Hello Friends,
সকল স্টিমিয়ান বন্ধুদের জন্য শীতের সকালের শুভেচ্ছা। আজ নিজেকে একটু চিন্তিত মনে হচ্ছে। কারণ গতকাল আমার ভাগ্নিকে বিভাগীয় এক শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি কিছু পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। গতকালের দিনের সকল কার্যক্রম এখন আমি উপস্থাপন করবো।
গতরাতে ও আমার ভাগ্নির ঘুম ভেঙ্গেছিল রাত চারটার দিকে। তারপরই আমার বিছানায় মা নিয়ে এসেছিল। আমার বিছানায় সকালের ঘুম হয় প্রতিদিন। কিছুক্ষণ আমার সাথে কথা বলার প্রচেষ্টা করার পর ঘুমিয়েছিল। পাশাপাশি আমিও ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমি ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
তারপর কিছু সময় রৌদ্রে বসেছিলাম। শরীরটা একটু গরম হয়ে ওঠা মাত্রই সকাল সাড়ে এগারোটায় স্নান করতে গিয়েছিলাম। কারণ আমি আমার ভাগ্নি খুলানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পৌঁছে দিতে যাবো। ১৮মাস ওভার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের পূর্ব পুরষ থেকেই এটা অনুসরণ করা হয় যে শিশুকে নদীপথে পারাপারে
দুপুরের মধ্যেই আমি, মা, বোন-ভাগ্নি ও বোনের হাজবেন্ড বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। তিনটার দিকে আমরা গাড়ি রূপসা ব্রিজের ওপরে ছিলাম। রাস্তার সমস্যার জন্য যে কোনো স্থানে যেতেই একটু বেশি সময় প্রয়োজন হয়। সব কিছু চিন্তা করেই একটু আগে ভাগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। কারণ আমাদের আবার সিরিয়াল দেয়া ছিল আগে থেকেই।
আমি GOOD HEALTH এর পাশেই এক শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে সবাইকে সাথে নিয়ে পৌঁছেছিলাম। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়েছিল, নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে। তাছাড়া এখানে আমার এক পরিচিত দিদি আছে, তাই সকলের পূর্বেই আমরা ডাক্তার দেখাতে পারবো এটা নিশ্চিত। মোটামুটি সকল ব্যবস্থা করার পর আমি বেরিয়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। সকলকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়াও আমার একটি পত্রিকা নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
আমি ইচ্ছা করেই রূপসা ঘাটে এসেছিলাম। কারণ এই পথে আমার সময় সাশ্রয় হবে। ঘাটের একটু পূর্বেই এই দৃশ্যটি। আমি খুলনা যদি তাই , তাহলে এই দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে মিস করি না। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাই মনে হয় এই দৃশ্য এজন্যই যে আমরা যেন পিচ ঢালা পথে উঠে ভুলে না যাই আমরা নদীর দেশের মানুষ। এই নৌকা করেই একটা সময় আমাদের যাতায়াত ছিল ।
এখন নেই বললে ভুল হবে তবে কিছু মানুষ আছে যারা উন্নত জীবনে পদার্পণ করেই ইতিহাস ভুলে যায়। নৌপথটা যেন আমাদের জীবনধারার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। নৌ-পথের কোনো বিকল্প নেই। ইতিহাস এটাই বলে যে এই নদীর জন্য ও আমাদের দেশ অনেক নিরাপদ। কেউ ইচ্ছা করলেই হুটহাট আমাদের দেশে প্রবেশ করতে পারে না।
ফলের দোকানে হরেকরকম ফল সাজিয়ে রাখা কিন্তু ক্রেতা নেই। মানুষের মূল্য খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা প্রধান আর সেটার বাজার মূল্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। তাই মানুষ ঐ দিকে চিন্তা করতে গিয়ে হয়তো ফলের দিকে নজর নেই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখন হতাশাগ্রস্থ। কারণ তাঁদের পরিবার ও নির্ভর করে এটার ওপর।
ট্রলারে করে আমি রূপসা নদী পার হচ্ছিলাম। প্রায় পৌঁছে গেছিলাম, তখন ঘাটের একটি দৃশ্য আমি ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। এখানে হাজারো মানুষের যাতায়াত প্রতিদিন। অধিকাংশ মানুষই এই ট্রলার পারাপারে যাতায়াত করে। এখানে অর্থ ও সময় দুটোই কম লাগে। নৌপথে যাতায়াতের সুবিধা এটাই যে সময় ও খরচ উভয়ই স্থল পথের তুলনায় অনেক কম।
এটা ট্রলার থেকে নামার পরের একটি চিত্র যেখানে আছে যাত্রীসহ স্থানীয় অনেক লোকজন। আবার আছে কুলিরা যারা পথিকদের মালামাল বহন করে অর্থের বিনিময়ে। এটাই ঐ কুলিদের পেশা।
এখানে দূরে যাওয়ার জন্য রয়েছে অনেক যাত্রীবাহী বাস। আমি সরাসরি বাসে যাবো না , তাহলে আমার বেশি সময় লাগবে। আমি বাগেরহাটের ছেড়ে দেয়া একটি বাসে উঠেছিলাম। মাঝে একটা গুরুত্বপূর্ণ কল এসেছিল। আমিও বাস থেকে নেমে এক কাপ কফি খাচ্ছিলাম। সুযোগে কথা শেষ করেই পুনরায় গাড়িতে উঠেছিলাম। কিন্তু এক বন্ধু আমাকে ডেকে তাঁর বাইকে করে আমাদের স্থানীয় বাজারে পৌঁছে দিয়েছিল।
আমাদের বাজারে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা, আমার একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছিল। কারণ বাইকে একটু বেশি বাতাস লাগে। আমি স্থানীয় বাজারে এক মামার ছেলে ও অন্য দুইটি ছেলেকে ভাপা পিঠা খেতে দেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম।
শীতের সময় গরম গরম ভাপা পিঠা খুবই মজা, আমিও একটি ভাপা পিঠা নিয়েছিলাম। গরম ভাপা পিঠা হাতে ধরেও ভালো লাগছিল কারণ শীতে যেন হাত বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাড়িতে পৌঁছেছিলাম।
এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
খুব বড়ই আপনার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল ভাগ্নির জন্য। আজ তাকে নিয়ে আপনারদের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা। অতঃপর আপনারা সবাই মিলে ডাক্তারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। যথাসময়ে সব কিছু সম্পন্ন করলেন কিন্তু ফেরার পথে নদী পথে ফিরলেন। চমৎকার কিছু ছবিও তুললেন এবং আমাদেরকে খুব সুন্দর ভাবে এই যাত্রা পথের বর্ণনা দিলেন। সন্ধ্যার পরে আপনার বন্ধুর সাথে বাইকে করে আসছিলেন এবং প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল আপনার। এ সময় গরম গরম ভাপা পিঠা যেন নিয়ামক হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলা, আমরা এখন এটা ভুলে যেতেই বসেছি। চারদিকে ভাপা পিঠা দেখছি পোস্টের মাধ্যমে কিন্তু আমার এখনো ভাপা পিঠা খাওয়ার সৌভাগ্যই হয়ে উঠলো না। দেখি ২০২৪ এ কপালে জোটে কিনা। ব্যস্ততার মধ্যে হলেও মোটামুটি ভালোভাবেই দিনটা কাটিয়েছেন আপনি। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনি আজকে আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।কিছু টেস্ট করেআেন কিন্তু এখনো রিপোর্ট পান নাই। প্র্রার্থনা করি রিপোর্টে ভালো আসুক।
রূপসা ঘাটে আমি বিয়ের পর পর গিয়েছিলাম।খুলনাতে আমার কয়েকজন শশুড়ের বাড়ি।
ভাপা পিঠা দেখে লোভ লাগছে কারন এবছর এখনো খাই নাই এ পিঠাটা।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনার ভাগ্নি অসুস্থ এটা জেনে খারাপ লাগল। আসলে ছোট শিশু অসুস্থ হলে খারাপ লাগে অনেক,দুঃশ্চিতা হয় অনেক কারন সে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না।
এরপর তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এলেন খুলনাতে।
খুলনার রূপসা ঘাটের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন আপনি,যেগুলে খুবই সুন্দর লাগলো।
আমি এই পথ দৈনিক ব্যবহার করি কিন্তু এসব দৃশ্য এতো ভালো লাগেনি আজকের ছবি দেখার আগে।
সন্ধ্যায় আপনি ভাপা পিঠা খেলেন।ভালো কাটল আপনার দিনটি।
ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সকালে ঘুম ভেঙেছে ,,আপনার ভাগ্নিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে,,। এরপরে আপনার বোন মা এবং আপনার বোনের স্বামীসহ রওনা দিলেন খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে, কারণ আপনার ভাগ্নিকে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবেন। ডক্টর দেখানো হয়ে গিয়েছে তবে রিপোর্ট এখনো পাননি প্রার্থনা করছে খুব ভালো রিপোর্ট পান।
রূপসা ঘাটের দৃশ্যটা দেখে আমার নানা বাড়ি যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল আমার মামা বাড়ি খুলনাতে, প্রতিবছরই একবার যাওয়া হয়, ইনশাল্লাহ কয়েক মাস পর হয়তো যাওয়া হবে।