Better Life With Steem || The Diary Game || 4th February, 2024||
![]() |
|---|
Hello Friends,
বন্ধুরা, কেমন আছেন সকলে? আমার পক্ষ থেকে সকলের জন্য শীতের সকালের শুভেচ্ছা রইলো। আজ অনেক দিন বাদে একটু ভালো ঘুম হয়েছে। যদিও রাতে আড়াইটার দিকে ঘুমাতে গিয়েছিলাম কিন্তু ঘুমটা ভালোই হয়েছে।
এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বিগত দিনের কার্যক্রম। আশাকরি, আমার কার্যক্রম আপনাদের ভালো লাগবে। কারণ আমি একজন বয়স্ক ক্ষুধার্ত মানুষকেও সহযোগিতা করেছিলাম। আর এই ধরনের কাজ করতে আমি খুব পছন্দ করি। আমাদের কর্মই আমাদের সম্পদ।
Morning |
|---|
![]() |
|---|
আমি অন্যদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম। তারপর আমাদের ঘরের সামনে থাকা সন্ধ্যা মালতি ফুল গাছের কাছে গিয়েছিলাম। আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এই ফুল গাছে জল দিই।
- যেকোনো গাছে জল দেয়ার উপযুক্ত সময় সকাল এবং বিকেল।
উদ্ভিদের ও প্রাণ আছে। যদিও ওরা আমাদের মতো চলাফেরা করতে পারে না, তবে খাবারের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আছে। তীর্যক সূর্যের তাপের সময় জল দিলে ওটা অতিরিক্ত গরম থাকে তাই গাছ মারা পর্যন্ত যেতে পারে। শুধু গাছে জল দিলে হবে না সঠিক সময়টাও খেয়াল রাখতে হবে। তারপর আমি সকালে হালকা খাবার খেয়েছিলাম।
![]() |
|---|
কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার পাশের বাড়ির এক ঠাকুরমা এসেছে আমার ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। স্বাগতম অর্থাৎ আমার এই ঠাকুরমার ছোট ছেলের নাকি মোবাইলটা বন্ধ পাচ্ছিল। আমার এই কাকু ঢাকাতে আছে দীর্ঘদিন ধরে পড়াশুনার জন্যই।
৪৫তম বি সি এস এর লিখিত পরীক্ষা সবেমাত্র শেষ করেছে। সকলেই একটু দুশ্চিন্তায় ছিল। আমি কল করেই কথা বলার সুযোগ পেলাম। কাকু বললো যে ও লাইব্রেরীতে ছিল তাই মোবাইটা বন্ধ রেখেছিল। তারপর পরীক্ষা বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো।
কাকু খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ এই বি সি এস নিয়ে। তবে আমাদের সকলের সিদ্ধান্ত এটাই যে সাধারণ কোনো চাকরিতে কাকুকে include করাবো না। সামনের ৪৬তম বি সি এস পর্যন্ত অপেক্ষা। যদি হয় তাহলে ভালো আর না হলে আই এল সি করিয়ে কানাডাতে পাঠিয়ে দিবো।
Noon |
|---|
![]() |
|---|
এরপর বড়দি আমাকে ডেকেছিল মোবাইলে একটু কাজ করার জন্য। বড়দি অর্থাৎ আমার পিসতুতো বোন - আমি বড়দির কাছে পৌঁছে দেখলাম বড়দি এক গাঁদা মাছ কাটতে বসেছে। আমি মোবাইলের কাজ সেরে চলে আসছিলাম।
![]() |
|---|
পথেই দেখলাম একটি কিউট বিড়াল, আমি পেছন থেকে ডাকতেই আমার দিকে ঘুরে তাকিয়েছিল। অনেক ধরার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ধরতে পারলাম না। যাইহোক, কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম অনেক সংগ্রাম করে।
![]() |
|---|
আমি বাড়িতে ফিরে এসে স্নান শেষ করে দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলাম। খাবার দেখে আর খেতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ খাবারে ডাল ছিল। আমি ডাল খেতে একদমই পছন্দ করি না। তবে মা আমার জন্য বিটের চাটনী করেছিল তাই এক পাশে ডাল রেখেই কোনোরকম ভাত খাওয়া শেষ করেছিলাম।
Afternoon |
|---|
![]() |
|---|
তারপর মানিব্যাগে হাত দিয়ে তিনশত টাকা বের করে নিয়েছিলাম। আমি বাজারে যাবো কারণ ভাপা পিঠা খাওয়ার কথা ছিল পূর্ব থেকেই। এবং আজকের ভাপা পিঠা হবে একটু অন্যরকম। আমি মিনিট পাঁচেকের মধ্যে বাজারে পৌঁছেছিলাম। কারণ ইমন এসেছিল বাইক নিয়ে আমাকে নেয়ার জন্য। আমি আজ ওদের সবাইকে ভাপা পিঠা খাওয়াবো।
![]() |
|---|
কিন্তু আমরা বাজারে পৌঁছে দেখলাম সবেমাত্র ঐ ভাপা পিঠা বিক্রেতা তাঁর দোকানে এসে পৌঁছেছে। তাই আমি একটু এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করতেছিলাম। হঠাৎ এক বৃদ্ধ দাদু বললো সকাল থেকে কিছুই খায়নি। তাই আমি চায়ের দোকানে নিয়ে গিয়ে বললাম তাঁর কি কি পছন্দ। ঐ দাদু শুধুমাত্র একটি পাউরুটি নিয়েছিলেন। সাথে আমি একটি চা ও অর্ডার করে এসেছিলাম।
![]() |
|---|
আমাদের আড্ডা দেয়ার অন্যতম স্থান রিপনের দোকান। তাই সবাই মিলে কথা বলছিলাম ও ভাপা পিঠার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। আমি সুযোগে একটু পোস্ট লিখেছিলাম কিন্তু এই ফাজিল ইমন আমার লেখার সময় মোবাইল নিয়ে টানাটানি করছিল।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইমনের মাথার চুল ধরেই কয়েটি চড়, কিল ও ঘুষি দিয়েছিলাম। তবে হ্যাঁ, খুব ব্যাথা পাবে এরকম ভাবে মারিনি। ইমনের কোনো বোন নেই আর সেই ছোটবেলা থেকেই আমাদের বেড়ে ওঠা এক সাথে। আমাকে অনেক সম্মান করে ও ভালবাসে। তবে লজ্জাটাও নেই আমাকে আবার বলল যেন ছবি তুলি ও আমার পোস্টে ব্যবহার করি।
![]() |
|---|
ভাপা পিঠার দোকানদার আমাদেরকে ডেকেছিল পিঠা খাওয়ার জন্য। আমরা পূর্ব থেকেই বলে রেখেছিলাম কিভাবে আমাদের জন্য পিঠা বানাবে? কারণ একটু মিষ্টি বেশি না হলে পিঠা খেতে মজা লাগে না।
| স্থান | খাবারের নাম | পরিমাণ | বি ডি মূল্য | Steem Price |
|---|---|---|---|---|
| বাংলাদেশ | ভাপা পিঠা | ১০.০০ | ১০×২০=২০০.০০৳ | 09.524 |
পিঠা খাওয়া শেষ করে আমি বিল পরিশোধ করে রিপনের দোকানে এসেছিলাম। সকলে মিলে অনলাইনে মার্কেটিং এর কাজ শিখছিল। আমি ওদের সাথে বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করেছিলাম বর্তমান সময় সম্পর্কিত। কারণ এই সবের নামে অনেকেই ফাঁদ পেতে রয়েছে অর্থ উপার্জনের জন্য।
তারপর আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। এভাবেই বিগত দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম।
END |
|---|










দিদি, আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না, আপনি লোকটাকে পাউরুটি কিনে দিয়ে আপনি খুব ভালো করেছেন।
ভাপা পিঠার কথা শুনে লোভ লেগে গেলো। সত্যি বলতে ভাপা পিঠা আমার খুব প্রিয়।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই, অনেক অর্থের প্রয়োজন নেই উদ্দেশ্যটা সঠিক হলে অনেক কিছু করা সম্ভব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
দিন লিপিটা পরে বেশ ভালো লাগলো, দুপুরে গোসল করে এসে ভাত খেতে গিয়ে আপনার আর খেতে মন চাইলো না মাঝেমধ্যে আমারও এমনটা হয়।
কারণ আপনার মত আমারও ডালে একদম পছন্দ না তবে বিটের যে চাপ মিটার দেখছি, এটা কিন্তু দেখতে বেশি লোভনীয় লাগছে যদিও আমি খাইনি তবে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে।
আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো। কেননা আপনার পোষ্টের শুরুতে একটি লেখা খুব ভালো লাগলো কারণ আপনি একট ক্ষুধার্ত মানুষকে সহযোগিতা করেছেন । এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমাদেরও প্রত্যেক জনের এরকম ক্ষুধার্ত এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।