Better Life with Steem|| The Diary Game|| 25th September 2024
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? যদিও আমি ভালো আছি কিন্তু কিছু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয় আসলে ভালো নেই। কারণ শুধুমাত্র নিজে ভালো থাকার মধ্যে প্রশান্তি পাওয়া যায় না।
যেহেতু আমি একটি সমাজে এবং একটি দেশে বসবাস করি তাই দেশের এবং আমার সমাজের প্রতিটি পরিস্থিতি আমার জীবনযাত্রার ধারাবাহিকতাকে প্রভাবিত করে। যাইহোক, আমি আজকে আপনাদের সাথে আমার আজকের দিনের কার্যক্রম শেয়ার করব।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাইরে রিমঝিম বৃষ্টির আওয়াজ এবং চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। আবহাওয়া এমন রূপ ধারণ করেছে দেখে মনে হচ্ছে হয়তো আগামী সপ্তাহখানেক সূর্যের দেখা পাওয়া যাবে না। ব্রাশ করতে করতে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলাম।
বিগত রাতে যখন আমি পোস্ট লেখা শেষ করেছি সেইটার কিছুক্ষণ পরেই জ্যাঠাবাবুকে নিয়ে বাড়িতে আসা হয়েছিল। যে কারণে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রতিবেশী দাদু এই সকালেই জ্যাঠাবাবুকে দেখতে আসছিল। আপনারা ছবিটিতে দেখতেই পাচ্ছেন মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি ছাতা মাথায় আমার দিকেই আসছিল।
বৃষ্টির জলে কানায় কানায় পূর্ণ প্রতিটি জলকর এবং পুকুর। বাড়িতে ফিরে প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম এবং ছাতা মাথায় বাইরে বেরিয়েছিলাম। যেহেতু সকালেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট তাই বাড়িতে কোনো কাজ পাচ্ছিলাম না। বাজারে পৌঁছে দেখলাম লোকজন ও অনেকটা কম।
বাজারে পৌঁছে কাকুর দোকানে বসতেই আমার প্রিয় বিড়ালটি আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরেছিল। তাই সে গুটিগুটি পায়ে এসেই আমার পায়ের ওপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমি বিড়াল দেখলেই সেটিকে ধরব এটা খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া এই বিড়ালটির সাথে তো আমার পূর্ব থেকেই একটু ভাব রয়েছে।
ওই যে গতকাল একটা বড় ভেটকি মাছ ধরেছিলাম আজ আবার সেই লোভ হচ্ছিল । তাই বাড়িতে ফিরেই জাল নিয়ে এবং হাতে বরশি নিয়ে গিয়েছিলাম জলকরে। যদিও আজ ভেটকি মাছ ধরতে পারিনি কিন্তু বড় সাইজের একটি কাঁকড়া ধরেছিলাম। মোটামুটি বিগত দিনের মতো আজও শখ পূরণ করতে পেরেছি।
যেহেতু সকালে খাওয়া হয়নি তাই খুব খিদে পেয়েছিল। যে কারণে জলকর থেকে এসেই স্নান শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। অন্যদিকে ওই কাঁকড়াটির ডিম হয়েছে তাই বেশিক্ষণ বাড়িতে রাখা ঠিক হবে না। ডিমওয়ালা কাঁকড়ার বর্তমান বাজার মূল্য অনেক বেশি, তাই বিলম্ব না করে আমি বাজারে গিয়েছিলাম।
দুর্ভাগ্যবশত খুশিতে এবং তাড়াহুড়াতে কাঁকড়ার ছবি তুলতে আমি ভুলে গিয়েছি। যাইহোক, কাঁকড়া বিক্রি করার পরেই আমাদের বাজারের তেমাথায় একটি বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
কয়েকজন মিলে একটি ছেলেকে ধরে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছিল এবং ছেলেটির সাথে তার বাবাও ছিল। অনেক ভিড় দেখে আমি একটু পেছনের দিকেই ছিলাম এবং ভিড় কমতেই আমি চেম্বারে গিয়ে দেখি মামা ছেলেটির মাথায় ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।
ক্রমশ যেন দিনের সময়টা কমে আসছে এবং সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল এটা বুঝেই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমাদের এক প্রতিবেশীর ফল বাগানে অনেক মালটা হয়েছে। সেখান থেকে আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো মালটা দিয়ে গিয়েছিল।
মা একটা বড় মালটা দিয়ে আমাকে খেতে বলেছিল। তাই আমি সন্ধ্যায় হাতমুখ ধুয়ে নিজেকে পরিষ্কার করেই পিসিতে বসেছিলাম মালটা সাথে নিয়ে। সব সময় বাজার থেকেই ফল ক্রয় করে খাওয়া হয় বিশেষ করে মালটা, আঙ্গুর, আপেল অন্যান্য কিছু ফল।
কারণ আমাদের দেশে কিছু কিছু ফলের উৎপাদন একদমই নেই বললে চলে। তবে এই ফল খেয়ে মনে হল যে বাজার থেকে আমরা যে ফলগুলো খাই সেগুলো একদমই পরিপক্ক না এবং প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক সেটাতে ব্যবহার করা হয়।
আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে আমার ভাগ্নি আজ সন্ধ্যায় ঘুরতে যেতে পারেনি। তাই আমার সাথে লুকোচুরি খেলছিল সন্ধ্যা থেকেই। আমি হাত বাড়ালেই পালাচ্ছিল আবার আমি দূরে গেলেই উঁকি দিচ্ছিল।
এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।