Better Life with Steem|| The Diary Game|| 20th March 2024
Hello Friends,
সুপ্রভাত, কেমন আছেন সবাই? ঈশ্বরের ইচ্ছাতে আমি বেশ ভালো আছি। আমি এখন আমার একটি দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। ঐ দিনটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। কারণ সকালেই আমি পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করেছিলাম।
Morning
আমার সকাল শুরু হয়েছিল আটটার দিকে। আমি ঘুম থেকে উঠেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম। তারপর এক গ্লাস জল খেয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে ডিসকর্ড বার্তা গুলো চেক করেছিলাম।
তারপরেই মোবাইল ডাটা বন্ধ করে ছাদে গিয়েছিলাম। আমি ছাদে পৌঁছে দেখলাম একটি সূর্যমুখী ফুল ফুটে আছে। সকাল সকাল ফুলটা দেখেই খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু আমি দেখলাম গাছের গোড়ার দিকের মাটি শুকনো, তাই বিলম্ব না করে জল দিয়েছিলাম।
ছাদের দক্ষিণ দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম একটি স্ট্রবেরী ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে। তাই আমি কাছে পৌঁছেই ঠিক করে দেখলাম যে ফলটা ঠিকঠাক খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে কি না;
তারপরে আমি স্ট্রবেরি ফলটি গাছে থেকে তুলে নিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে আমার দুই কাজিন ও ছাদে উপস্থিত হয়েছিল।ঐ ফলটি নিরাপদ জলে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। তারপর আমরা সকলেই এক সাথে দাড়িয়ে ছবি তুলেছিলাম।
আমি বিগত ৪/৫ বছর পূর্বে হয়তো এটার নাম ও সঠিকভাবে বলতে পারতাম না। শুধুমাত্র বিভাগীয় শহরে কোনো প্রয়োজনে যাওয়া হলেই খাওয়ার সুযোগ হতো। এই ফলটির বাজার মূল্য ও কম না। আবার নাকি এটা অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল।
এখন বাজারের ওপরেই কেন নির্ভর করবো? তাছাড়া আলাদা কোনো জায়গার ও প্রয়োজন নেই। গ্রাম এবং শহর উভয় স্থানেই এই ধরনের ফল চাষ করা সম্ভব। বাজার মূল্য ফসল উৎপাদনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। আমরাই পারি নিজ পরিবারের অনেক খাবারের চাহিদা মেটাতে যেটা সাধ্যের মধ্যে।
যাইহোক, অনেক কাজই হয়েছিল তারপর আমিও রণিত শারীরিক ব্যায়াম করতে শুরু করেছিলাম। আমার ছোট কাজিন খুব বেশি সক্রিয় অন্যদিকে বড় কাজিন ভীষণ অলস। শারীরিক ব্যায়াম মূলত আমার বড় কাজিনেরই করা উচিত। কারণ রূপমের শরীর বয়সের তুলনায় অনেক ভারী।
তারপর নিজেকে পরিষ্কার করে রান্না ঘরে গিয়েছিলাম। তবে ভাত খেতে ইচ্ছে করছিল না, তাই দেখছিলাম যে মা কি কি রান্না করেছে। একটি ঢাকনা উঁচু করেই দেখলাম মা লাউ রান্না করেছে। আমি একটি চামচ দিয়ে খেয়ে দেখলাম খুব মিষ্টি এবং খেতে মজাই লাগছিল।
আমি বিলম্ব না করেই সকলের জন্য রান্না করে রাখা লাউ সবটুকু খেয়েছিলাম। তারপর আমি চোরের মতো নিঃসব্দে রান্না ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু বাবা একটু পরে খেতে বসেই আমাকে ডাকলে বলেছিলাম আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।
মা যখন বাবাকে লাউ দিতে যাবে তখন ঢাকনা উঁচু করে দেখলো একটুও লাউ নেই। তখন বাবা বলল যে বড় বিড়াল সব খেয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ বাবা আমাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছিল। আমার তো পেট ঠান্ডা, তাই আমি আর ঐ দিকে কান দিচ্ছিলাম না।
Noon
তারপর মায়ের কথা মতো এক কাকুর বাড়িতে ডিম আনতে গিয়েছিলাম। এই ছবিতে সব গুলোই মুরগির ডিম ছিল। আমার এক পিসির জন্য রাজধানী শহর ঢাকাতে ডিম পাঠাতে হবে, তাই এতো গুলো ডিম নিয়ে এসেছিলাম।
গ্রামে থাকার সুবিধা এটাই যে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ডিম, মাছ ও সবজিসহ সব কিছুই পাওয়া যায়। হ্যাঁ, শহরেও পাওয়া যায় কিন্তু আমি নিশ্চিত যে গ্রামের মতো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হবে না।
আমি বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে এসেই কিছু সময় মোবাইল ব্যবহার করেছিলাম। তারপর মা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডেকেছিল। আমি দুপুরের খাবারে ডিম খেয়েছিলাম।
Afternoon
এভাবে কিছু সময় অতিবাহিত করার পর আমি আবারো আমাদের ধানক্ষেতে গিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে ধানক্ষেতে যেতেই যেন মনটা ভালো হয়ে যায়। এবার আমাদের পশ্চিম পাশের বিলের মধ্যে আমাদের ধানের গাছ অন্য সকলে চেয়ে অনেক বেশি ভালো।
এরপর কিছু সময় ভিডিও কলে আমি আমার ভাগ্নির সাথে কথা বলেছিলাম। আমার কন্ঠস্বর যেন খুব পরিচিত তাঁর। মোবাইলে কথা বলতে দেখলেই চুপ করে মোবাইলের দিকে মনোযোগ দেয়।
এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি দিন অতিবাহিত করেছিলাম। আজ এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
END |
---|
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.@sohanurrahman,
Thank you so much my dear honourable brother for your encouraging support.
বেয়াদবি ক্ষমা করবেন, আপনি যে একটু পাজিও আছেন তা লাউ চুরি করে খাওয়ায় পরিষ্কার বুঝতে পারছি৷ যাইহোক, আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো৷
এব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত৷ আমার বাসার ছাদেও বিভিন্ন ফলের চাষ হয়। যার মধ্যে স্ট্রবেরিও একটি৷ এই ফলটির দাম বাজারে প্রচুর। যে কারণে এই ফল অনেক মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। যার কারণে সবার সুযোগ হয়না এই ফলটি খাওয়ার। কিন্তু আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতা মিলিয়ে বলতে চাই, এই ফল চাষ পদ্ধতি একেবারেই সহজ, যেকেউ চাইলেই এটা নিজেই চাষ করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।