Better Life With Steem || The Diary Game || 29th January 2024||

in Incredible India8 months ago (edited)
IMG_20240129_173034.jpg

Hello Friends,
শুভ সন্ধ্যা, সারাদিন একটি মানসিক চাপ আবার ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই সময় পার করেছি। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে সন্ধ্যায় প্রথমে দিনলিপি লিখবো। আজকের দিনটি একটু অন্যরকমই ছিল। প্রতিদিনের কাজে পাশে অন্য একটি কাজ ও যুক্ত হয়েছিল। আসুন সবাই সেই অন্যরকম দিনটি সম্পর্কে জেনে নিই।

Morning

IMG_20240129_011254.jpg

আমি আজ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। সকাল ৭.০০টায় শুরু হয়েছিল আমার আজকের দিনটি। প্রথমেই ঘুম থেকে উঠে নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম ও পড়ার টেবিলে বসেছিলাম। মজার বিষয় হলো গরম জল প্রায় এক লিটার শেষ করেছিলাম অথচ চোখে যেন ঘুম লেগেইছিল। বলা যায় যে আমি আজ সকালে উঠেই প্রথমে ঘুমের সাথে সংঘর্ষ করেছিলাম।

IMG_20240129_180010.jpg

ঘণ্টা দুই বই পড়ার পর মা ডেকে বলল যেন আমি একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসি। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে এক ঠাকুরদার আঙ্গিনায় পৌঁছেছিলাম এবং দেখলাম আমার ঐ ঘরের ঠাকুরদা ঘরের সামনে বসে সকালের খাবার খাচ্ছিল।

সেখানে একটি বিড়াল এসেছিল, বিশেষ করে বিড়াল দেখেই আমি আরো কিছু সময় ঠাকুরদার পাশেই ছিলাম। কারণ এই বিড়াল বলতে পারেন আমার জন্য একটি দুর্বল পয়েন্ট। আমি বিড়াল দেখলেই ধরার চেষ্টা করি। হয়তো সব সময় সফল হই না কারণ পোষা বিড়াল না হলে এবং অচেনা মানুষ দেখলেই বিড়ালরা একটু দূরেই থাকে। এরপর সকালের খাবার খেয়ে আমি একটু পড়তে বসেছিলাম। এভাবে প্রায় দুপুর হয়ে এসেছিল।

Noon

IMG20240129120719.jpg

আমি শীতের সময় নিয়ম করেই স্নান করি অন্যথায় আমার ঠাণ্ডা লাগে। আমি দ্রুত স্নান শেষ করে রৌদ্রে দাড়িয়েছিলাম। তারপর মা আমাকে ভাত খাওয়ার জন্য ডেকেছিল। আমার দুপুরের খাবার আজ মোটেও পছন্দের ছিল না। তাই মা খেতে বসিয়ে একটি দেশি মুরগির ডিম ভাজি করে দিয়েছিল।

আমি দুপুরের খাবার শেষ করেই মোবাইলটা চার্জার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলাম। বাইরে বেরিয়ে দেখলাম এক ঝাঁক হাঁস আমাদের ঘরের সামনে মনে হয় খাবার খুজতেছিলাম। হ্যাঁ, একদমই তাই কারণ মা মাঝেমধ্যেই এখানে মুরগির জন্য খাবার দেয়। আর অবশিষ্ট খাবার গুলো এই হাঁসেরা দল এসে পরিষ্কার করে ফেলে।

Afternoon

IMG_20240129_181855.jpg

দুপুরের খাবার শেষ করে আমি কমিউনিটির একটি পোস্ট ভেরিভাই করার জন্য চেক করতে বসেছিলাম। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে সমস্যা দেখে নিজেকে ভেরিফাই থেকে বারত রেখেছিলাম। সারাদিন বসে থেকে ভীষণ ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। তাই বাবাকে বললাম কিছু টাকা দিতে এবং আমি বাবার সাথে বাজারে গিয়েছিলাম।

আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌঁছাতেই স্থানীয় এক অটোভ্যান চালক আমাদেরকে ডেকে বাজারে নিয়ে গিয়েছিল। আমি প্রথমেই এক কাপ কফি খেয়েছিলাম, তারপর রিপনের জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। কারণ রিপনের পঞ্চাশ হাজার টাকা আমাকে এক পরিচিত মামা দিয়ে গিয়েছিল।

Screenshot_2024-01-29-15-50-31-97_572064f74bd5f9fa804b05334aa4f912.jpg

একটি তথ্য দেয়ার জন্য আমি ভয়েসে ভাই ও আপুদের সাথে কথা বলেছিলাম। আমাদের কমিউনিটিতে এটা সত্যিই প্রশংসনীয় যে কোনো স্টিমিয়ান তাঁর স্টিমিটে কাজের ক্ষেত্রে খুব সহজেই তথ্য গুলো পান। কারণ আমিসহ আমরা কমিউনিটির সকলেই এই বিষয়ে সচেতন। এই কমিউনিটিতে আমার পথ চলা ও এভাবেই শুরু হয়েছিল। তাই আমিও সেই পথের পথপ্রদর্শক হতে চাই।

IMG_20240129_182533.jpg
IMG20240129165630.jpg

আমি রিপনের বিলম্ব দেখে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌছে একটি চিংড়ির চপ ও একটি মিনি বার্গার খেয়েছিলাম। এই খাবারের স্বাদ হয়তো বড় রেস্টুরেন্টের মতো সুস্বাদু ছিল না তবে খাবারের গুনগত মান খুব ভালো ছিল।

➡️খাবারে মান ভালো বলার কারণ:- এই খাবার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত সকল উপকরণ আমাদের গ্রামেরই। অর্থাৎ যেখানে নেই কোনো ভেজাল ও রাসায়নিক কিটনাশকের ব্যবহার। তাই আমি মনে করি ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি এটা স্বাস্থ্যসম্মত ও বটে।

IMG_20240129_183500.jpg

তারপর আমি রিপনের হাতে টাকা বুঝে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাজারের কাছেই দেখলাম এক পরিচিত বোন বেড়াতে এসেছে তার বাবার বাড়িতে। আমাকে ডাকতেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তারপর ঐ বোনের একমাত্র সন্তানের সাথে আমার বেশ ভাব হয়েছিল। আমি ও ভাগ্নে কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম।

IMG_20240129_183905.jpg
IMG_20240129_183843.jpg

পাশেই গলদা চিংড়ি বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। কারণ এই গলদা চিংড়ি গুলো আমাদের রাজধানী শহর ঢাকাতে পাঠানো হবে। এগুলো আমার পরিচিত এই বোনের বাবার পুকুর থেকে ধরা হয়েছিল। প্রায় একশত ষাট কেজির মতো গলদা চিংড়ি পেয়েছিল।

মাছ চাষীদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে। কারণ এখন আর অন্য কারো মাধ্যমে মাছ বিক্রি করতে হয় না। সরাসরি একটু বেশি পরিমাণ মাছ হলেই কোম্পানিতে দেওয়া সম্ভব। আমাদের এলাকা চিংড়ি চাষের জন্য বিখ্যাত। তারপর আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

END

Sort:  

আমার বিড়াল দেখলে বিশেষ করে বিড়াল ছানাদের দেখলে খুব আদর করতে ইচ্ছা করে। বড় রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো দেখতে সুন্দর হয় কিন্তু খাবারের স্বাদ মোটেই ভালো নয়। আপনারা লাকি যে খাঁটি খাবার খেতে পারছেন এমনকি দোকান থেকে কিনেও। ১৬০ কেজি গলদা চিংড়ি শুনেই তো আমি ভিরমি খাচ্ছি!

Loading...
 8 months ago 

পড়ালেখা নিয়ে খুব বেশি সিরিয়াস আপনি, আশা করি বিসিএস এ আপনি সফল হবেন।

আপনার এলাকার দেশি হাস গুলো দেখে খুব আফসোস হচ্ছে। ঢাকায় এখন এই হাস গুলো আর তেমিন পাওয়া যায় না, সব যায়গায় এখন খাকি ক্যাম্বেল হাসের ছড়াছড়ি, যেগুলো শুধু ডিম দেয়, মাংস ততোটা মজার নয়।

আপনার পোস্ট মানেই মাছের সমাহার। গলদা চিংড়ি খাওয়ার জন্যে হলেও আওনার বাড়িতে যাওয়া দরকার।

ধন্যবাদ দিদি সারাদিনের ব্যাস্ততম সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গিয়েছে। আপনার দিনের কার্যক্রম এর পাশাপাশি আপনি কিছু ভালো কাজের মধ্যেও নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কেননা রিপনের টাকা আপনার কাছে দিয়ে গিয়েছিল। আপনি সেটা সঠিকভাবে রিপনের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।

অবশ্যই একজন স্টিমিয়ান কাজ করার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য জানা খুব প্রয়োজন। তাই আপনি ভয়েস এ ঢেকে তাদের সাথে কথা বলে, তাদেরকে সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62153.21
ETH 2411.09
USDT 1.00
SBD 2.64