Better Life with Steem|| The Diary Game|| 19th June 2024
![]() |
---|
Hello Friends,
আজকের দিনটার শুরু যেমনই হোক না কেন শেষটা কিছুটা ভালোই ছিল। গতকাল নিউজের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আজ থেকে আমাদের বিভাগে বৃষ্টি শুরু হবে। তবে কিছু বিষয় নিয়ে একটু চিন্তিত।
Morning |
---|
আমার সকালটা আজ শুরু হয়েছিল সকাল দশটা থেকে। গতকালকের নিউজানুসারে বৃষ্টি শুরু না হলেও আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। যে কারণে অন্যদিনের মতো সকালে আজ একটু গরম কমই লাগছিল। তাই ঘুম ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সকাল দশটা বেজেছিল।
তবে আপনা-আপনি ঘুম ভাঙ্গেনি। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বন্ধ ছিল তাই সকালে আমার বন্ধু বাপি নাম্বারেই কল করেছিল। চোখ বন্ধ ছিল তাই হাত বুলিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়েই কোনোরকম কলটা রিসিভ করেছিলাম।
আমার থেকেও বিলম্ব করে বাপি ঘুম থেকে ওঠে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম বাপির কল পেয়ে। যাইহোক, আমি শুধু বলেছিলাম অপেক্ষা করা আমি ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই বাজারে পৌঁছাচ্ছি।
![]() |
---|
ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করতে করতে মা'কে আমার সকালের খাবার রেডি করতে বলেছিলাম। ব্রাশ শেষ করে আমার সকালের ওষুধটা খেয়ে গরম গরম ভাতের সাথে গলদা চিংড়ি ভুনা খেয়েছিলাম। যদিও তেমন একটা খিদে ছিল না কিন্তু রাতে বাবা আমার জন্য বড় গলদা চিংড়ি রেখেছিল সেটা তো মিস করা যাবে না।
খাবার শেষ করে হাত পরিষ্কার করার সময় থেকে শুরু হয়েছিল আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো। মাঝেমধ্যেই মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ, আমি বাইরে যাচ্ছি এটা বুঝেই মা বলল যেন এখনই যাই নচেৎ যাওয়া যাবে না বাইরে।
![]() |
---|
বাড়ির সামনে রাস্তাতে পা রাখতেই দেখলাম কুকুর ভায়া হাজির। আমি দ্রুত ওকে সাথে নিয়েই বাজারের উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েছিলাম। নচেৎ আমি তো বৃষ্টিতে ভিজবো সাথে কুকুর ভায়াকেও ভিজতে হবে।
![]() |
---|
বাজারে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই আকাশের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছিল। আশেপাশে ও যেন মেঘের রংয়ের প্রভাব পড়েছিল। প্রকৃতিও যেন মুখটা ভার করে ছিল।
![]() |
---|
সেই যে দোকানের বারান্দায় পা রেখেছি তখনই শুরু হয়েছিল তুমুল বৃষ্টি। রীতিমতো কোনো কথাই শোনা যাচ্ছিল না। পাশাপাশি ছিল ভয়ংকর মেঘের গর্জন। আমরা প্রায় ৫/৬জন দোকানে ছিলাম এবং বজ্রপাতের বিকট শব্দে রীতিমতো আমরাও কেঁপে উঠেছিলাম।
তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দোকানের সাটার টেনে দিয়েছিলাম। যেহেতু, আই পি এস আছে তাই গল্প করতে আর সমস্যা হচ্ছিল না। কিন্তু মাঝেমধ্যেই যেন বিকট শব্দ আমাদেরকে স্তম্ভিত করছিল।
Noon |
---|
![]() |
---|
মেঘের গর্জন একটু কমতেই আমরা দোকানের সাটার তুলে বাইরে বেরিয়েছিলাম। তবে বেরিয়ে যেটা দেখেছিলাম সেই দৃশ্য দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। একটা কুকুর ছানা ভিজে কাতরাচ্ছিল। আমরা ২/৩জন মিলে ধরে একটা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে দিয়েছিলাম।
এবার বাড়িতে ফেরার পালা দুপুরের পরে আমার বোনকে আনতে যেতে হবে। তাই আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। স্নান শেষ করেই দুপুরের খাবার শেষ করেছিলাম কিন্তু বৃষ্টির জল পড়া বন্ধ হচ্ছিল না।
Afternoon |
---|
![]() |
---|
পূর্ব থেকেই একটা গাড়ি রিজার্ভ করা ছিল মিতা, রণিত, তন্ময় ও আমি চারজন মিলে বোনকে আনতে গিয়েছিলাম। গাড়িতে বাগেরহাট প্রবেশ করতেই একটু নেটওয়ার্ক পেয়ে বেশ ভালো লাগছিল। তারপর ডিসকর্ডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে টেক্সে কথা বলেছিলাম।
![]() |
---|
বোন আগে থেকেই রেডি ছিল তাই আর বিলম্ব হয়নি সেখান থেকে পুনরায় বাড়িতে ফিরে আসতে। তবুও প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। জামাকাপড় পরিবর্তন করেই বোনের মেয়ের সাথে খেলতে বসেছিলাম। কিন্তু আমার ছোট্ট ভাগ্নি কার্টুন দেখবে তাই মোবাইলটা হাতে নিয়ে শুয়ে শুয়ে আমরা কার্টুন দেখছিলাম।
এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
END |
---|
@mvchacin,
ধন্যবাদ আপনার অনুপ্রেরণা মূলক সমর্থনের জন্য।
আপনাদের পশু প্রেম দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমিও মাঝে মাঝে রাস্তার কুকুর, বিড়ালকে সুযোগ পেলেই সাহায্য করি। সেটা খাবার দিয়ে হোক কিংবা অন্য উপয়ে। আপনার সকালের নাস্তাটা কিন্তু খুব লোভনীয় ছিল। গলদা চিংড়ি আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। বৃষ্টির সময় প্রকৃতির পরিবর্তনগুলো দারুন। চেনা জায়গা গুলো কেমন অচেনা হয়ে ওঠে। এই কয়দিন সারা বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বজ্রপাতের সময় যতটা সম্ভব বাইরে না যাওয়াই ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সাথে আমাদের আবহাওয়াটা অনেকটাই মিলে গিয়েছে। অনেক দিন যাবত আশা করছিলাম যেন বৃষ্টি হয় আর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছে আর একারনে আবহাওয়া অনেকটাই শীতল ছিলো।
মেঘ দেখে ধারনা করছিলাম যেন বৃষ্টি হয় আর সকাল ১১ টার দিকে অঝোরে বৃষ্টি নামে। প্রায় ৩ ঘন্টা যাবত বৃষ্টি হয়েছিলো সাথে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো।
গলদা চিংড়ি ভুনা আমার ভীষণ প্রিয়। আপনি কুকুর বেড়াল এমন প্রাণীদের যে কতটা ভালোবাসেন সেটা আমরা জানি। ভিজে যাওয়া কুকুর ছানার শরীর মুছে দিয়ে আপনি খুব ভালো কাজ করেছিলেন। ভালো থাকবেন।
আপনাদের ওদিকে কেমন বৃষ্টি হচ্ছে তা জানিনা। কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গে বেশ কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন রাতে বৃষ্টি হচ্ছে। মানে প্রতি রাতে বৃষ্টি হওয়াটা দৈনিক রুটিন হয়ে গেছে। যাইহোক, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার বাবার কল পেয়ে বাজারে গিয়েছেন। সেই সাথে আপনার সকালের খাবারটা একদম সুস্বাদু ছিল। দোকানে পৌঁছা মাত্রই তুমুল বৃষ্টি হয়েছে।
আমার কাছে একটি বিষয় ভালো লাগে, যখন আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। তখন হালকা বাতাস থাকে আমার কাছে ওই মুহূর্তটা সবথেকে ভালো লাগে।