Better Life with Steem|| The Diary Game|| 3rd October 2024
![]() |
---|
Hello Friends,
কোনো কাজের কাজ হয়নি আজ কিন্তু পোস্টটাও লেখা হয়নি। তবে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে প্রতিদিনের কাজের জন্য সময়ের তালিকা পুনরায় সাজাতে হবে। নচেৎ কোনো কাজই যেন সময়মতো শুরুই করতে পারছি না তাহলে সমাপ্ত কিভাবে করবো। যাইহোক, সব অলসতা ছাপিয়ে এখন আমার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করে নিবো।
বিগত পরশু দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, আমার সকালটা অন্যান্য দিনের মতোই দশটার দিকে শুরু হয়েছিল। তবে আমি কিন্তু ইচ্ছে করে বিছানা ছাড়িনি, সকাল সকাল মায়ের বকুনিতে ঘুম ভেঙ্গেছিল। না ডাকলে হয়তো দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতো কিন্তু ঘুম ভাঙ্গতো না।
আমি প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়ে হালকা খাবার খেয়েই একটু কম্পিউটারের সামনে বসেছিলাম। অনলাইনের কিছু কোর্স দেখছিলাম যেহেতু, খুব শীঘ্রই আমার ইচ্ছে আমি ব্লকচেইন সেক্টরের কাজ বিষয়ক একটা কোর্স সম্পন্ন করবো।
![]() |
---|
ভাই-বোনদের স্কুল ছুটি, বাড়িতে এসে বইয়ের ব্যাগ কোনোরকম রেখেই দলবেঁধে খেলছে। তবে শৈশবে থাকা এখনকার শিশুদের খেলা ও কথাবার্তার ধরনে ভিন্নতা দেখা যায়। এই বয়সে আমরা মোবাইলের নাম ও জানতাম না । কিন্তু এখনকার শৈশবে থাকা এই শিশুরা খেলাতেও এটাকে যুক্ত করেছে।
যাইহোক, আমার একটু অলসতা কাজ করছিল সেটা দূর করার জন্যই ছোটদের খেলাধুলা করার কাছাকাছি গিয়েছিলাম। বেশ ভালোই লাগছিল, কারণ এই সোনালি সময়টাতো আমাদের সকলের জীবনেই এসেছে যেটা এখন স্মৃতি হয়ে আছে। ছোটদের সাথে বা কাছাকাছি থাকলে মন ভালো থাকে যেটা আমার মনে হয়।
কিছু সময় এখানে অতিবাহিত করার পরে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম এবং স্নান সেরে নিয়েছিলাম। ওহ! কেমন যেন অস্বস্তি লাগছিল বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য। হঠাৎ পাখা ঘুরতে দেখে একটু শান্তি পেলাম। আগেই বাতাসে বসলাম যে গরম পড়েছে আবার মাঝেমধ্যেই ঐদিন আকাশ মেঘে ঢেকে যাচ্ছিল যে কারণে আরো বেশি গরম লাগছিল।
![]() |
---|
ইচ্ছে করেই আমি একটু আগে ভাগে বাজারে গিয়েছিলাম। প্রথমেই বিড়ালের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম ও কয়েকটি ছবি মুঠোফোনে তুলেছিলাম। ঐ স্থানে লোক সমাগম দেখা দিতেই আমি ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
কোনো প্রয়োজন বা কাজ ছাড়া এভাবে বসে থাকা একদমই অসম্ভব ব্যাপার। আমি একটি মুদির দোকানে গিয়েছিলাম কয়েকটি চকলেট ও আমার প্রিয় কোন আইসক্রিম নিয়ে আসার জন্য।
![]() |
---|
বিশেষ করে এই আইসক্রিমে থাকা বাদাম ও বাইরের শক্ত অংশ খেতে আমার ভীষণ পছন্দ। তাঁর সাথে যোগ করার যায় চকলেটে অংশটুকু। সব মিলিয়ে দারুন! এখানে কিন্তু আমি ভাগ দিতে একদমই নারাজ। যদিও অন্যদিন অটো নিয়ে বাড়িতে যাই কিন্তু আইসক্রিম খেতে খেতে যাবো তাই আর অটো নেওয়া হয়নি।
![]() |
---|
যদিও অনেকটা সময় বেশিই লেগেছিল বাড়িতে পৌঁছাতে। আইসক্রিম শেষ হতেই সময়ের কথা মনে পড়ল। আমি দেখলাম সামনে লোকজনের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। আবার সামনে একটা কবরস্থান যেখানে টুকটাক ভয়ের কথা শোনা যায়। তাছাড়া যেহেতু, কাল সন্ধ্যা এখন ঐ পথের ধারে তেমন একটা লোকজন ও থাকবে না। যাইহোক, আমি একটু দ্রুত হেঁটে ঐ স্থানটি অতিক্রম করলাম।
![]() |
---|
সন্ধ্যা হয়েছিল বাড়িতে ফিরতে ফিরতে, যাইহোক মা'কে কিছু কাজে সাহায্য করেছিলাম। তারপরে টিউবওয়েলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘরে এসেই এক কাপ চা খেয়েছিলাম। কম্পিউটার অন করে স্টিমিট প্রোফাইলে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম। Tg তে কথা বলতে বলতে স্টিমিটে লেখার বিষয়বস্তু ও পরিবর্তন করেছিলাম গতরাতে।
যাইহোক, এভাবেই আমি গতকালকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
ঘুমিয়ে থাকলে শুধু ঘুম পড়তে ইচ্ছে হয় এবং মা থাকলে একটু বকাবকি শুনে ঘুম থেকে উঠা যায় যা আপনার সৌভাগ্যয় আছে বলে আপনি আপনার মায়ের বকুনি শুনে ঘুম থেকে উঠেছেন।
আসলে শৈশবে আমরা অনেক ধরনের খেলাধুলা করেছি যে খেলাধুলা গুলো আমাদের এই সময় হারিয়ে গিয়েছে এখন ছোট ছোট বাচ্চারা মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
এক সময় আমার ঘুম ভাঙতো মায়ের বকুনি খেয়ে। এটা আমার নিয়মিত প্রাপ্য ছিল। কারণ বাসায় আমিই সবচেয়ে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতা। তখন বিরক্তবোধ করলেও এখন এই বকুনি খুব মিস করি।
বাচ্চাদের এই মোবাইল আসক্তির জন্য হয়তো আমরাই অনেকটা দায়ী। আমরাই ওদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওদের হাতে মোবাইল তুলে দেই । এরপর ওরা আস্তে আস্তে এর ভেতরে এক নতুন দুনিয়ার খোঁজ পেয়ে যায়।