Better Life With Steem || The Diary Game || 26th January 2024||
Hello Friends,
প্রথমেই সকলকে জানাই পড়ন্ত বিকেলের শুভেচ্ছা। এই শীতের দিনে রৌদ্রের আলো যেমন উপভোগ্য আমাদের সকলের কাছে ঠিক তেমনি করে আমি পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম রূপ ধারণ করা সূর্যের ডুবে যাওয়া দৃশ্যটা দেখতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি মনে করি এটা অন্যরাও পছন্দ করে। কারণ কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে মানুষ এই সূর্য ডোবা দেখার জন্য প্রতিবছর ভীড় জমায় এবং এই শীতের সময়ই বেশি মানুষের সমাগম দেখা যায়।
আমি প্রতিবছর শীতের সময় একটু ঘুরতে যাই সেটা হোক বা দূরে হোক বা কাছে। কিন্তু এই বছর সময়ের অভাবে কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এই ব্যস্ততার মাঝে গত পরশুদিন অর্থাৎ শুক্রবারে একটু এদিক-ওদিকে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। এখন আমি শুক্রবারের দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে ভাগ করে নিব।
Morning |
---|
আমি সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তারপর নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়ে চেয়ার ও টুল নিয়ে বাইরে বসেছিলাম। সকালে যেন ঠাণ্ডা আরো বেশি মনে হচ্ছিল। তারপর আমি মডেল টেস্টের উত্তর পত্র নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। সকাল ১০.০০টার দিকে আমি খাবার খেয়েছিলাম।
আমি প্রতি রাতে খাবার শেষ করেই একটু বাইরে বের হই। কারণ সম্পূর্ণ দিন চেয়ারে বসে বই পড়তে পড়তে শরীরের মধ্যে একটু অস্বস্তি কাজ করে। অনুরূপভাবে বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা ত্রিশের দিকে আমি রাস্তাতে গিয়েছিলাম। তখন একটি বিড়াল দেখতে পাই যেটা গাছের তলায় বসে ডাকছিল। খাবারের থেকেও শীতের জন্য হয়তো বেশি কষ্ট পাচ্ছিল।
আমি বিলম্ব না করে বিড়ালটিকে ধরে নিয়ে এসেছিলাম। মাত্র একটি রাত অতিবাহিত হতে না হতেই বিড়ালটি যেন আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছে। আমার ছোট ঠাকুরদা এসেছিল আমার পড়ার সময় আর ঠিক তখনই ওই বিড়ালটি সেখানে এসেছিল।
ওই মুহূর্তে আমাদের স্থানীয় বাজারের এক চায়ের দোকানদার আমাকে মোবাইলে কল করেছিল। বলল যে তার একটি বিড়াল হারিয়ে গিয়েছে। দোকানদারের ধারণা ছিল আমাদের পাড়ার দিকে এসেছে বিড়ালটি। একদমই সঠিক এবং আমি উত্তরে বললাম হ্যাঁ আমি ওকে গতরাতে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসেছিলাম। আমি বিড়ালের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং তারপর ওই লোকটি এসে বিড়ালটিকে নিয়ে গিয়েছিল।
Noon |
---|
আমি স্নান করতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম তখন মা আমাকে মুড়ি ও তপন চানাচুর দিয়েছিল। এই চানাচুর শুধুমাত্র খুলনা বিভাগেই পাওয়া যায়। তাও আবার খুলনা বিভাগের সকল জেলাতে পাওয়া যায় না। তারপর এগুলো খাওয়া শেষ করে আমি স্নান করতে গিয়েছিলাম।
স্নান শেষ করে এসে আমি দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। তারপর কমিউনিটির কয়েকটি পোস্ট ভেরিফাই করেছিলাম। আমার কিছু টাকা বিকাশ থেকে ক্যাশ করার প্রয়োজন ছিল। তাই ভেবেছিলাম একটু বাজারে যাওয়া উচিত।
Afternoon & Evening |
---|
জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে আমাদের এই দিকে প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুল দেখা যায়। তাই আমি বাজারে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আমার জ্যাঠাবাবুর আঙ্গিনায় গিয়েছিলাম। বড়মার নিজ হাতে রোপন করা গাঁদা ফুল গাছে ফুল ফুটেছে। আমি কয়েকটি ফুলের ছবি আমার মোবাইল ক্যামেরাতে ধারণ করেছিলাম।
বাজারে পৌঁছে প্রথমেই এক কাপ চা খেয়েছিলাম। কারণ বাড়ি থেকে বের হবার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে গরম এক কাপ চা খেতে হবে তাহলে হয়তো শীতটা একটু কম অনুভূত হবে। চা খেতে খেতে বিকাশের দোকান থেকে টাকাগুলো ক্যাশ আউট করেছিলাম।
ইতিমধ্যে আমার বড় কাকিমার নাম্বার থেকে একটি কল এসেছিল। আমি তাৎক্ষণিকভাবে কলটা রিসিভ করতে ওপাশ থেকে মা বলল যে আমার ওষুধ আনতে হবে এবং পেঁয়াজ আনতে হবে। তারপর আমি ফোনটা রেখে টাকাগুলো নিয়ে ওষুধের ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম।
ফার্মেসীর এই ছেলেটি আমার এক সহপাঠীর ছোট ভাই। আমি ফার্মেসিতে পৌঁছাতেই ভাই আমার কাছে ওষুধের নাম জানতে চেয়েছিল। আমি ওষুধের নাম বললে খুব দ্রুত আমাকে ওষুধ দিয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধটি নিয়ে পাশের মুদির দোকানে গিয়েছিলাম।
আমি মুদির দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ নিয়েছিলাম। তারপর আমার আর বাজারে কোনো কাজ ছিল না। তবে শীতের সময় যেন সময় খুব দ্রুত অতিবাহিত হয়। তাই একটু ঘোরাঘুরি করার কথা চিন্তা করলেও ঐভাবে আর হয়নি। তারপর আমি বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।
বাড়িতে ফেরার পথেই আমি এক বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে ভাইয়ের মেয়ে এসেছে ৫/৬ দিন হয়েছে। আমাকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও আমি যেতে পারিনি। তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরার পথে ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
আমি, দাদার মেয়ে (পম্পা) ও এক বৌদি একটি রিজার্ভ গাড়িতে পরীক্ষা দিতে যাবো। এমনকি গাড়িটাও আমিই রিজার্ভ করে রেখেছি, তাই ওদেরকে সেটা অবগত করার প্রয়োজন ছিল। তারপর ঐখানে কিছু হালকা খাবার খেয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
END |
---|
সূর্যাস্ত দেখতে খুব ভালো লাগে আমার কাছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেো আমার বাসা থেকে সূর্যোদয় দেখা গেলেও উচু উচু বিল্ডিং এর জন্য সূর্যাস্তটা ভালো দেখা যায় না।
একমাত্র ছাদে উঠলেই সূর্যাস্ত দেখা যায়। কিন্তু ছাদ বন্ধ
করে রাখেন বাড়িওয়ালা বেশিরভাগ সময়। যার কারনে ছাদেও খুব একটা উঠা যায় না।
এই শীতের মাঝে বিড়ালটাকে বাড়িতে এনে খুব ভালো কাজ করেছিলেন।
এই চানাচুরের নাম কখনো শুনি নাই।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
TEAM 1
Congratulations! This comment has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.
Curated by : @pelon53
@pelon53,
Thank you so much sir, for your encouraging support.🙏
উপরওয়ালা যেন ভালো কিছু করেন। যেহেতু
সামনে পরীক্ষা তাই মডেল টেস্টগুলো দিচ্ছেন
বাহিরের চেয়ার পেতে শীতের মিষ্টি রোদে বসে।
চানাচুর মাখা খেলেন তপন চানাচুর। আপনি
আপনার পোস্টে উল্লেখ্য করেছেন এটি খুলনা
বিভাগের হাতে গোনা কয়েকটি এলাকায় পাওয়া
যায়। তবে চানাচুর গুলা মনে হয় খেতে ভালই
লাগবে। আমার কাছে দেখে তাই মনে হচ্ছে।
পরীক্ষার জন্য গাড়ি রিজার্ভ করেছেন তাই
অবগত করার জন্য আপনার ভাই এর বাসায়
গিয়েছেন। কারণ কয়েকজন মিলে ওই
প্রাইভেটকার দিয়ে যাবেন। বাজারে গিয়ে চা
খেলেন গা উষ্ণ করার জন্য। মোটামুটি ব্যস্ততার
মধ্যেই আপনি কেটেছে দিনটি। অনেক অনেক
শুভকামনা রইল আপনার জন্য, পরিশ্রম যেন
সার্থক হয়।
গাঁদা ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালো হয়েছে আর ওই সময় মৌমাছি ফুলের মধু খাচ্ছিল। চানাচুরগুলো দেখতে বেশ অন্যরকম। আমাদের এখানে নানারকম ভ্যারাইটির চানাচুর পাওয়া গেলেও এরকমটা ঠিক পাওয়া যায় না।
রাস্তার পাশে থাকা মানুষ এবং পশু পাখি এই শীতের সবচাইতে বেশি কষ্ট পেয়ে থাকে। আপনি একটা ভাল কাজ করেছেন। সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি তাকে ঘরে নিয়ে এসে জায়গা দিয়েছেন এর চাইতে ভালো কাজ, আর কিছুই হতে পারে না।
অসুস্থ হলে ওষুধ খাওয়া আমাদের সবচাইতে বড় কাজ। কেননা আমরা অসুস্থ হলে অনেক বেশি ভেঙ্গে পড়ি। আপনিও ঠিক সেই কাজটাই করেছেন। আসলে রাতের বেলায় বাহিরে বের হওয়াটা ঠিক না। রাতের বেলায় বাইরে বের হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। দিনের বেলা যতোটুকু সম্ভব হাঁটাচলা করার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।