Better Life With Steem || The Diary Game || 23th January 2024|| My Activities/Winter Picnic.
Hello Friends,
কেমন আছেন বন্ধুরা? এখন বাংলাদেশ সময় দুপুর ১.০০টা, পড়তেছি সেই সকাল থেকেই তাই ভাবলাম একটু বিশ্রাম নেয়া দরকার। এই সুযোগে পোস্ট লিখতে বসেছি, বর্তমান শুধুমাত্র সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ছাড়া অন্য পোস্ট লেখার জন্য আমি বিশ্রামের সময় নির্বাচন করেছি।
প্রতিবছর শীতকালে সর্বনিম্ন হলেও ৭/৮বার পিকনিক করা হয়। গতকাল হঠাৎ করেই একটা পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। বিগত পরশুদিন ১০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার কারণে প্রচণ্ড শীত ছিল। আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও ঘোষণা করা হয়েছে এই তীব্র শীতের কারণে।
আর এই তীব্র শীতে পিকনিক করাটা অনেকটাই উপভোগ্য। আমাদের আয়োজনটা ও ভালো ছিল। হঠাৎ করেই সাত জনের এক মোটামুটি ভালো আয়োজন। তবে আমাদের পিকনিকে কোনো মিউজিক বা হৈ হুল্লোড় ছিল। আমরা গতকাল শব্দহীন পিকনিক করেছিলাম আবার সাথে যোগ করেছিলাম একটি ছোট্ট শিশুকে। যাইহোক, এখন আমি গতকালকের দিনটি সম্পর্কে উপস্থাপন করবো।
Morning |
---|
আমি গতকাল সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। আমি যখন বাইরে গিয়েছিলাম তখন কুয়াশা ও মেঘে চারদিক ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। খুব কাছের কিছু ও দেখা যাচ্ছিল না। তারপর আমি নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম ও বই নিয়ে ঘরে বসেছিলাম।
Noon |
---|
এরপর পড়তে পড়তে হঠাৎ দেখলাম সূর্য মামাকে ঘেম সরে গিয়েছিল। তারপর আমি আমাদের ঘরের সামনে বই নিয়ে বসেছিলাম। এভাবে প্রায় দুপুর হয়ে এসেছিল। আমি স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম তারপর কমিউনিটির কিছু পোস্ট ভেরিফিকেশনের জন্য চেক করতে বসেছিলাম।
Afternoon |
---|
আমি একটি প্রশ্ন প্রিন্ট করানোর জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। আমি বাজারে গিয়ে এক কাপ চা খেয়েছিলাম তারপর প্রশ্নটা প্রিন্ট করা শেষ হলেই বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু অনুপম মামা বলল আজ আমাকে পিকনিকে থাকতে হবে।
আমি আর তেমন বিশেষ আপত্তি করলাম না। ঠিক আছে বলতেই মামা বলল হাঁস আনতে মামার সাথে যেতে হবে। আমি প্রশ্নটা পকেটে রেখেই বাইকে উঠেছিলাম। তারপর মামার সাথে বাজারে গিয়েছিলাম ও হাঁস এবং গলদা চিংড়ি নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।
আজাদ মামা আবার বাড়ি থেকে সকল মসলা ও পিঁয়াজ, রসুন, চৈ-ঝাল এবং অন্যান্য সকল রান্নার প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে এসেছিল। মামা আবার কক্সবাজার চলে যাবে তাই এটাই ছিল এই বারের ছুটির শেষ একটি পিকনিক। মামা রান্নাতেও অনেক অভিজ্ঞ।
Evening and Night |
---|
পিকনিক বাবদ ব্যয়:
Location | নাম | পরিমাণ | বিডি মূল্য | steem price |
---|---|---|---|---|
Bangladesh | হাঁস | ৩.৫০০কেজি | ১৪০০.০০৳ | 70.00 |
Bangladesh | গলদা চিংড়ি | ১.৫০০কেজি | ১২০০.০০৳ | 60.00 |
Bangladesh | চাল | ২.০০কেজি | ১৬০.০০৳ | 08.00 |
Bangladesh | দধি | ২.০০কেজি | ৪০০.০০৳ | 20.00 |
Bangladesh | সরিষার তেল | ১.০০কেজি | ২২০.০০৳ | 11.00 |
Bangladesh | চৈ-ঝাল | ২০০.০০গ্রাম | ২০০.০০৳ | 10.00 |
Bangladesh | পিয়াজ | ৭০০.০০গ্রাম | ৪৯.০০৳ | 2.45 |
Bangladesh | রসুন | ২৫০.০০গ্রাম | ৭০.০০৳ | 3.50 |
মোট ব্যয়ঃ- | ৩৬৯৯.০০৳ | 184.95 |
আমিও মামা হাঁস আজাদ মামার কাছে দিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। মামা হাঁস রান্নার জন্য প্রস্তুত করে নিয়ে এসেছিল। তারপর আমিও মামাকে নিয়ে দ্রুত আমাদের পিকনিক স্পটে পৌঁছেছিলাম। আজাদ মামা ও অনিমেষ কাকু মসলার বাকি কাজ শুরু করেছিল। আমি চাল গুলো আমার এক দাদু বাড়িতে ভাত রান্নার জন্য দিতে গিয়েছিলাম।
আমি আবার ফিরে এসে দেখলাম যে আজাদ মামা ইতিমধ্যে মাংস কষানো শুরু করেছিল। তবে কাঠ গুলো কিন্তু আমাদের ছিল না। আমাদের রান্না করা জায়গার পাশেই বড়দির কাঠ রাখা ছিল, আমি গিয়ে কিছু কাঠ নিয়ে এসেছিলাম।
মাংস মেরিনেট করে রেখেছিল, তাই রান্না শেষ করতে খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয়নি। মাংস রান্না শেষ হতেই আমরা মাংস খেয়ে দেখছিলাম কেমন স্বাদ হয়েছে। মামা ও কাকু বলল যেন ওদের মাংস খাওয়া ছবি তুলি। আপনারা দেখুন আমার কাকু ও মামার মুখের অবয়ব অর্থাৎ মাংস খুব মজাদার হয়েছিল।
এরই মধ্যে নয়ন এবং বাপি ও চলে এসেছিল। আজাদ মামা গলদা চিংড়ি রান্না শুরু করেছিল। চিংড়ি মাছ দেখেই ভীষণ লোভ হচ্ছিল। তারপর আমি ভাত আনার জন্য গিয়েছিলাম। আমি ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ভাত নিয়ে চলে এসেছিলাম।
রান্না শেষে আমরা সবাই এক সাথে খেতে বসেছিলাম। আমার অনুপম মামা আবার বড় থালায় ছাড়া খেতে পারে না। তাই মামা একটি গামলা নিয়ে বসেছিল। সবার থালায় অনিমেষ কাকু ভাত ও দুইটি করে গলদা চিংড়ি দিয়েছিল। তারপর আজাদ মামা হাঁসের মাংস দিয়েছিল, মাংসের পরিমাণটা ও বেশি ছিল।
আমি হিসেব করে দেখলাম যে ভাত খাওয়া যাবে না তাহলে মাংস খেতে পারবো না। আমি প্রথমেই সালাদ নিয়েছিলাম আমার প্লেটে। তারপর আরো দুইবার মাংস নিয়েছিলাম। মাঝে আবার আমাদের রান্না করা জায়গার পাশেই এসেছি এক ভাগ্নে যার বয়স মাত্র তিন বছর। তারপর এক বাটি মাংস তাঁর জন্য আলাদা করে রেখি ঐ মুহুর্তে আমার এক কাকু দিয়ে এসেছিল।
তারপর, সব খাওয়া শেষ করে দধি নিয়েছিলাম। ওহ! স্বুস্বাদু চর্বিযুক্ত হাঁসের মাংস খাওয়ার পর টকমিষ্টি দধি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
END |
---|
সত্যিই শীতের মাত্রা অনেকগুন বেড়েছে আর এই সময়ে পিকনিক করার মজাই আলাদা।আপনি আজ পিকিনিক করেছেন সেজন্য হাস, গলদা চিংড়ি কিনতে গিয়েছিলেন। আজকের দিনটা আপনার খুব আনন্দের মধ্যেই কেটেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।।।
শীতকালীন সময়ে বেশ কয়েকবার পিকনিক হয়ে যায় ৷ আমরাও বেশ কয়েক বার পিকনিক খেয়েছি ৷ পিকনিকে দেখলাম হাঁসের মাংস দিয়ে খেয়েছেন ৷ হাঁসের মাংস খেতেও বেশ মজা লাগে ৷ যাই হোক বেশ মজা করে হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক খেয়েছেন ৷
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ দিনটি আপনার শুভ হোক ৷