Better Life with Steem|| The Diary Game|| 15th June 2024

in Incredible India28 days ago
PhotoCollage_1718461226159.jpg

Greetings to all,
বন্ধুরা, সময় কখনোই থমকে দাঁড়ায় না সে তাঁর আপন গতিতেই চলতে থাকে। অনুরূপভাবে, আজও একটি দিন কিভাবে যেন অতিবাহিত হলো সেটা বুঝতেই পারলাম না। সকাল হলেই কারো চিন্তা কিভাবে অর্থ উপার্জন করবে আবার কারো চিন্তা কি করবে?

অবস্থা, দায়িত্ব ও মানুষের ভিন্নতার ওপর এটা নির্ভর করে। যেমন আমার চিন্তা এই গরমে কিভাবে দিনটা অতিবাহিত করবো? আবার বিছাতে থেকেই মোবাইল ডাটা অন করে নোটিফিকেশন দেখা এবং কমিউনিটির পোস্টের সময় কতো চলছে ইত্যাদি।

যদিও চিন্তাটা ভিন্ন ছিল কিন্তু বিগত পরশুদিন ভরদুপুরে গিয়েছিলাম পুকুরে যেখানে কিছু স্থানে মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় না এতোটাই জল। তবে যেহেতু, হাতে জাল ছিল তাই সেখানেই নেমে দাঁড়িয়েছিলাম যেখানে কোমর অবধি জল। কিন্তু অভ্যাস বড় ভয়ানক জিনিস জল এবং সূর্যের প্রখর তাপমাত্রার বিক্রিয়ার কারণে আমার রীতিমতো ঠান্ডাই লেগেছে।

তাই আর কষ্ট করে ভিন্ন কোনো বিষয় না লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার আজকের দিনটি কার্যক্রম এখন আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো।

Morning

আমার সকালটা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সময় আটটা থেকে। আমার ঘুম ভাঙ্গতেই মাথার কাছে রাখা মোবাইলটা হাতে তুলে নিয়েছিলাম। ঐ সময়ে আমার সহযোগী ইন্দিনেশিয়ান বন্ধু, পোস্ট যাচাইকরণ শুরু করেন। তবে ডিসকর্ড খুলতেই দেখলাম আমাদের শ্রদ্ধেয়া এডমিন ম্যাম ইতিমধ্যে কথোপকথন শেষ করেছেন।

অন্যদিকে রাতে যদিও মোবাইলটা চার্জে বসিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু সেটা সঠিক ছিল না। তাই মোবাইলটা আবারো চার্জে বসিয়ে পাখা বন্ধ করে বিছানা ছেড়েছিলাম। প্রথমেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে আমার সকালের ওষুধ খেয়েছিলাম।

IMG_20240615_203119.jpg

আমাকে দেখেই আমার বড় কাকিমা ডাকাডাকি শুরু করেছিল। যাইহোক, আমি কাকিমার কাছে গিয়ে দেখলাম তিনি দুধের সর দিয়ে ঘি তৈরি করছেন যেটা স্ব-চক্ষে আমি পূর্বে কখনো দেখিনি। তবে আমি এটা জানি যে দুধ থেকে সানা কেটে তারপরে ঘি তৈরি করতে হয়। ঘি তৈরি করা কিন্তু খুব একটা কঠিন কাজ না। তাছাড়া দোকানের ঘি এ ভেজাল ও থাকতে পারে।

এরপর আমি সকালের খাবার শেষ করে আবারো মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। কিছুক্ষণ পোস্ট পরিদর্শন করে আর ইচ্ছে করছিল না ঘরের মধ্যে থাকতে।

IMG20240615122827.jpg

তারপর ছাতা হাতে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম কিন্তু বাজারে পৌঁছে দেখলাম গরমের ভয়ে কোনো লোকজনই নেই। আমি দোকান থেকে একটা জুস নিয়েই বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করেছিলাম। পথেই ডিসকর্ডে একটু কথা বলেছিলাম। মোবাইলটা এতো গরম হয়েছিল যে হাতে ধরে রাখতেই কষ্ট হচ্ছিল। মোবাইল স্ক্রিন বন্ধ করে পকেটে রেখে জুস খেতে খেতে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

Noon

বাড়িতে কি গরম! তবুও চেষ্টা করলাম পাখার সামনে বসে ক্লান্তি দূর করার জন্য। একটু বাদে যেন আরো বেশি গরম লাগছিল।‌তাই চিন্তা করলাম মাঠে গিয়ে একটু ক্রিকেট খেলি। দুর্ভাগ্যবশত পৌঁছাতে পৌঁছাতে খেলা শেষ।

IMG_20240615_193102.jpg

মাঠের পাশেই পিসতুতো বোনের শ্বশুরবাড়ি, তাছাড়া ওদের বাড়িতে আছে ৩/৪টা বিড়াল এ কারণেই যাওয়া। তবে ঘরের থেকে বাইরের পরিবেশ অনেকটা শীতল বলা যায়।

IMG20240615142159.jpg

আমরা সকলেই জানি যে বিড়াল আরামপ্রিয় প্রাণী এবং শীত একদমই পছন্দ করে না। তাহলে কতোটা গরম যে এই বিড়াল পর্যন্ত বৃক্ষতলের ছায়াযুক্ত স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে শরীর এলিয়ে দিয়েছে। বিড়াল ভায়া পরম শান্তিতে ঘুমাচ্ছিল যেটা আমার একদমই সহ্য হচ্ছিল না।

IMG_20240615_193220.jpg

আমি কিছুটা টানাটানি করেই বিড়ালের ঘুম ভাঙ্গিয়েছিলাম। তারপর কিছু সময় বিড়ালটির সাথে অতিবাহিত করেছিলাম। তবে অন্যদিনের মতো চাঞ্চল্যকর চেহারা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। রীতিমতো আমাকে হয়তো এটাই বলছিল যে তাঁর গরম লাগছে। আমি আবারো ওকে সেই স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে রেখে বাড়িতে ফিরেছিলাম।

বাড়িতে ফিরে বাবাকে ডাব নারকেল কেটে দেওয়ার কথা বললাম এবং বাবা আগেই কেটে রেখেছিল। তাই এক গ্লাস ডাবের জল খেয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করেই স্নান সেরে নিয়েছিলাম।

Afternoon

IMG_20240615_193121.jpg

বিকেলে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম এবং একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তাতে বিকেলে দারুন হাওয়া হয়। তাছাড়া পাশেই একটা ছোট নদী যে কারণে বিকেলের দিকে ঝড়ো গতিতে হাওয়া বইতে শুরু করে।

সন্ধ্যা প্রায় আগত তখনই বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

END

Sort:  
Loading...
 28 days ago 

আপু প্রসেসিং ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম কেননা এইসব জুস তৈরি করা হয় মারাত্মক কেমিক্যাল দিয়ে এতে কোনো প্রকার আমের রস নাই এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি কর।

দারুন লাগছে আপনার বিড়ালের সাথে উঠানো সেলফিটা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম অনেক সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।

 27 days ago 

যে মূল্য তাতে কেমিক্যালের খরচ উঠবে না ভাই। তবে কিছু ফ্লেভার দেওয়া থাকে এবং সেই ফলমূলের নামেই কোম্পানি চালিয়ে দেয়।

যে কোনো খাবার অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

TEAM 7

Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.

Curated by : @sduttaskitchen
 27 days ago 

@sduttaskitchen,

ধন্যবাদ দিদি, আপনার অনুপ্রেরণা মূলক সমর্থনের জন্য। 🙏

 27 days ago 

আসলে ফোন চার্জে দেওয়ার পর যখন ফোন হাতে নিতে গিয়ে দেখি একটুও চার্জ হয়নি ঠিক তখন মনের যে অবস্থা টা হয় তা নিশ্চয়ই আপনিও অনুভব করছেন।এমনটা আমার অনেকবার হয়েছিলো।আমি একবার ঘি তৈরি করা দেখেছিলাম। সত্যি অনেক ইন্টেরেস্টিং একটা প্রসেস।যাই হোক বিড়াল গুলো সত্যি অনেক কিউট ছিলো।

 27 days ago 

হুম, বিড়ালটা দেখতে খুবই সুন্দর। চার্জ না থাকাটাই বিরক্তিকর আবার যদি চার্জে বসালেও চার্জ না হয়। যদি দ্বিতীয় কোনো ডিভাইস থাকতবো তাহলে হয়তো ভেঙ্গেই ফেলতাম। এই মোবাইল ভাঙ্গার রেকর্ড আমার পূর্বে ও আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 27 days ago 

দুধের সর দিয়ে ঘি তৈরী করতে আমিও কখনো দেখিনি। বাজারের ঘি শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা। সেটি ভেজালযুক্ত হলেও আর কি করা যাবে। গরমের মাত্রা প্রচুর। এজন্য সকলেরই উচিত খুব বেশী দরকার না হলে বাইরে না যাওয়া। আমরা সকলেই জানি সফট ড্রিংস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু তীব্র গরমে একটু এসব না খেলে হয় না। আমার পছন্দের প্রাণীও বিড়াল। রাস্তায় কোন বিড়াল দেখলেও মাঝে মাঝে মনে হয় আদর করে দিই একটু। আমার বাসায় যেটা আছে সেটি এরকম আরাম করে ঘুমালে আমিও আপনার মতন শান্তিুর ঘুম নষ্ট করে কোলে তুলে নেই। এতে যে সে বিরক্ত হয় তা বলাই বাহুল্য। ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে। ভালো থাকবেন।

 27 days ago 

তা যা বলেছেন ভাই, বিড়াল দেখলে কি না ধরে থাকা যায়? তবে সব বিড়াল আবার ধরা দেয় না যে কারণে মাঝেমধ্যেই ভীষণ রাগ হয়। ঘি যে এভাবে তৈরি করা যায় সেটা আমার ও জানা ছিল না ভাই। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

 22 days ago 

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই খাওয়া শেষ করে ওষুধ খেয়েছেন। এরপরে কাকিমার কাছে গিয়ে দেখলেন দুধ দিয়ে ঘি বানাচ্ছে। সত্যিই এখনকার বাজারে যে ঘি পাওয়া যায় সেগুলো বেশিরভাগই ভেজাল যুক্ত। কিন্তু আগেরকার দিনে মাথা চিড়া এভাবে দুধের সর দিয়ে বাড়িতে ঘি বানাত। সত্যিই সেই গিয়ে স্বাদ একদম অন্যরকম।
বিড়ালের সাথে আপনার ছবিটা বেশ ভালই হয়েছে।

সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58659.71
ETH 3164.52
USDT 1.00
SBD 2.43