Better Life with Steem|| The Diary Game|| 14th October 2024
নমস্কার,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত এগারোটা বাজে, সবেমাত্র পোস্ট লেখার জন্য বসলাম। জীবন চলার পথে অনেক মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয় তবে সঠিক মানুষের সান্নিধ্য পাওয়াটা দুর্লভ। যাইহোক, আমি আজকের দিনের কার্যক্রম নিয়ে চলে এসেছি।
Morning |
---|
আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক আগেই ঘুম ভেঙ্গেছিল। আমার এক আন্টিকে নিয়ে খুলনা যেতে হবে অপারেশনের জন্য। অপারেশন বলতে বছর দুই আগে আন্টির পা ভেঙ্গে গিয়েছিল তখন ঐ যে কি যেন replacement করে রড টাইপের কিছু সেটা বের করতে হবে। তবে ভয়ের বিষয় হলো ডেট ওভার হয়ে গিয়েছে।
কোনোরকম সকাল সকাল স্নান সেরেই আমরা খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আমরা সকাল দশটার দিকে খুলনা সিটি মেডিকেলে পৌঁছেছিলাম। আন্টিকে ভর্তি এবং আমরা একটা কেবিন নিয়েছিলাম। সেখানে রুগীর সাথে সর্বোচ্চ দুইজন থাকার নিয়ম আছে।
অন্যদিকে যদিও অটি সকাল এগারোটায় করার কথা ছিল কিন্তু মেডিকেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানালো সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আমার খিদে ও পেয়েছিল কিন্তু কিছু খেতে আবার ইচ্ছে করছিল না। বাড়িতে কল করে জানাতে বাবার কথামতো আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।
যেহেতু, এই সর্বপ্রথম মনে হয় আমি মোবাইল ভুল করে বাড়িতেই ফেলে গিয়েছিলাম তাই বড়'দির মোবাইলে কথা শেষ করেই বেরিয়েছিলাম। একটা ঝামেলা ও বটে মোবাইল সাথে না থাকাটা।
Noon |
---|
ছবিটা অন্য একটি মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে নিয়েছি share করার মাধ্যমে |
---|
প্রচন্ড ভালো মানুষ এই কাকু যিনি নিজের কাজ করতে যেমন পছন্দ করেন তেমনি দায়িত্ব পালনেও কর্তব্যপরায়ণ। আমার কাছে এটা বেশ ভালো লাগে যে কাউকে অর্ডার না করে নিজের মতো করে যে কোনো কাজ করা। বাজারে পৌঁছে এই দৃশ্যটা দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো।
খিদের জন্য আরো বেশি ক্লান্ত লাগছিল। তাই পাশেই চায়ের দোকানে হালকা খাবার খেয়ে এক কাপ কফি খেয়েছিলাম। কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলাম। প্রচন্ড গরমে ঘেমে অবস্থা খারাপ। একটু পাখার বাতাসে বসে আবারো স্নান সেরে নিলাম। তারপর যেন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম।
Afternoon & Evening |
---|
আমার ওষুধটা শেষ তাই বাজারে গিয়েছিলাম ঐটা ক্রয়ের জন্য। কিন্তু পৌঁছে দেখলাম ফার্মেসির ছেলেটা অনুপস্থিত। বাইরে বেঞ্চের ওপর আরাম করে বসতেই আমার প্রিয় বিড়ালটি ছুটে এসেই কোলের মধ্যে উঠে পড়েছিল। যেহেতু, কিছুক্ষণ বসবো এবং বিড়াল আমার ও খুবই প্রিয় তাই আর বিরক্ত করলাম না।
খোঁজ নিয়ে দেখলাম কিছুটা বিলম্ব হবে ফার্মেসিতে পৌঁছাতে তাই আমি এদিক ওদিক না করে অপেক্ষা করতেছিলাম। ইতিমধ্যে সন্ধ্যা, তারপর ওষুধটা নিয়েছিলাম। অন্যদিকে বাড়ি থেকে কল করে জানালো বাড়িতে নাকি গরম গরম লুচি আর ডাল প্রস্তুতি চলছে। আমি আর বিলম্ব না করেই দ্রুত একটা অটোভ্যানে করে বাড়িতে ফিরেছিলাম।
আহ! গরম গরম লুচি আর ডাল কে না পছন্দ করে? আমি কোনোরকম হাত-পা জলে ভিজিয়েই লুচি আর ডাল থালায় করে নিয়ে বসেছিলাম খাওয়ার জন্য। যদিও সব গুলো খেতে মন চাইছিল কিন্তু শুধুমাত্র চারটি লুচিই যথেষ্ট। এটার পরে যেন আর গলা থেকে নামছিলই না। তেলে ভাজি করা যে কোনো খাবার বেশি খাওয়া সম্ভব না।
অন্যদিকে আন্টির অপারেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাত আটটার দিকে বড়'দি কল করে জানিয়েছিল। কিছুটা দুশ্চিন্তা মুক্ত লাগছিল। কারণ এতোক্ষণ যেটাই করিনা কেন থেকে থেকে একটু দুশ্চিন্তাই হচ্ছিল।
এভাবেই আমি আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।