Better Life with Steem|| The Diary Game|| 2nd October 2024
![]() |
---|
Hello Friends,
হঠাৎ বৃষ্টিতে আমার অবস্থা আজকে একদমই নাজেহাল। মোবাইল স্ক্রিনে ও তাকাতে ইচ্ছে করছে না , কারণ ঠান্ডা লেগে জ্বর ও মাথা ব্যথা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যাইহোক চলুন তাহলে আজকের কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সকালে যদিও ঘুম থেকে ওঠা হয়না কিন্তু ছোট ভাইয়ের কল পেয়ে বিছানা ছেড়েছিলাম। ইতিপূর্বে একটি পোস্টে বলেছিলাম আমার এক ছোট ভাইয়ের মোবাইল ডেড হয়ে গিয়েছিল। মোবাইলটার বর্তমান বাজার মূল্য চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি কিন্তু যখন ক্রয় করেছিল তখন নিয়েছিল ছত্রিশ হাজার টাকা।
মজার বিষয় হলো মোবাইল সার্ভিস কেয়ারে নিয়ে গেলে ত্রিশ হাজার টাকার কথা বলেছে। আমার তো এটা শুনে মনে হচ্ছিল ঐ লোকটি হয়তো নেশাটেশা করা অবস্থায় ছিল। যদিও ঐ খানে ২য় কোনো কথা না বলে ছোটভাই অন্য সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়েছিল।
![]() |
---|
এগুলো বললাম, কারণ সকালে আমরা ঐ মোবাইলটাই আনার জন্য যাবো তাই এতো সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা। দুর্ভাগ্যবশত মোবাইলটা অন করে চেক করার মূহুর্তে আবারো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কি আর করা, যেহেতু মাদারবোর্ড সমস্যা হয়তো ঠিক করার সময় সেট আপ সঠিক হয়নি।
![]() |
---|
আবারো মোবাইলটা দিয়ে আমরা ফিরে এসেছিলাম আমাদের বাজারে এবং চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এই বিড়ালটির ছবি পূর্বে ও আপনারা দেখেছেন যেটা আমি মাঝেমধ্যেই আমার পোস্টে শেয়ার করি। আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরেই এসে গা ঘেঁষে দুষ্টুমি করতে শুরু করেছিল।
আকাশে বিন্দুমাত্র মেঘের চিন্হ নেই তাই প্রখর সূর্যের আলোতে অনেক গরম লাগছিল। আমি ও ছোটভাই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমি সবেমাত্র পাখা ছেড়ে বিছানায় শুয়েছি তখনই আমার মোবাইলে একটা কল এসেছিল। বিষয়টা উল্লেখ করছি না, তবে ঐ মুহুর্তে আমার ঘটনাস্থলে যাওয়াটা খুবই জরুরি ছিল।
যদিও মা জিজ্ঞেস করেছিল কারণ মা তো মুখের দিকে তাকালেই সকল সমস্যা মায়েরা বুঝতে পারে। তখন দুপুর বারোটার ও বেশি বাজে আমি ড্রয়ার থেকে টাকা বের করে রেডি হয়েই বেরিয়েছিলাম। শুধু মা'কে বলেছিলাম আমার বাড়িতে ফিরতে বিলম্ব হবে। আমার মা আর দ্বিতীয় কোনো প্রশ্ন করেনি কারণ মা জানে আমার ভীষণ গরম আর এই গরমে বেরোচ্ছি অর্থাৎ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অবশ্যই আছে।
এমন একটা সময় গ্রামের রাস্তায় গাড়ি পাওয়াটাও মুশকিল। যাইহোক, আমি দ্রুত বাজারে পৌঁছেই এক অটোচালক ভাইকে বললাম আমাকে নিয়ে এখনই জেলা শহরে যেতে হবে। যদিও ঐ লোকটার সাথে অটো ছিল না তবে রাজি হলো। আমাকে অপেক্ষা করতে বলেই বাড়ি থেকে অটোভ্যান নিয়ে বাজারে চলে এসেছিল পাঁচ মিনিটের মধ্যে।
![]() |
---|
এরই মধ্যে আমাদের এলাকার বর্তমান ছাত্র কমিটির সভাপতি আমার সহপাঠী ওর সাথে মোবাইলে সকল বিষয় অবগত করে নিয়েছিলাম যাতে ঘটনাস্থলে সম্পূর্ণ আমাদের লোকজন রেডি থাকে। যাইহোক, অটোতে উঠেই মনে হলো কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির জল। অমনি অটো থেকে থেমে চায়ের দোকান থেকে দুটো পলিথিন নিয়েছিলাম যেহেতু ছাউনি হীন অটো মোবাইলটা তো নিরাপদে রাখতেই হবে।
সময় খারাপ হলে যা হয় আরকি মাঝপথে যেতেই প্রচন্ড বৃষ্টি। আবার এমন এক জায়গায় আশেপাশে কোনো দোকানপাট ও নেই। মোটামুটি বৃষ্টির জলে স্নান করা হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে মোবাইল নিয়ে ও চিন্তা হচ্ছিল। যাইহোক, একটি দাঁড়ানোর জায়গা দেখে অটো থামিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম ও হাতের জল কমিয়ে মোবাইল দুটো বের করে দেখলাম ঠিক আছে।
![]() |
---|
মোবাইল Display on হতেই দেখলাম দুইটা মিসড কল উঠে রয়েছে। যেখান থেকে কল এসেছিল ওরাও জানে না আমি যাচ্ছি। তখনই কল ব্যাক করে বিষয়টা জানালাম। পরিস্থিতি ভালো তাই আমাকে নিষেধ করায় আমি মাঝ পথ থেকেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। তবে সমস্ত শরীর বৃষ্টিতে ভেজা আর বাতাস লেগে পথেই হাঁচি শুরু হয়েছিল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে আজ আর নিস্তার নেই।
আবার বাড়ি থেকে ও কল করছিল যেন দ্রুত বাড়িতে ফিরে যাই। কারণ আজকে আবার জ্যাঠাবাবুকে নিয়ে খুলনা সিটি মেডিকেলে যেতে হবে। সেখানে কয়েকদিন ভর্তি রেখে জ্যাঠাবাবুর চিকিৎসা করাতে হবে। এখানে আসার সময়ই অ্যাম্বুলেন্স যেতে দেখেছিলাম আমাদের বাড়ির দিকে। দুর্ভাগ্যবশত, বাড়িতে গিয়ে আর জ্যাঠাবাবুকে দেখতে পারিনি। ইতিমধ্যে ভাইদা, জ্যাঠাবাবুকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল।
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে খেতে খেতে বাবা ও মাকে সকল ঘটনা খুলে বললাম। যেহেতু, আজ আমাদের স্থানীয় সাপ্তাহিক বাজারের দিন তাই বাবা বিকেলে অনেক ব্যস্ত থাকবে। আমাদের পুকুরে ছাড়ার জন্য চিংড়ি মাছের পোনা নিয়ে আসবে যেটা বাবা আমাকে দেখতে বললো।
এই সময়ে চিংড়ির পোনা ছাড়ায় অনেকটা ঝুঁকি থাকে তবে পোনা বেশ ভালো ছিল তাই আমি দুই ড্রাম পোনা জলকরে ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। সব বাইরের কাজ শেষ যদিও ওষুধ নিয়ে আসাটাই বাকি রইলো। খুবই ক্লান্ত লাগছিল।
এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।