Better Life with Steem|| The Diary Game|| 30th August 2024
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? সম্পূর্ণ দিনটা বেশি ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছি। তাই কষ্ট লেখার জন্য বুঝতে একটু বিলম্বই হলো। যাইহোক, আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমি ভিন্নরকম কোন লেখা না বরং আমার দৈনন্দিন কার্যক্রম আপনাদের সাথে ভাগ করে নিব।
আমার আজকের সকালটা শুরু হয়েছিল দশটার দিকে। এটা আমার দৈনন্দিন রুটিন যে আমার ঘুম থেকে উঠতে একটু বিলম্বই হয়। যদিও মাঝে মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য একটু সকালে ওঠার চেষ্টা করি কিন্তু সেটা কদাচিৎ।
যেহেতু বাংলা বছরের ভাদ্র মাস চলছে এবং শুরুর দিক থেকেই যেন অনবরত বৃষ্টিই হচ্ছে। এমন কোনো দিন নেই যে দিন দুই তিন বার বৃষ্টির দেখা মিলছে না। ইদানিং সকালে শব্দ শুনেই ঘুম ভাঙ্গে। তবে আজকের সকালটা একটু ব্যতিক্রম কারণ বৃষ্টির শব্দ শুনতে পারিনি। অনেকদিন পর মেঘহীন কিছুটা আকাশ দেখার সুযোগ মিললো। তবে ভরসা নেই যে কোনো মুহূর্ত বৃষ্টি নামতে পারে।
পাশাপাশি এটা বলতে হবে যদিও বিগত পাঁচ সাত বছর ধরে বর্ষা ঋতুতেও বৃষ্টি দেখাতে এমন একটা মেলে না। অথচ এই বছর টি যেন নিজেকে বর্ষাকালের জন্য সাজিয়ে রেখেছিল পূর্ব থেকেই। একটা মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের এখানে মেঘ দেখা দিলেই বর্তমানে বৃষ্টি হচ্ছে আবার বাতাস যখন মেয়েকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তখনই বৃষ্টি থেমে গিয়ে আবার ঝলমলের উত্তর দেখা যাচ্ছে।
নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলের এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। অন্যদিকে এত বৃষ্টির পরও দেখা যায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জল ও কমে যাচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে আমাদের এলাকাতে কয়েক বছর আগে নদী তার নাব্যতা হারিয়েছিল কিন্তু বর্তমান কিছুটা হলেও নদী নাব্যতা ফিরে পেয়েছে।
যে কারণে জোয়ার ভাটার ফলে জল সরে অন্যত্র অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের দিকে ধাবিত হয়। অন্যথায় এই বছর যে পরিমাণে বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে হয়তো বর্ষাকালের এই একাধিক মাস আমাদের এলাকার বন্যা প্লাবিতই থাকতো।
কিছু সময় একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করে আবারো বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। কারণ তখন প্রায় স্নানের সময় হয়ে আসছিল। অন্যদিকে সকালে খাওয়া হয়নি, মা যথারীতি ঝামেলা করবে এটার জন্যই দ্রুত ফিরে এসেছিলাম।
ফ্রিজে রাখা হাঁসের মাংস ও মা সকালেই লুচি করেছিল কিন্তু যেটা আমি খেয়াল করিনি। এটা দেখে আর বিলম্ব না করেই দ্রুত স্নান সেরে এসেই তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছিলাম। যেহেতু, মাংস এবং সাথে লুচি ছিল তাই আজ আর করো জন্য অপেক্ষা করতে মন চাইছিল না।
মোটামুটি যতোক্ষণ খাওয়া সম্ভব মাথা নিচু করে খাচ্ছিলাম যেন আশেপাশের কেউ আমাকে দেখলেও আমি তাদেরকে না দেখি। আমার পছন্দের খাবার তাই একটু চালাকি না করলাম। তবে লুচি যেহেতু ভাজি করা তাই মাত্র চারটা লুচি খাওয়ার পরে মনে হচ্ছিল মাংসে মনে হয় লস করতেছি। লুচি রেখে আরো কয়েক টুকরো মাংস খেয়েছিলাম।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া তো সেই ছিল অনলাইনের কিছু কাজ করেই একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার ছোটো ভাই নয়ন কল করে বললো আমি যেন দ্রুত মন্দিরের মাঠে যাই। ওহ! পৌঁছে দেখলাম আমাদের পাড়ার সকল নারী ও পুরুষ একত্রিত হয়েছে।
✅বিষয় কি?
আমাদের পাড়ার একটি ছেলের মোবাইল নিখোঁজ সেটা নিয়েই সোরগোল। আবার এক ফকির এসেছে এখানে তিনি নাকি মোবাইল বের করে দিবেন। এটা কিন্তু এক প্রকার ব্যবসা ও বটে। যাইহোক, হুদাই সময় নষ্ট হলো।
যাইহোক, এইসব দেখে একটু মাথা ও গরম হচ্ছিল তাই আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। কিছু সময় পি সি তে বসে এদিক ওদিক করতে করতেই সন্ধ্যা আগত, এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
সকালের নাস্তা লুসি আর হাঁসের মাংস যেটা অনেক লোভনীয় ছিল। হাঁসের মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করছেন হয়তোবা আগের দিন রান্না করেছিল সেটা উঠিয়ে রাখছে।
নীল আকাশের ছবিগুলো উঠানো অনেক সুন্দর হয়েছে সেই সাথে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আপনার দিনটি বেশ ব্যস্ত এবং বৈচিত্র্যময় ছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা কাজ, অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতি আপনাকে সম্পূর্ণ ব্যস্ত রেখেছে। আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
বিভিন্ন জায়গায় শুনতে পাচ্ছি অনেক বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে তেমন বৃষ্টির দেখা পাচ্ছি না।। আর হ্যাঁ হাঁসের মাংস খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে। বর্তমান সময়ে মানুষ উপার্জনের নামে অনেক কুসংস্কার বা ভন্ডামি করে থাকে। আগের তুলনায় কিছুটা এখন এগুলো কমই দেখা মেলে।।
@adeljose,
Thank you so much. 🙏