Better Life With Steem || The Diary Game || 19th January 2024||
Hello Everyone,
এখন সকাল ১১ টা, পড়তে পড়তে চিন্তা করলাম একটি পোস্ট লিখি। আশা করি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতে আপনারা সকলেই সুস্থ্য এবং ভালো আছেন। এই শীতে সকাল সকাল যেন কম্বল থেকে বেরোতেই ইচ্ছে করে না।
আমি প্রতিদিন এ্যালার্ম দিয়ে রাখি কিন্তু যথাসময়ে উঠি না। এমনিতেই শেষ রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়া হয়। তাই শীতটা যেন আরো বেশি অনুভুত হয়। সামনেই সরকারি চাকরির ৫/৬ টা পরীক্ষা আবার কোচিং থেকে পড়ার ও বেশ চাপ রয়েছে। অদ্ভুত ব্যাপার এই হাড়কাঁপানো শীতের সময়ই যেন সকল পড়ার চাপ কাঁধে চেপে বসে। যাইহোক, এখন দিনলিপিতে চলে যাই।
Morning |
---|
সকালে উঠেই নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম এবং এক কাপ চা খেয়েছিলাম। তারপর যথারীতি আমি আমার পড়ার টেবিলে বসে ছিলাম। কিন্তু বিগত রাত থেকে ডান পাশের কাঁধের পিছন সাইডে ভীষণ ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যাথার ওষুধ খেয়েছিলাম তবে খুব ভালো কাজ হয়নি।
কিন্তু রাতের থেকে ফুলে থাকাটা অনেক কমেছে তাই একটু ভালো লাগছিল। রাতেই ভেবে রেখেছিলাম যে ভালো ডাক্তার দেখাবো তবে ফোলা কমে যাওয়ার জন্য ভাবলাম স্থানীয় ভালো ডাক্তার দেখালে ও হবে।
Noon |
---|
মা রৌদ্রে জল গরম করার জন্য রেখেছিল। আমি দ্রুত স্নান শেষ করে খেতে বসেছিলাম। মা আমার জন্য একটি ডিম ভাজি করে তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে দিয়েছিল। শীতের সময় গরম ভাত এবং তরকারি রান্না করে রাখতে রাখতেই ঠান্ডা হয়ে যায়। গরম ভাতের সাথে গরম ডিম বেশ মজা করে খেয়েছিলাম।
যেহেতু, শুক্রবার ছিল তাই আমার কাকু ও কাকিমা বাড়িতে ছিল। আমরা সাধারণত কাকুর সাথে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিই কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে। তাই কাকু ও বলল যে ব্যাথা যদি আমার বেশি মনে হয় তাহলে কাকু কল করে মেডিকেলে সিরিয়াল দিবে। তখন আমি বললাম যে নাহ। অনেকটা কম মনে হচ্ছে তাই অনুপম মামাকে বিকেলে দেখাবো।
Afternoon |
---|
একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু চেম্বারের সামনে গিয়ে দেখলাম মামা এখনো চেম্বারে পৌঁছায়নি। তারপর মামার মোবাইলে যোগাযোগ করেছিলাম। মামা আমাকে জানালো যে অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। আমি চায়ের দোকানের সামনে রাস্তায় বসেছিলাম।
তারপর মামা ফার্মেসিতে এসে প্রথমেই আমার রক্তের চাপ পরিমাপ করেছিল। মামা প্রথম দিকে ওষুধ দিতে নাড়াচ্ছিল কারণ খুব বেশি সমস্যা না হলে ব্যথার ওষুধ খাওয়া একদমই সঠিক না শরীরের জন্য। কিন্তু মামাকে বললাম যে সামনে পরীক্ষা, তাই খুব দ্রুত সুস্থ হতে হবে। ছবিতে উল্লেখিত এই ওষুধ এবং ভালো মানের একটি গ্যাসের ওষুধ নিয়েছিলাম।
মামা বলল যে কিছু খেয়ে ওষুধটা যেন আমি তখনই খাই। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যথার জন্য যেন শরীরে জ্বর জ্বর ভাব ছিল তাই মুখেও রুচি ছিল না। এ কারণে বাইরের কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না, তাই আমি দোকান থেকে একটি কাপ নুডুলস নিয়েছিলাম।
নুডুলস ক্রয়ের জন্য যখন দোকানে দাঁড়িয়েছি তখন আমাদের স্থানীয় বাজারে সেই দুইটি কুকুর আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। হয়তো ওরা আমাদের মত কথা বলতে পারে না কিন্তু আচরণ দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে ওদের খাবার দিতে বলছিল। আমি বিলম্ব না করে ওদেরকে দুইটি রুটি দিয়েছিলাম। তারপর বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
বাড়িতে পৌঁছে আমি মাকে গরম জল করতে বলেছিলাম। অন্যদিকে আমি টিউব-অয়েলে গিয়ে হাত পা ধুয়ে ঘরে ফিরে এসেছিলাম। ইতিমধ্যে মা নুডুলস টি প্রস্তুত করে রেখেছিল। আমি নুডুলস খেয়ে ওষুধ দুটি খেয়েছিলাম।
তারপর আমি আমার পড়ার টেবিলে বসেছিলাম কিন্তু এক ঘন্টা যেতে না যেতেই আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছিল। আমার এটা জানাই ছিল না যে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পর এতটা ঘুম পেতে পারে। সাথে সাথে আমি মামার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম এবং মামা বলেছিল একটু ঘুম পাবে। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
END |
---|
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
একদমই তাই আপু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়,এবং উঠি উঠি করতে করতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়।
শীতের মধ্যে যে কোনো ব্যাথই অনেকটা বেশি হয়,বিশেষ করে রাতের বেলা।এতে জেনে ভালো লাগলো যে আপনার কাধের ব্যাথা অনেকটা কমে গিয়েছে।
ঝটপট নাস্তার জন্য অনেক বেস্ট একটা অপশন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন, নিজের খেয়াল রাখবেন।
একদমই ঠিক কথা বলেছেন যে, আমিও ছোট থেকেই দেখে আসছি হাড় কাঁপানো শীতের সময় সবচেয়ে বেশি পড়ার চাপ থাকে। একই কথা আজকে সকালে আমার ছেলে উঠেও বলতেছে, যে কয়েকদিনের তুলনায় আজকে বেশি ঠান্ডা পরেছে। আজকেতো পরবেই কারন আমার পরীক্ষা আজকে।
ব্যাথার ওষুধ না খেতে পারলেই সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। কিন্তু অনেক সময় নিরুপায় হয়েই খেতে হয়।
রাস্তার কুকুরকে সবাই যদি সামান্য সামান্য করে সাহায্য করতো তাহলে ওদের এত কস্ট করতে হতো না।ভালো লাগলো আপনার ওদেরকে খাবার কিনে দেয়ার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।