কিন্তু আজ অন্য দিনের মতো ঘুম থেকে উঠতে বিলম্ব করিনি। তাছাড়া বিগত রাতে যদিও খুব দ্রুত ঘুমাতে গিয়েছিলাম কিন্তু দু'চোখের পাতা এক করতে পারিনি। যেহেতু, পরদিন অর্থাৎ আজ আমাদের দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাকে সকাল ৭.০০টার মধ্যএ কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।

আজ বাবা-মায়ের আগেই আমি ঘুম থেকে উঠেছিলাম এবং মা'কে আমি ডেকেছিলাম। আমি ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম। তারপর স্নান করে প্রস্তুত হয়েছিলাম বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য। এতো সকালে স্নান করার জন্য আমার রীতিমতো ঠাণ্ডা লেগেছিল।

IMG_20240107_200512.jpg

আমি স্নান শেষ করে শীতের জন্য পাতলা গরম কাপড় ও ব্লেজার পরেছি ঠিক তখনই মা আমাকে একটি ভাজি করা গরম ডিম দিয়েছিল। কারণ আমি পূর্বেই বলেছিলাম যে সকালে কিছু খাওয়ার সময় হবে না। যাইহোক, আমার মায়ের মতোই হয়, প্রতিটি মা। কারণ তাদের মতো কেউ আমাদের জন্য চিন্তা করে না। সকাল সকাল গরম ডিম, ভালোই লেগেছিল।

আমি ভোট কক্ষেই অবস্থান করবো তাই মোবাইল সাথে রাখতে পারবো না। এই কারণে আমি মোবাইল বন্ধ করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। আমি প্রায় দশ মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রে পৌঁছেছিলাম এবং আমার কাগজ গুলো হাতে নিয়ে পোলিং অফিসার ও সহকারী পিজাইডিং অফিসারের সাথে ভোট কক্ষে প্রবেশ করেছিলাম।

Noon & Afternoon

সকাল আটটা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল এবং দুপুর ২টার সময় রীতিমতো আমাদের জন্য দুপুরের খাবার চলে এসেছিল। আমি ও ঐ কক্ষের সকলেই সুযোগ বুঝে এক এক করে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। আমি ঐ দায়িত্বেই ছিলাম যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আসেন, তারা আমাদের স্থানীয় না সুতরাং কাউকে দেখে সঠিকভাবে চিনতে পারাটা একটু কষ্টকর।

IMG20240107165414.jpg

আমি কক্ষ ত্যাগ করেছিলাম বিকেল চারটায় যখন ভোট গ্রহণ সমাপ্ত হয়েছিল। তারপর একটি নির্দিষ্ট কক্ষে সব কিছু বুঝে দিয়েই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। ততোক্ষণে আমাদের এলাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিদর্শনে এসেছিলেন।

IMG20240109064125.jpg

আমি তারপরই বাড়িতে চলে এসেছিলাম, কারণ খানিকটা মাথায় যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছিল। হঠাৎ যেন এক খন্ড সাদা মেঘ ভেসে এসেছিল। আমি তো ভেবেছিলাম যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। অন্যদিকে গতরাতে ঘুম হয় নি আবার সকাল আটটা থেকে মাথা নিচু করে কলম, কাগজের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম, যার ফলে চোখটা ও লাল হয়ে আছে। যদিও আমার মোবাইল বন্ধ ছিল কিন্তু অন্য পাশ দিয়ে আমার পিসতুতো বোনের হাজবেন্ড সমান তালে কল করেই যাচ্ছিল। আমি মোবাইলটা ওপেন করতে মিসড কল এলার্ট চালু থাকার জন্য পঞ্চাশের অধিক কলের বার্তা পেয়েছিলাম।

তবে দাদার এতো গুলো কল দেখে আমি পুনরায় কল করেছিলাম। দাদা মোবাইল কল রিসিভ করেই বললো তোকে দরকার আমি দেখেছি বাড়িতে গিয়েছিস কিন্তু রেডি থাক আমি আসতেছি। আমি ভেবেছিলাম কিছু খাবো কারণ মা আজ এই সময় রান্না করছিল আমার জন্য। যাইহোক, দাদার সাথে বাইকে করে আমি নির্বাচন কেন্দ্রে পৌঁছেছিলাম। এরই মধ্যে সাদা মেঘ যে আবারো সূর্যের বিকেলে মৃদু আলো উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছিল।

IMG20240107170708.jpg

দাদা বলেছিল আমাকে বাইকে করে আজ বাজারে যাবে এবং এখান থেকে কিছু ছবি ও তুলতে হবে। আমি মোবাইলের পাশাপাশি DSLR camera তে ছবি তুলতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া এই দাদা আমাকে হাতে ধরে ছবি তোলা শিখিয়েছে। তবে ঐ মুহুর্তে প্রয়োজন হচ্ছিল না তাই আমি একটু আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম।

অনেকদিন পর বেশ কিছু পরিচিত মুখ দেখতে পেয়েছিলাম। এই আপু আমার ইউনিভার্সিটির সিনিয়র আপু, কুশল বিনিময় করে চাকরির বিষয়ে কিছু কথা বলেই চলে এসেছিলাম।

Evening & Night

IMG20240107181415.jpg
IMG_20240107_200715.jpg

তারপর আমি দাদার বাইকে করে আমাদের স্থানীয় বাজারে পৌঁছেছিলাম কিন্তু আমি ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলাম। দাদা পূর্ব থেকেই দোকানে খাবার এনে রেখেছিল কিন্তু সারাদিন কিছু না খাওয়া অর্থাৎ গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তাই বিরিয়ানি খাওয়া একদমই ঠিক হবে না ভেবেই বাদ দিয়েছিলাম। আমি কিছু একটা তো খাবোই তাই দাদাকে বললাম আমি কিছু সময় একটু হাঁটাহাঁটি করি।

IMG20240107160805.jpg

তারপর আমি ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম তবে ভালো লাগছিল না কিছু কারণ মাছে ভাতে বাঙালি বলে কথা। তারপর সবার সাথে কিছু কথোপকথন করে বাড়িতে ফিরেছিলাম। তারপর কমিউনিটির কিছু পোস্ট পরিদর্শন করেছিলাম। এবং একটু বাদেই আমি নিজেকে পরিষ্কার করে কোনোরকম খাবার খেয়েছিলাম। এরপর পোস্ট লিখতে বসেছিলাম। এভাবেই আমি আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম।

END

Sort:  
Loading...
 2 years ago 

আপনাকে ব্লেজার পরিধান করে বেশ অফিসার এর মত লাগছে দেখতে। আগের দিন যদি দুটো রুটি রেখে দিতেন তাহলে ডিমের অমলেট এর সাথে খেতে পারতেন। এতটা সময় খালি পেটে থাকতে হতো না। বিরিয়ানি না খেয়ে সঠিক কাজ করেছেন। এতটা সময় খালি পেটে থেকে তারপর বিরিয়ানি খেলে আর দেখতে হতো না।

 2 years ago 

ভালো বলেছেন, তবে আমি রুটি খেতে একদমই পছন্দ করিনা। সৌভাগ্যবশত আমার এক মাসিমণির দায়িত্ব ছিল আমার কক্ষেই। অনেক দিন পরে দেখা আর খাওয়া দাওয়া ও টুকটাক হয়েছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 
  • দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই খুব ব্যস্ততার মধ্যে আপনার দিনটি কাটলো। খুব সকাল ঘুম থেকে উঠলেন মা ডিম ভিজে দিল তাই খেয়ে নিলে। কেন্দ্রে আপনার দায়িত্ব ছিল তাই বিকেল পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে ই আপনার মোবাইলটা বন্ধ ছিল। মোবাইল খুলে দেখলেন পঞ্চাশের উপরে কল। এটাই স্বাভাবিক প্রায় সারাটা দিন আপনার মোবাইল বন্ধ ছিল। তাই মোবাইল অন করতে এতগুলা কল চোখের সামনে ভেসে উঠলো ‌ বিকেলে ভাও পিঠে খেলেন কিন্তু খুব একটা ভালো লাগেনি কারণ উল্লেখ্য করলেন, মাছে ভাতে বাঙালি তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাবার আমাদের কাছে মাছ ও ভাত। আপনার সাথে আমি ১০০% সহমত পোষণ করছি। কারণ আমার কাছে মাছও ভাত খুব ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে আপনার দিনটা অতিবাহিত
    করেছেন। তবে আপনার পোস্টে জানতে পারিনি কে বিজয়ী হলো নিশ্চয়ই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো
    আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago 

সেটা আর বলতে হয়, মোবাইল নেয়া নিষেধ ছিল। তাছাড়া আমি স্বজ্ঞানে নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ কখনো করিনি আর ভবিষ্যতেও করবো না, এটাই আমি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 
  • একদমই ঠিক বলেছেন নিয়ম-বহির্ভূত কোন কাজ করা মোটেও ঠিক নয়। আর আপনি নিঃসন্দে একজন নীতিবান মানুষ। ভালো লাগলো আপনার আদর্শের কথা শুনে। বিজয় দল কে হল জানতে পারিনি। আপনাকে ধন্যবাদ
    মন্তব্যের জন্য।
 2 years ago (edited)

দলীয় কোনো বিষয় উল্লেখ করা অনেকটা রাজনৈতিক বিষয় উপস্থাপন করার সামিল, তাই আমি ইচ্ছা করেই এই বিষয়টি উল্লেখ করিনি আমার লেখার মধ্যে।

নৌকা প্রতীক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল ম্যাম।

 2 years ago 

আসলে আপনি ঠিক বলেছেন। আমি অবশ্য ভোট দিতে পারিনি। আমাদের ভোট দেওয়া হয় না সারাদিন ভোট নিয়েই চলে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনি নির্বাচন হওয়ার কারণে কক্ষে বসে অনেকটা সময় পার করেছেন। আসলে যারা এই দায়িত্বগুলো পালন করে। তাদেরকে অনেক বেশি সতর্কতার সাথেই থাকতে হয়। আপনিও সতর্কতার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিকেলে বাসায় এসেও আপনার শান্তি হলো না। আবার বাজারে চলে গিয়েছেন এবং পরিচিত কিছু মানুষের সাথে অনেকটা সময় পার করেছেন। এরপর ভাপা পিঠা খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

একদমই সঠিক বলেছেন আপু। তাছাড়া আমি মনে করি আমরা সকলে যদি নিজ দায়িত্বে ঠিক থাকি তাহলেই দেশকে কিছু উপহার দিতে পারব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

ভোটের দিন সকালে বেশ ভালোই ঠান্ডা ছিল,তার মধ্যে সকালে গোসল করে রেসি হয়েছেন, ঠান্ডা তো অনুভব হবেই।

সকালবেলা সত্যিই কিছু খেতে ইচ্ছা করে না আর তার মধ্যে যদি কোনো কাজের তারা থাকে তাহলে আরোই খাওয়া যায় না।তবে সব মায়ের মতো আপনার মা ও আপনার জন্য খাবার তৈরি করে দিয়েছেন।

যেনে অনেক ভালো লাগলো যে, আপনি এইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন, এবং সকল নিয়ম অবলম্বন করে আপনার কাজটি সম্পন্ন করেছেন।

কাজ শেষ করে বাড়িতে এসে আপনাকে আবারও বের হতে হয়েছে আপনার জামাইবাবুর সাথে, বলতে গেলে সারাটাদিনই আপনি অনেক ব্যস্ত ছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

নির্ধারিত অফিস সময়ের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে তাই ঠান্ডা লাগলেও কিছু করার নেই প্রস্তুত হতেই হবে। যদিও শরীরটা ক্লান্ত ছিল কিন্তু কোন একটি কারণে সকল ক্লান্তি ও ক্ষুধা যেন মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যে জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.32
JST 0.032
BTC 108689.49
ETH 3984.66
USDT 1.00
SBD 0.61